Bengali Folk Song: পঞ্চাশে `লাল পাহাড়ি`, উদযাপনে সংগীতমহল
সময়টা ১৯৭২। শ্রীরামপুর স্টেশনে একটা মহুয়া গাছ দেখে কবি অরুণ চক্রবর্তী লিখে ফেলেছিলেন কবিতাটি।
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: বাঙালির হৃদয়ে গেঁথে থাকা একটা গান। একটা মিঠে লোকসুর। “লাল পাহাড়ির দেশে যা রাঙামাটির দেশে যা”। শহরের তাবড় শিল্পীদের নিয়ে সেই লালপাহাড়ির ৫০ বছরের সেলিব্রেশন হল রবীন্দ্রসদনে। সম্বর্ধিত হলেন লালপাহাড়ির রচয়িতা কবি অরুণ চক্রবর্তী ও গানটির প্রথম শিল্পী ঝুমুরিয়া সুভাষ চক্রবর্তী।
সময়টা ১৯৭২। শ্রীরামপুর স্টেশনে একটা মহুয়া গাছ দেখে কবি অরুণ চক্রবর্তী লিখে ফেলেছিলেন কবিতাটি। যার মূল কথা ছিল 'তু লালপাহাড়ির দেশে যা...হিতাক তোকে মানাইছেনা রে...'। কালক্রমে সেই কবিতা গান হয়ে রেকর্ড হয় বীরভূমের ঝুমুরিয়া শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তীর কণ্ঠে। যে গান রেলকামরার ভিক্ষুক থেকে প্রবাসী বাঙালি আত্মস্থ করেছেন গত ৫০ বছর ধরে। রবীন্দ্রসদনে সেই দুই স্রষ্টাকে সম্বর্ধনা দিয়ে উদযাপন হল এবারের সহজিয়া উৎসব। মঞ্চ থেকে অরুণ-সুভাষের লালপাহাড়ি যুগলবন্দিতে গলা মেলালেন শ্রীকান্ত আচার্য, মনোময় ভট্টাচার্য, জয়তী চক্রবর্তী, সৌমিত্র রায়, উপল সেনগুপ্ত, পৌষালির মত বিভিন্ন সময় শিল্পীরা। সহজিয়া উৎসবের আয়োজক লোকসংগীত শিল্পী দেব চৌধুরী বলেন,'এই অনুষ্ঠানে মানুষের যে সাড়া পেলাম, দায়িত্ব নিয়ে বলছি দুই স্রষ্টাকে নিয়ে আমরা লালপাহাড়ির ৬০ বছরও উদযাপন করব।'
বাংলা লোকগানের এই জনপ্রিয়তা এবং সাড়ম্বরে তার ৫০ বছরের উদযাপন নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন তাবড় শিল্পীরা। আসলে এই হানাহানি আর বিভাজনের কঠিন সময়ে লালপাহাড়ি গানটির সারকথা আজও যেন প্রাসঙ্গিক,'হিতাক তোকে মানাইছেনা রে'।
আরও পড়ুন: Sourav Ganguly Birthday: 'তুমি আমাদের গর্ব ছিলে, আছ, থাকবে', সৌরভকে লিখলেন প্রসেনজিৎ