নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় লক্ষ্মী ফিরিয়ে আনতে হবে। অলক্ষ্মীর প্রভাব পড়েছে। সেই অলক্ষ্মীকে দূর করে লক্ষ্মী আনাই তাঁর মূল লক্ষ্য। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য অভিনেতা হিরণের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রুদ্রনীল, যশ, সৌমিলি, পাপিয়া অধিকারীর পর আবারও বিজেপিতে তারকা যোগ। এবার হিরণ চট্টোপাধ্যায়। আজ কাকদ্বীপের সভায় বিজেপিতে যোগদান করবেন হিরণ। এবার ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে অভিনেতা হিরণ। কাকদ্বীপের সভায়, অমিত শাহর উপস্থিতিতে দলবদল করতে চলেছেন তিনি। যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন এই অভিনেতা।


একুশের মহারণের আগে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতি সরগরম দলবদল ঘিরে। টলিউডেও বদলের ঝড়। গতকালই অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত, পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলি বিশ্বাস সহ একঝাঁক তারকা গেরুয়া ব্রিগেডে সামিল হন। আর এবার, ফের ধাক্কা শাসক শিবিরে। তৃণমূল ছাড়লেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। 


এই প্রশ্নের জবাবে দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন হিরণ। অভিনেতা বলেছেন 'অলক্ষ্মী বিদায়ই লক্ষ্য, বাংলা থেকে অলক্ষ্মী বিদায় করে লক্ষ্মী ফেরাতে চান বলেই এদিন জি ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে জানিয়েছেন হিরণ। বলেন, বাংলায় কর্মসংস্থান নেই, বাংলার যুবরা বাইরে চলে যাচ্ছে। তাঁদের ফেরাতে হবে, বাংলায় যে অলক্ষ্মীর প্রভাব তা কাটিয়ে লক্ষ্মী ফিরিয়ে আনতে হবে।'


এই সিদ্ধান্তের কারণ কী? এই প্রশ্নে হিরণ জানান, আমি সাধারণ ঘরের ছেলে। সাধারমের দুঃখ কষ্ট বুঝি। আর রাজনীতি সমাজ এবং সিস্টেম পরিবর্তনের বিরাট বড় হাতিয়ার। হাতে ক্ষমতা না থাকলে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ আটকানো যাবে না।' তিনি আরও বলেন '২০১৪-তে সেই স্বপ্ন নিয়েই একটা দলে যোগ দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম অনেক কিছু হবে। বাংলার পরিবর্তন হবে, কিন্তু রাস্তায় শুধু নীল-সাদা রং ছাড়া আর কিছুই হয়নি। হতাশ হয়েছি, এরপর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ জুড়ে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তাতেই যোগ দিতে যাচ্ছি। উন্নয়নের জন্য সর্বভারতীয় দলকেই ক্ষমতায় চাই।' 


শুধুমাত্র প্রচারের কাজেই তাঁর গ্ল্যামার, তাঁর পরিচিতিকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হিরণ। কিন্তু তাঁর কথা শোনার সময় দলে কারোর হয়নি, দাবি এই অভিনেতার। তাঁর আশা, বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলে গিয়ে প্রকৃত অর্থে পরিবর্তনের সুযোগ পাওয়া যাবে। ভোটে লড়ারও ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিজেপিই নেবে বলে জানান হিরণ।