অনসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতিনিধি-কেমন আছো বলো?


দেব-ভালো, তুমি কেমন আছো?


প্রতিনিধি-ভালো, কিন্তু তোমার এই লুকটায় তো দারুণ লাগছে। একেবারে স্কুল বয়।


দেব-শুধু এই লুকটা? আর বাকি লুক গুলো কেমন লাগল? সবকটিই একে অপরের থেকে আলাদা। চারটি আলাদা প্রজন্মের চরিত্র, অবশ্যই চশমা পরা স্কুলবয় লুকটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। একটা শারীরিক বদল আনতে হয়েছে, রোগা হতে হয়েছে, হেয়ার স্টাইল বদল করেছি। ১৯৮০ র একটা চরিত্র, সেইসময়কার আন্দোলনকে ফিরে দেখা, একজন অ্যানিমেশন আর্টিস্টের চরিত্র রয়েছে. এখন যে লুকে আছি সেটা টিনটিনের চরিত্র। একে অপরের থেকে আলাদা সবকটিই।



প্রতিনিধি-আজ তো তারকা সমাগম সেটে ? এত বিশেষ অতিথি? শুধু হিরোইন নেই!


দেব-হ্যাঁ, আজ ‘কিশমিশ’ ছবির প্রথম দিনের শুটিং। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্ত, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সকলে এসেছেন আমার একটা ফোনে রাজি হয়েছেন আমার এই ছবির পাশে থেকেছেন এতেই আমি খুশি। আমায় ভালবেসেই সকলে এসেছেন। অঙ্কুশ আর শ্রাবন্তীও আছে, তাঁরাও এরমধ্য়ে শুটিং করবে। আর রুক্মিণী কাল থেকে আসবে। ও খুব এক্সাইটেড ওঁর দুটো চরিত্র নিয়ে।


প্রতিনিধি-ভোটের পর থেকে টানা রাজনীতির প্রচার করেছ,রিয়্যালিটি শোয়ের শ্যুট করেছ, সেটা শেষ করেই মলদ্বীপে ঘুরতে গিয়েছিলে, ফিরে এসে আবারও কাজে নেমে পড়েছ, এখন এই ছবির শুটিং শুরু হল, এই ছবির তুমিই প্রযোজক, তুমিই মুখ্য় চরিত্রে, আবার ঘাটালের মানুষের পাশেও রয়েছ, কীভাবে সামলাচ্ছো সবটা?


দেব-এইটাই জীবন, এইভাবেই চলতে হবে। কঠিন পরিস্থিতি লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দিলে চলবে না। মনকে শান্ত করে কাজ করে যেতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিকেও নতুন কিছু দিতে হবে, অসহায় অবস্থায় আমার ঘাটালবাসী, তাঁদের সঙ্গে থাকতে হবে, আর এরই মাঝে নিজেদের ছোট ছোট খুশি খুঁজে নিতে হবে। এটাই জীবন এখন, সচেতনভাবে চলতে হবে সকলকে। সবকটা পর্যায় অনুভব করছি, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি।



প্রতিনিধি-মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঘাটালে গিয়েছিলে,সেদিন ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কথা বলেছিলে যে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হলে তবেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান পাশ হবে, সেটা তোমার কেন মনে হল? 


দেব-হ্যাঁ, আমি এটা বলেছিলাম, এখনও বলছি। ঘাটার মাস্টার প্ল্যান পাশ করানো লড়াইটা প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে আমার রাজনীতির কেরিয়ারে। তবে আমি এটা দিদির অর্থাৎ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জন্য বলিনি আমি ঘাটালবাসীদের কথা ভেবে বলেছি। ওখানকার মানুষের ভালোর জন্য করতে হয় তাই করব,কারণ ঘাটালের মানুষ আমায় ভোট দিয়েছেন,দলের সঙ্গে হোক, প্রয়োজন হলে দলের বিরুদ্ধে গিয়েও করব। এই বর্ষায় যে তাণ্ডব হয়েছে ঘাটাল, দাশপুর, কেশপুরের না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। মানুষ সত্যিই কষ্টে আছেন। প্রচুর ক্ষতি হয়েছে, অনেকটা জায়গা জলের তলায় আছে। আমার মনে হয় বাঙালি কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে, তবেই এই দুঃখ বোঝা সম্ভব, সেটা বিরোধী দলের কেউ ও হতে পারে। গত ২০-২৫ বছরে এরকম বন্যা হয় নি, এটা রাজনীতি করার সময় নয়, তাই অন্য কোনও দল, যদি BJP র কথাও বলি তাঁরাও যদি বলে যে তাঁরা উদ্য়োগ নিয়ে প্ল্যান পাশ করে দেবে আমি তাঁদের সাথেও যাব, ওনাদের টিমে কাজ করতেও আপত্তি নেই ঘাটালের মানুষদের জন্য।



