Hawa Film: তুমুল বিতর্কের ঝড়ে চঞ্চলের `হাওয়া`, উঠল গান চুরির অভিযোগ
Hawa Film: মনিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিরিশ টাকা কেজি মাছ গানটা আমি লিখেছিলাম। এখন দেখছি বাংলাদেশের `হাওয়া` ছবিতে তা ব্যবহার করা হয়েছে। দেখলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়য়ারা ওই গানের সঙ্গে উদ্দাম নাচছে। কিন্তু গানটা যে আমরা তার উল্লেখ কোথাও নেই। ১৯৮৬ সালে গানটি লিখেছিলাম।
প্রসেনজিত্ মালাকার: এবার বিতর্কে জড়াল বাংলাদেশের ছবি 'হাওয়া'। এনিয়ে শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটপাড়ার অভিযোগ, ওই ছবির 'তিরিশ টাকা কেজি মাছ...' গানটিতে গানের রচয়িতা নামই দেওয়া হয়নি ক্রেডিট লিস্টে। পরিবর্তে লেখা হয়েছে প্রচলিত গান। তা নিয়েই শোরগোল। অথচ গানটির রচয়িতা ও বীরভূমের বাসিন্দা মনিরউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন তিনি গানটি লিখেছিলেন ১৯৮৬ সাল।
আরও পড়ুন- ‘এভাবে ছোটবেলাটা নষ্ট করবেন না’, ট্রেলার থেকেই সমালোচনার মুখে ‘টেনিদা’ কাঞ্চন...
বীরভূম জেলার ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সদস্য বিশ্বজিৎ দাস নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, "এই চলচ্চিত্রের 'তিরিশ টাকা কেজি মাছ' গানটির গীতিকার ও সুরকার মনিরউদ্দিন আহমেদ। ওঁর লেখা অসংখ্য গান গেয়েছেন স্বপ্না চক্রবর্তী,আমিনুর রশিদ, কার্তিক দাস বাউল-সহ বহু শিল্পী।" বিশ্বজিৎ বাবু লেখেন, "দুঃখের বিষয় এটাই যে গানটি হাওয়া সিনেমায় ব্যবহৃত হয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ঠিকই কিন্তু সেই গানের রচয়িতা মনিরউদ্দিন আহমেদ তার যথাযথ সম্মান পেলেন না। ওঁর নাম ব্যবহার না করে প্রচলিত গান বলে চালিয়ে দেওয়া হল কেন? লেখকের হয়ে হাওয়া সিনেমার পরিচালক প্রযোজক সহ সমস্ত কলাকুশলীদের কাছে লেখককে সঠিক মর্যাদা দেবার আবেদন রাখছি। হাওয়া টিমের উচিত ছিল গানটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে বার করে শিল্পীকে যথাযথ সম্মান দেওয়া। আশা করছি এই বিষয়ে হাওয়া সিনেমার টিম দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এ আমাদের বিশ্বাস।
এই বিতর্ক নিয়ে মনিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিরিশ টাকা কেজি মাছ গানটা আমি লিখেছিলাম। এখন দেখছি বাংলাদেশের 'হাওয়া' ছবিতে তা ব্যবহার করা হয়েছে। দেখলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়য়ারা ওই গানের সঙ্গে উদ্দাম নাচছে। কিন্তু গানটা যে আমরা তার উল্লেখ কোথাও নেই। ১৯৮৬ সালে গানটি লিখেছিলাম। আমিনুল সেখ নামে এক ব্যক্তি ওই গানটি বাংলাদেশ রেডিওতে গেয়েছিলেন। আমাদের পাড়াতেই ওঁর বাড়ি। তারপর থেকে আর গানটির আর চর্চা হয়নি। এটির একটি ক্যাসেটও হয়েছিল।
তবে এই ঘটনা প্রথম নয় এর আগেও "বড়লোকের বিটি লোক" গানটি নিয়ে শোরগোল পড়েছিল নেট দুনিয়ায় । কারণ এই গানটি একটি সংস্করণ বার করেছিলেন বলিউড সঙ্গীত তারকা বাদশা। আর তারপরেই বাদশার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল বাংলার নাগরিকরা। পরবর্তীতে বাদশা এই বিষয়ে ক্ষমা চেয়ে গানটির রচয়িতা রতন কাহারকে সাম্মানিক হিসেবে দিয়েছিলেন পাঁচ লক্ষ টাকা
এই চলচ্চিত্রে থাকা গানটির গায়ক বাসুদেব দাস বাউলও বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দা । তিনিও আবেদন জানিয়েছেন রচয়িতার নামটি ক্রেডিট লিস্টে যোগ করার জন্য । জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, গানের কথা খুবই ভালো। যিনি গানটি লিখেছেন তাঁর নাম নুর মনিরউদ্দিন আহমেদ। সিউড়িতে ওঁর বাড়ি। কখনও ওঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। ফোনেই কথা হয়েছে। সিনেমার গানে লেখকের নামটা দিলে খুব ভালো হয়। হাওয়ার নির্মাতাদের আমি ওই অনুরোধ করব।