Durga Puja 2022, Jyotika Jyoti, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : পুজো এসে গেছে। এপার বাংলার মতো বড় পরিসরে না হলেও ওপার বাংলাতেও চলছে পুজোর সেলিব্রেশন। কিন্তু বাংলাদেশের পুজো ঠিক কেমন? সেখানে তাঁর পুজো কাটানোর অভিজ্ঞতাই বা কী? এসব নানান টুকিটাকি কথা Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী তথা পর্দার 'রাজলক্ষ্মী' জ্যোতিকা জ্যোতি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছোটবেলার পুজোর কথা বলতে গিয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, 'ছোটবেলার পুজো একরকম ছিল, বড়বেলাটা আবার আলাদা। ছোটবেলায় আমার বেশিরভাগ পুজো কেটেছে মামারবাড়ি কিশোরগঞ্জে। আর আমার বাড়ি হল ময়মনসিংহ। সেসময় নতুন জামাই ছিল পুজোর মূল আনন্দ। পুজোতে কার থেকে কী উপহার পাচ্ছি, সেটা নিয়ে আলাদাই আনন্দ হত। আমার বোনের সঙ্গে প্রথম থেকেই আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব। ছোটবেলায় বোন আর আমি মিলিয়ে জামা পড়তাম। পুজোতে আরেকটা আনন্দ হল খাওয়াদাওয়া। পুজোতে যেসব খাবার খাওয়া যেত, অন্যসময় যেত না। বিশেষকরে পায়েস, মিষ্টি, নাড়ু এইসব থাকত। এগুলো কখনও কখনও চুরি করেও খেয়েছি। এছাড়াও পুজোতে আরেকটা আনন্দ ছিল মণ্ডপে ঘোরা। পুজোতে আরও অনেককিছুই হত, তবে আমি কিছুটা লাজুক বলে সবকিছুতে অংশ নিতাম না।'


আরও পড়ুন-'ইউভান ঢাক বাজাবে, ওকে নিয়েই ঠাকুর দেখব...'



আরো পড়ুন-'ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে ছোটবেলার সেই দুর্গাপুজোর স্মৃতি এখনও টাটকা!'


জ্যোতিকা জ্যোতি আরও বলেন, 'এখন বড়বেলায় পুজোর আন্দটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন পুজোটা শুধু আনন্দের বিষয় নেই, সঙ্গে দায়িত্বও রয়েছে। যেহেতু আমি সবার বড়, তাই বোন, মা, বাবা, সবাইকে পুজোতে কিছু কিনে দিতে পারছি কিনা সেটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ির সবাই যাতে পুজোতে আনন্দ করতে পারেন সেটাও দেখতে হয়। এখন আবার ছোটবেলার তুলনায় উপহার কম পাই, আবার তেমনই এখন পরিবারের বাইরে থেকেও উপহার আসে, যেটা আগে হত না। মণ্ডেপে গেলে অনুরাগীরা আসেন ছবি তুলতে, কথা বলতে, এটা একটা আলাদা পাওয়া। আবার পুজোতে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে যেতে হয়, বিভিন্ন পন্য়ের জন্য শ্যুট করতে হয়।'


অভিনেত্রী জানালেন, 'এখন দুই বাংলা মিলিয়ে পুজো কাটে। কলকাতার পুজো মণ্ডপ আমি অবাক হয়ে দেখি। মণ্ডপের শিল্পকর্ম আমায় ভীষণ টানে। 'রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত'-তে অভিনয়ের পর থেকে আমার পুজো দুই বাংলা মিলিয়েই কাটে। আমি কলকাতার পুজোতে থাকতেও চাই। এবারও আমার পুজো অর্ধেক কলকাতা, অর্ধেক বাংলাদেশে কাটবে। ওখানে আবার আমার পরিবার অপেক্ষা করে থাকবে। বিশেষ করে আমার বোনের দুই সন্তান, ওরা চায় আমি ওদের সঙ্গে থাকি।'


আরও পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা