Gangubhai Kathiawadi: সঞ্জয়-আলিয়ার স্বস্তি, গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি-র মুক্তিতে `নেই` স্থগিতাদেশ
সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবির মানহানির মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি ছবির নির্মাতা ও অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট। সেই ছবি মুক্তির উপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হল স্থগিতাদেশও।
গঙ্গুবাঈয়ের দত্তক পুত্র বাবু রাভজি শাহ, ছবির নির্মাতা এবং Mafia Queens of Mumbai-এর লেখকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছিলেন। শাহ বলেন যে বইটি ২০১১ সালে লেখা এবং সিনেমাটি তাঁর মায়ের জন্য মানহানিকর।
মানহানির মামলাটি ঠিক কী কারণে?
শাহ প্রথমে মুম্বই দায়রা আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে। অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে, শাহ ছবিটির মুক্তি স্থগিত করার আবেদন করেছিলেন আদালতে।
আরও পড়ুন, শ্যুটিংয়ের ফাঁকে 'দেশের মাটি'র মেকআপ রুমে জমিয়ে নাচ Shruti, Rukma, Sairity-দের
প্রযোজকদের আইনজীবী ময়ুর খান্দেপারকার এই আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, "মানহানির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি বহাল রাখা যায় না" এবং ট্রায়াল কোর্টে তা খারিজ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের ভুয়ো মানহানির অভিযোগের কারণে শাহ কোনও আইনি সংঘর্ষ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, 'গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি' যিনি কিনা আবার 'ম্যাডাম অব কামাথিপুরা' নামেও পরিচিতা। কিন্তু কে ইনি? হুসেন জাইদির বিখ্যাত উপন্যাস 'মাফিয়া কুইন অফ মুম্বই' থেকে জানা যায় গাঙ্গুবাঈ ছিলেন গুজরাটের কাঠিওয়ারের বাসিন্দা। জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৪০এ। যিনি অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
জানা যায়, গঙ্গা ওরফে গাঙ্গুবাই তাঁর বাবার হিসাবরক্ষক রমনিক লালের সঙ্গে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই গোপনে বিয়ে করে পালিয়ে যান। তবে মুম্বইয়ে পৌঁছতেই রমনিক তাকে মাত্র ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দেয়। ছোট বয়সেই জোর করে গাঙ্গুবাইকে দেহ ব্যবসায় নামনো হয়। হুসেন জাইদির বিখ্যাত উপন্যাস 'মাফিয়া কুইন অফ মুম্বই' অবলম্বনেই এই ছবি বানিয়েছেন সঞ্জয়লীলা বনশালি। সেখানেই গাঙ্গুবাই-এর ভূমিকায় দেখা যাবে আলিয়াকে। 'গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি' ছবিতে আলিয়া ছাড়াও দেখা যাবে অজয় দেবগণকেও।