স্কুলে ছুটি, এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হবে `ইস্কুলে বায়োস্কোপ`, বিষয় `ছোটোদের সৌমিত্র`
আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন শর্মিলা ঠাকুর, গৌতম ঘোষ, অতনু ঘোষ,রূপক সাহা ও সিদ্ধা্র্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইস্কুলে বায়োস্কোপ-এর বিষয় এবার 'ছোটোদের সৌমিত্র'। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে তাঁরই অভিনীত ছ'টি শিশু চলচ্চিত্রের ওপর ভিত্তি সাজানো হয়েছে এই অনুষ্ঠান। অতিমারীর জন্য স্কুলে গিয়ে 'সোনার কেল্লা', 'জয় বাবা ফেলুনাথ', 'হীরক রাজার দেশে', 'কনি', 'পাতালঘর' ও 'মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি' না-দেখানো সম্ভব নয়, অগত্যা ভার্চুয়াল মাধ্যমই ভরসা। এই আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন শর্মিলা ঠাকুর, গৌতম ঘোষ, অতনু ঘোষ,রূপক সাহা ও সিদ্ধা্র্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। আর থাকছে ২০টি ইস্কুলের দশ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী।
আলোচনা ছাড়াও থাকছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) অভিনীত ছোটোদের চলচ্চিত্রগুলির ওপর কিছু প্রতিযোগিতামূলক ও সৃজনশীল কাজকর্ম, যেগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। বিজয়ীদের সবাইকে ইস্কুলে বায়োস্কোপ-এর পক্ষ থেকে শংসাপত্রও দেওয়া হবে। ১৮ই জুন থেকে ১৫ই জুলাই,পর্যন্ত চলবে এই অনুষ্ঠান। যেখানে প্রবাসী বাঙালি ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশ নিতে পারবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারচুয়ালি উপস্থিত থাকবেন পৌলমী বসু, অতনু ঘোষ, অমিতাভ নাগ, রূপক সাহা সহ অন্যান্যরা। সঞ্চালনায় থাকবেন এস.ভি.রামন, ১৮ জুন, বিকেল ৫টা,ইস্কুলে বায়োস্কোপ ফেসবুক পেজ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হবে।
আরও পড়ুন-Mamata-র হাত ধরে তৃণমূলে মুকুলের প্রত্যাবর্তন, ঘনিষ্ঠবৃত্তে, Saayoni, Sayantika
ইস্কুলে বায়োস্কোপ-এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ থেকে। উদ্যোক্তা ছিলেন বেঙ্গালুরু-নিবাসী বাঙালি কৌশিক চক্রবর্তী। বস্তুত এই অনুষ্ঠানেকর আগে বাংলা সিনেমাকে নিয়ে এই ধরনের শিক্ষা-বিনোদনমুলক অনুষ্ঠানের কথা বিশেষ শোনা যায়নি। প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫টি স্কুলে গিয়ে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো বাংলা সিনেমা দেখানো হয়। কখনও সত্যজিৎ রায়, কখনও সন্দীপ রায়, কখনও ঋতুপর্ণ ঘোষ, কখনও তপন সিংহ, কখনও নীতিশ রায়, কখনও আবার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের বানানো সিনেমা ছাত্র-ছাত্রীদের দেখানো হয়। প্রতিটি ইন-স্কুল স্ক্রিনিং-এর সঙ্গে থাকে লাইভ ইন্টারঅ্যাকশান, লাইভ কুইজ, রিভিউ রাইটিং কম্পিটিশান, পোস্টার ডিজাইনিং কম্পিটিশান ও আরও অনেক কিছু। সব শেষে, সফল ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার ও শংসাপত্র দেওয়া হয়ে থাকে।
আগামী প্রজন্মের কাছে কী করে বাংলা সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়, সেই ভাবনা থেকেই মূলত এই অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন কৌশিক চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, "বাংলা সিনেমার জন্য কিছু একটা না করতে পারলে যেন স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। তাই, একটা ব্লু-প্রিন্ট তৈরী করলাম। ইস্কুল পর্যায়ে শিক্ষা ও সিনেমার মেলবন্ধনই ছিল সেই ব্লু-প্রিন্টের মূল বিষয়। যোগাযোগ করতে শুরু করলাম শিক্ষা ও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে। শেষমেশ অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার চৌধুরীর সাহায্যে পৌঁছলাম চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া (সিএফএসআই)-র দরবারে। গৃহীত হল প্রস্তাব, আর কাজও শুরু হল। প্রথম বছর অবশ্য নাম ছিল 'সিএফএসআই বেঙ্গলি চিলড্রেনস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'; অনুষ্ঠিত হয়েছিল হেয়ার, হিন্দু, লোরেটো, লা-মার্টিনিয়ার, স্কটিশ চার্চ-সহ কলকাতার ২০টি নাম করা ইস্কুলে।" পরে এই অনুষ্ঠানের নাম রাখা 'ইস্কুলে বায়োস্কোপ'।