মুন্নাভাইয়ের মুক্তিতে খুশির হাওয়া বলিউডে
সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার চার মাস আগেই মুক্তি পেলেন সঞ্জয় দত্ত। সংশোধনাগারে থাকাকালীন ভালো আচরণের জন্য মুন্নাভাইকে আগাম মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় মহারাষ্ট্র সরকার। তবে মুক্তি পেলেও অস্বস্তি কাটল না। সময়ের আগেই সঞ্জয়ের মুক্তি নিয়ে মুম্বই হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার চার মাস আগেই মুক্তি পেলেন সঞ্জয় দত্ত। সংশোধনাগারে থাকাকালীন ভালো আচরণের জন্য মুন্নাভাইকে আগাম মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় মহারাষ্ট্র সরকার। তবে মুক্তি পেলেও অস্বস্তি কাটল না। সময়ের আগেই সঞ্জয়ের মুক্তি নিয়ে মুম্বই হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
অবশেষে মুক্তি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৪৫। পুণের ইয়েরওয়াড়া কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বাইরে তখন কড়া পুলিসি নিরাপত্তা। অবশেষে নীল জামা ও জিনস পরে বেরিয়ে এলেন সঞ্জয় দত্ত। সংশোধনাগারের মাটি ছুঁয়ে প্রণাম করে জাতীয় পতাকাকে স্যালুট। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাননি। কাঁধে ব্যাগ ও হাতে সবুজ ফাইল নিয়ে গাড়িতে উঠে গেলেন মুন্নাভাই।
সংশোধনাগার থেকে সরাসরি লোহেগাঁও বিমানবন্দরে চলে যান সঞ্জয়। সেখান থেকে চাটার্ড বিমানে সোজা মুম্বই। মুক্তি পাওয়া নিয়ে অবশ্য বিতর্ক পিছু ছাড়েনি সঞ্জয়কে। সময়ের আগেই কেন ছাড়া পাচ্ছেন এই মর্মে মুম্বই হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবারও সংশোধানাগারের বাইরে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন। সংশোধানাগারে থাকাকালীন VIP ট্রিটমেন্ট পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সঞ্জুবাবার বিরুদ্ধে। ২০১৩-র মে মাস থেকে ২০১৪-র মে মাস পর্যন্ত, ১১৮ দিন প্যারোলে মুক্ত ছিলেন তিনি।
মুন্নাভাইয়ের মুক্তিতে খুশির হাওয়া বলিউডে। খুশি রাজনীতিকদের একাংশও।
মুম্বই পৌছেই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে যান মুন্নাভাই। এরপর মায়ের সমাধিতে ফুল দেন তিনি। সেখান থেকে বাড়ি। সারাক্ষণ সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মান্যতা ও পরিচালক বন্ধু রাজকুমার হিরানি।