সৎ মেয়ে সারার সঙ্গে ছবি তোলায় `না` করিনার? দেখুন কী ঘটেছে

নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার মুম্বইয়ের গ্র্যান্ড হায়াতে রণবীর-দীপিকার রিসেপশনে কে না যাননি? গোটা বলিউডের এই তারকাদের মধ্যে উপস্থিত ছিল পাতৌদি নবাব পরিবারও। ছিলেন, সোহা আলি খান, কুণাল খেমু, করিনা কাপুর খান, সইফ আলি খান, এবং ছিলেন সইফ-অমৃতা কন্যা সারা আলি খানও। সকলেই রেড কার্পেটে পাপারাৎজির ক্যামেরার হাসিমুখে সামনে পোজও দেন। আর এখানেই পাতৌদি পরিবারের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে শোনা যাচ্ছে বিশেষ গুঞ্জন।

হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, গুঞ্জনটা অবশ্যই সইফ-করিনা ও সইফের মেয়ে সারাকে নিয়ে। শনিবার রাতে গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে ছোটে নবাব সইফের সঙ্গে বেবো যখন পৌঁছলেন, তখন ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গেছেন সইফ-অমৃতা কন্যা সারা আলি খান। সারা সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন বেশকিছু সময় আগেই। সেখানে গিয়ে পাপারাৎজির ক্যামেরার সামনে পোজও দেন সারা। তবে শোনা যাচ্ছে, করিনা সেখানে পৌঁছনোর পর তিনি নাকি সারা সইফের সঙ্গে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে রাজি হননি। 

ঠিক কী ঘটেছিল?

আসলে করিনা-সইফ সেখানে পৌঁছতেই পাপারাৎজিরা তাঁদের ছবি তুলতে থাকেন। অন্যদিকে সেসময়ই সোহা আলি খান ও কুণাল খেমু সেখানে পৌঁছে গেলে করিনা-সইফকেও তাঁদের সঙ্গে পোজ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। পাপারাৎজির অনুরোধ মেনে সইফ-করিনা,সোহা-কুণাল একসঙ্গে ছবি তোলেন, এবং ফোটো জোন ছেড়ে বেরিয়ে যান। আর এর ঠিক পরপরই পাপারাৎজিরা চেঁচিয়ে সারার সঙ্গে সইফকে পোজ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। আর এর ঠিক কিছুক্ষণ পরে সইফ মেয়ের সঙ্গে পোজ দিতে ফের ফোটো জোনে ফিরে আসেন। তবে করিনা সারা-সইফের সঙ্গে ছবি তোলার জন্যা আর দাঁড়াননি। নিন্দুকেরা আবার বলছেন করিনা নাকি সারা-সইফের সঙ্গে পোজ দিতেই রাজি হননি।

যদিও নিন্দুকেরা যাই বলুন না কেন, 'কফি উথই করণ' এ এসে সারা অবশ্য বাবার স্ত্রী (সইফের স্ত্রী) করিনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ বন্ধুত্ব পূর্ণ বলেই দাবি করেন। এমনকি করিনাও কখনওই সারা সম্পর্কে খারাপ মন্দব্য করেননি।  কফি উইথ করনে সারা করিনা প্রসঙ্গে বলেন, সারা বলেন, করিনার সঙ্গে বাবার বিয়ে হওয়ার পর থেকে এবং এখনও করিনা আমায় একটা কথাই বলে, ''দেখো তোমার মা আছে। আর মা (অমৃতা) হিসাবে তিনি দারুণ। তাই আমি চাই তোমার (সারা) সঙ্গে আমার (করিনা) বেশ ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকুক। ''  সারা আরও বলেন, এমনকি বাবাও (সইফ) আমাকে কখনও বলেননি যে করিনা আমার দ্বিতীয় মা। কোনও রকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমি ওকে করিনা বা করিনা আন্টি যা খুশি বলতে পারি। তবে বাবা করিনা আন্টি না বলে করিনা বললেই বেশি খুশি হয়। 

এমনকী করিনাও সারার বলিউডে পা রাখার বিষয়ে সারার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন।