রণিতা গোস্বামী: লকডাউনে বন্দি গোটা দেশ। একমাসের বেশি সময় ধরে মানুষ ঘরবন্দি রয়েছেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা। গৃহবন্দি জীবনে সকলেই নিজেদের পছন্দমতো কাজের সঙ্গেই সময় কাটাচ্ছেন। এদিকে টলিউডে বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম বনি সেনগুপ্ত। গৃহবন্দি থাকার ছেলে বনি একেবারেই নন। তবুও থাকতে তো হবেই। কেমন কাটছে বনির হোম কোয়ারেন্টাইনের দিনগুলি? সেকথা Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কমের সঙ্গে শেয়ার করলেন অভিনেতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীভাবে সময় কাটাচ্ছো?


বনি - এখন তো পুরো সময়টা কসবার বাড়িতেই কাটছে। এই যে কফি বানিয়ে খাচ্ছি। চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছি। শরীরচর্চা করছি নিয়মিত। সন্ধেবেলা ছাদে গিয়ে হাঁটছি। ওয়েবসিরিজ দেখছি, বেশকিছু ভালো সিনেমা দেখে ফেলেছি। তারই ফাঁকতালে কৌশানিকে ভিডিয়ো কল করছি। এভাবেই কেটে যাচ্ছে।


আরও পড়ুন-পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রেস্তোরাঁ খুলতে চাই : কৌশানি



কী সিনেমা দেখলে?


বনি - ইরফান খানের আংরেজি মিডিয়াম দেখলাম। বেশকিছু নতুন ইংরাজি মুভি দেখলাম। তবে ওয়েব সিরিজ-ই দেখছি বেশি। যেমন জামতারা, SEE ,হাসমুখ, Special Off- দেখলাম। 


বই পড়ার অভ্যাস আছে নাকি?


বনি - না, বই-য়ে আমি একেবারেই নেই। (হাসি) বাবা-মায়ের সঙ্গে কাটছে, বাকিটা সিনেমা দেখা আর শরীরচর্চা।


কৌশানিতো প্রচুর রান্না করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ও রেস্তোরাঁ খুলতে চায়...


বনি - হ্যাঁ, প্রচুর রান্না করছে... (হাসি)। আসলে আমি লকডাউন ঘোষণার ঠিক আগে, কয়েকদিন কৌশানির বেলেঘাটার বাড়িতে আটকে ছিলাম।  পরে আমার বাড়িতে ফিরে আসি, বাড়িতে বাবা-মা আছেন তো। যে কয়েকদিন কৌশানির ওখানে ছিলাম, আমায় ও অনেক কিছু করে খাইয়েছে। ও যে এত ভালো রান্না করে, সেটা কৌশানি নিজেও জানতো না। অবশ্য, আগে সেভাবে সময়ও পেত না, এখন পাচ্ছে তাই করছে। বিভিন্ন কিছু, বিভিন্ন রকমভাবে বানাচ্ছে। যেগুলো এখনও আমার খাওয়া হয়ে ওঠেনি, আমি বলেছি, পরে যখন যাবো রান্না করে খাওয়াতে।


একটু থেমে...


আর ও যদি রেস্তোরাঁ খুলতে চায়, তাহলে হয়ত আমি ইনভেস্ট করবো, আর ও শেফ হবে। (হাসি) 


তুমি রান্না করতে পারো?


বনি - একদমই নয়। এবিষয়ে আমি একেবারেই জিরো। কফি করাটাও কৌশানির কাছে শিখেছি। ক্রিমি কফি বানানো শিখেছি ওর কাছে। তবে কৌশানির বাড়িতে যখন করছিল, ওকে সাহায্য করছিলাম, সেটা বেশ ভালোই লাগছিল। এখন মাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি।


তোমার সব ছবির শ্যুট কমপ্লিট, নাকি কিছু আটকে রয়েছে?


বনি - না, আমার কোনও শ্যুটিং আটকে নেই। 'বিয়ে ডট কম' (বনি-কৌশানি), 'স্টুপিড' (বনি-কৌশানি), 'আজব প্রেমের গল্প' (বনি-শ্রাবন্তী) এই তিনটি ছবির শ্যুট হয়ে গিয়েছে। এছাড়া আগেই 'লাভস্টোরি' (বনি-ঋত্বিকা) শ্যুট আগে হয়ে গিয়েছিল। সবকটার রিলিজ আটকে রয়েছে।



তুমি ওয়েব সিরিজ অনেক দেখছো বললে, ওয়েব সিরিজে কাজ করতে চাইবে?


বনি - না, এখনই সেইরকম কিছু ভাবছি না। বাংলা ওয়েব সিরিজের কথা যদি বলো, তাহলে একটু বয়স বাড়লে যদি অন্যরকম চরিত্রে নিজেকে এক্সপ্লোর করতে পারি, তখন দেখবো। নেটফ্লিক্স-এর একটা ওয়েব সিরিজের প্রস্তাব অবশ্য আমার কাছে এসেছিল। তখন আমি আর কৌশানি বালি (ইন্দোনেশিয়া) তে বেড়াতে গিয়েছিলাম। তাই মিস করে গিয়েছি। তখনই কলকাতায় অডিশন চলছিল। 'দিল্লি ক্রাইম'-এর যিনি পরিচালক ছিলেন রিচি মেহেতা, ওনার কাস্টিং টিম থেকে আমার কাছে ফোন এসেছিল। ওনারাই আরেকটা ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিলেন। ওটা আমি মিস করে গিয়েছি।


অনেকদিন তো লকডাউন চলছে, বাড়িতে থাকাটা কি উপভোগ করছো? নাকি বিরক্ত হচ্ছো?


বনি - সত্যি কথা বলতে কি, প্রথম ১০-১২ দিন ঠিক ছিল। এবার তো একটু বিরক্ত লাগছেই। কিন্তু কিছু করার নেই, বাড়িতে থাকতেই হবে। এই যে বের হতে পারছি না, দাড়ি, চুল কিছু কাটতে পারছি না। তারমধ্যে লোকজন ভিডিয়ো চাইছে, ছবি চাইছে, খুব চাপ হয়ে যাচ্ছে।  তবে শুধু আমি নই, মা-বাবাকেও বের হতে দিচ্ছি না। যতটা সম্ভব সাবধানে থাকছি। সব ধুয়ে নিচ্ছি। বাইর থেকে আসা জিনিস স্যানিটাইজড করছি।


আরও পড়ুন-'জানবাজ'-এর শ্যুটিংয়ে রোম্যান্টিক দৃশ্যে বাড়াবাড়ি হলেই বাবার ধমক খেয়েছি: বনি