জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার মধ্যরাত থেকেই দেশজুড়ে লাগু হয়ে গেল সিএএ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএএ সংসদে পাস হয়ে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। কিন্তু চার বছরে পেরিয়ে যাওয়ার পরও তার কোনও বিধি তৈরি হয়নি। এনিয়ে বিরোধীরা বারেবারেই সুর চড়াচ্ছিল। এবার বিধি তৈরি করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিল কেন্দ্র। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সিএএ-র বিরোধিতায় মুখ খুললেন তামিল ছবির দুই তারকা থালাপতি বিজয়(Thalapathy Vijay) ও কমল হাসান(Kamal Hassan)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Jaya Ahsan| Jyotika Jyoti: 'এই রমজানে আমাদের কথা একটু ভেবো...' খোলা চিঠি শেয়ার জয়া-জ্যোতির!


কী রয়েছে সিএএ আইনে? ওই আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে মতো দেশগুলি থেকে মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে এসেছেন তারা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। মঙ্গলবার প্রকাশ করা হল সেই আইনের বিধি। সিএএ-র বিধির প্রকাশের খবরের পরই নবান্নে একটি জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, তিনি বলেন কারও নাগরিকত্ব বাতিল হলে ছেড়ে কথা বলব না।


সিএএ নিয়ে বাংলা, অসম ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যের মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন। এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছিল কোনও কোনও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। কারণ এনআরসি হওয়ার পর অসমের ৪০ লাখ মানুষ সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন। এনিয়ে বাংলায় বড় কোনও আন্দোলন না হলেও দিল্লির শাহিনবাগে এনিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন হয়। তা নিয়ে তোলপাড় হয় দেশ।


মঙ্গলবার থালাপতি বিজয় এই বিষয়ে তামিলনাড়ু সরকারকে চিঠি লেখেন। তিনি জানান, 'এটা মানা সম্ভব নয়। সিএএ-এর মতো কোনও আইন আমাদের রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না। আমরা এটা মানব না। যেখানে দেশের সমস্ত নাগরিক ভালবেসে একে অপরের সঙ্গে বসবাস করেন, সেখানে এই আইন বেমানান। আমরা নিশ্চিত করব যেন তামিলনাড়ুতে এই আইন লাগু করা না হয়।' প্রসঙ্গত, ,সাম্প্রতিক সময়ে বিজয় জানিয়েছেন যে সিনেমার জগত ছেড়ে তিনি সম্পূর্ণ মন দিতে চান রাজনীতিতে। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বিজয় থালাপতি তামিলেগা ভেট্ট্রি কাজাগাম রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। 


আরও পড়ুন- Devoleena Bhattacharjee: 'বেঙ্গল ১৯৪৭'! এবার বড়পর্দায় বিগবস-খ্যাত অভিনেত্রী দেবলীনা


অন্যদিকে তামিল মেগাস্টার কামাল হাসান বলেন, 'দেশকে ভাগ করার ষড়যন্ত্র সিএএ। যদি আমরা বিশ্বাস করি যে এই দাবি হল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া তাহলে কেন শ্রীলঙ্কার তামিলদের এই তালিকায় কেন যোগ করা হল না? দুর্ভাগ্যবশত, এই আইনটি, যা তাড়াহুড়ো করে পেশ করা হয়েছিল এবং এখন একটি জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রয়োগ করা হচ্ছে, এটি বিজেপির ঘৃণ্য পরিকল্পনাগুলিকে স্পষ্ট করে তোলে৷ সম্ভবত, এটি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির একটি নিখুঁত উদাহরণ যা বিজেপি ক্ষমতায় ফিরে যদি তৈরি করতে চায়৷ এটা নিন্দনীয় যে কেন্দ্রীয় সরকার বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে চলেছে। আসন্ন নির্বাচনে, আসুন আমরা একসাথে যোগদান করি, যে শক্তিগুলো আছে তাদের বাস্তবতা যাচাই করতে। যারা ধর্ম, ভাষা এবং বর্ণের ভিত্তিতে আমাদের নাগরিকদের বিভক্ত করার চেষ্টা করে তাদের বাস্তবতা যাচাই করা হবে। ” 


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)