প্রতিনিধি-তুমি প্রথমদিন যখন ঘাটালে খালি পায়ে জলের মধ্যে দিয়ে গেলে, তোমার প্রচুর প্রশংসা হয়েছে সর্বত্র। কিন্তু ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জন প্রশংসা করলেও ১ জন ঠিক নেগেটিভ কমেন্ট করেছেন। বলেছেন এটা পাবলিসিটি স্টান্ট, দেখানোর জন্য?শুধু তুমি নও কিছুদিন আগে শুভশ্রী মা হওয়ার পর ওনাকেও একইভাবে ‘মোটা’ বলা হয়েছে, নুসরত জাহান মা হতে চলেছেন তাঁকে ট্রোল করা হচ্ছে, ট্রোলারদের কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না।


দেব-ট্রোলিং তাঁদেরই করা হয় যাঁরা ফেমাস, আর আমি ফেমাস হয়েই থাকতে চাই। তবে এটা ঠিক শো অফ করতে আমি পছন্দ করিনা বিশ্বাসও করি না। তাহলে অনেক কিছুই করতে পারতাম। সেটা হলে দু কেজি চাল কিনে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতে পারতাম। যাঁদের ট্রোল করা হচ্ছে তাঁদের অনুরোধ ট্রোলারদের নিয়ে কিছু করতে পারবে না, আজ আমায় নিতে সবচেয়ে বেশি ট্রোল করা হত তা কী আমার উপর কোনও প্রভাব পড়েছে? 



প্রতিনিধি-নুসরত নতুন জীবন শুরু করছে, ওঁর পাশে রয়েছ?


দেব-নুসরতের যথেষ্ট বয়স হয়েছে, ওঁর এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কী বলছি বা অন্যরা কী বলছে সেটা উচিতও নয়। মানুষকে মানুষের মত বাঁচতে দাও। ও ওঁর জীবনে খুশি রয়েছে, যতটুকু আমি নুসরতকে চিনি ও খুবই সেন্সেবল একজন মানুষ। ওঁর পাশে আছি, থাকব। ব্যক্তিগত জীবনে যতক্ষণ না ও চাইছে আমাদের সেই বিষয় নিয়ে কমেন্ট করা উচিৎ নয়। 


প্রতিনিধি-কামিং ব্যক টু ‘কিশমিশ’, আবারও তুমি এবং রুক্মিণী একসঙ্গে, ওঁর দুটি চরিত্র, এবার নতুন কী পাবেন এই জুটির থেকে দর্শক?


দেব-অবশ্যই নতুন কিছু পাবেন, আমরা যতবারই একসঙ্গে কাজ করেছি কোনও চরিত্রই রিপিট করিনি। দর্শকরা সবসময় আমাদের নতুনভাবেই পেয়েছেন, এবার আরও ইন্টারেস্টিং প্রজেক্ট তাই আরও একবার ইউনিকভাবেই পাবেন দর্শক আশা করি। আপনারা শুধু অপেক্ষা করুন, যাতে আমরা এই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে শুটিং শেষ করতে পারি। খুব শীঘ্রই আপনাদের কাছে এই ছবি নিয়ে আসব। পুজোতে সকলের মন ভাল করাতে ‘টনিক’ নিয়ে আসছি। পাশে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। তুমিও ভাল থেকো। 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)