রণিতা গোস্বামী : পুজো যে এসেই গেল, সেকথা মনে না করিয়ে দিলে, অনেকেই এখনও ঠিক যেন বুঝে উঠতে পারছেন না। পুজোর কেনাকাটা, বেড়াতে যাওয়া, ঠাকুরদেখার পরিকল্পনা, সব আনন্দই এক নিমেষে কেমন যেন উধাও হয়ে গিয়েছে। তবে তারকাদের কাছে এবারের পুজোটা ঠিক কেমন? পুজোর কেনাকাটা নিয়ে তাঁরা এবছর ঠিক কী পরিকল্পনা করেছেন? এসব জানতে ইচ্ছা হয় বৈকি। এসব নিয়েই আজকের 'পুজো শপিং'-এ অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে কথা বলল  Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অঙ্কুশ : এবার পুজোয় মোটামুটি বাড়িতেই কাটবে। কেনাকাটাও যে অনেক করেছি, তা নয়। আসলে, পুজোয় বের হওয়ার কোনও পরিকল্পনা সে অর্থে নেই। যদি বেরোতে ইচ্ছা হয়, তাহলে ওই নিজের গাড়িতে একটু এদিক-ওদিক ঘুরে ফিরে আসবো। এবার পুজোটা তো অন্যবারের মতো নয়। আমার বাবা-মায়ের সুগার রয়েছে, তাই ওনাদের কথা ভেবে আমাকে সাবধানে থাকতেই হবে। তবে হাউস পার্টি করব। প্রত্যেকবার বিভিন্ন বড় ক্লাবের পুজোয় যাই, এবার সেগুলো একটু এড়িয়েই যাচ্ছি। 


কেনাকাটা কিছু করেছ?


অঙ্কুশ :  মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, গাড়িতে করেই যদি ঘুরে বেড়াই, তাহলে আর আলাদা করে কেনাকাটার কী দরকার! (হাসি)। তবে যতই হোক, পুজো তো অল্প হলেও কেনাকাটা করতেই হয়। পুজোর সঙ্গে নতুন জামাকাপড় বিষয়টা ভীষণভাবে জুড়ে থাকে। প্রত্যেকবারের মতো না হলেও শপিং করব তো বটেই। পুজোতে আমি সবার জন্যই কেনাকাটা করি। বাবা-মায়ের জন্য, আমার বর্ধমানের বাড়ির আত্মীয়দের জন্যও কেনাকাটা করি। অন্যবার টুক করে বর্ধমানের বাড়িতে পুজোর জামাকাপড় দিতেও চলে যাই। বাবা-মাও যান। এগুলোতে অন্য আনন্দ। এবারে এখনও যাওয়া হয়নি। তবে যাব হয়ত, এখনও বুঝতে পারছি না।


অনলাইনে কেনাকাটা করো?


অঙ্কুশ : না, অনলাইনে ওই টুকটাক। টি-শার্ট, নাইট ওয়্যার, হয়তবা জিমের জন্য কোনও ঢিলা টি-শার্ট, এইসব। খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু হলে সেটা করি না। সেগুলো দেখে কেনাই ভালো।


আরও পড়ুন-সুতো, মাটির, বুটিক জাতীয় গয়না নয়, পুজোতে গর্জাস, ট্রাডিশনাল সাজই পছন্দ : পায়েল সরকার



মায়ের সঙ্গে অঙ্কুশ, ছবি- অঙ্কুশের ইনস্টাগ্রাম


পুজোয় কী ধরনের পোশাক পরা তোমার পছন্দ? ক্যাজুয়াল নাকি সাবেকি?


অঙ্কুশ : আমি মোটামুটি জিন্স, টি-শার্ট-এর উপরেই থাকি। ওটাতেই স্বচ্ছন্দ। শার্টও চলতে পারে। পাজামা-পাঞ্জাবিও পরব, তবে সেটা হয়ত অষ্টমীর দিন। আবার নবমী, দশমীতে হয়ত ক্যাজুয়াল কিছু পরলাম। আমি ট্যাংরার যে কমপ্লেক্সে থাকি, সেখানেও পুজো হয়। সেই মণ্ডপে গেলে হয়ত পাজামা-পাঞ্জাবি পরেই গেলাম, এই আর কি...


পুজোতে নতুন জামাকাপড়, সঙ্গে নতুন মাস্ক, কী বলবে?


অঙ্কুশ : মাস্ক পরে হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ানোটা ভীষণ সমস্যার, মাস্ক পরে গাড়িতে ঘুরলাম, তাও ঠিক আছে। মাস্ক পরে হাঁটলে দম বন্ধ লাগে। তবে নিরাপত্তার জন্য পরতেই হবে। কিছু করার নেই। না হলে অন্য বিপদ।


পুজোয় বেড়ানোর কোনও পরিকল্পনা?


অঙ্কুশ : অন্যবার বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনাও তো হয়। বিদেশে যাওয়ার হলে টিকিটও কাটা হয়ে যায় এতদিনে। এবার আর কিছু হচ্ছে কই! কোভিড নিয়ে রোজই কিছু না কিছু খবর শুনছি। এবার তো মন খারাপের পুজো। তবে আবার পুজোতে মুখ গোমড়া করে বসে থাকাও তো যায় না। একটু আনন্দ তো করতেই হয়। অন্যবার বর্ধমানের বাড়িতে যাই, পুজোর শেষের দিকে। ওখানে আমাদের বাড়ি আছে থাকি একদিন, তারপর চলে আসি। বাবা-মাও যান আমার সঙ্গে, বন্ধুদের নিয়ে গেট টুগেদার হয়। এবারও একবার হলেও হয়ত বর্ধমান যাব। তবে ওখানে পুজোর মণ্ডপে তো যেতে পারি না। এখানে যেমন অরূপদার পুজো (মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস) কিংবা নাকতলার পুজোতে যাই, নিরাপত্তা থাকে। অসুবিধা হয় না। তবে বর্ধমানে তো আমি এখন আর ওভাবে মণ্ডপ ঘুরতে পারি না।


আরও পড়ুন-বাড়ির পুজোয় ভারী সোনার গয়না পরাই রীতি, বাকি দিন রুপোর গয়না পরব : কৌশানি মুখোপাধ্যায়



ছবি- অঙ্কুশের ইনস্টাগ্রাম


এবছর পুজো উপলক্ষে কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার প্রস্তাব রয়েছে?


অঙ্কুশ : এখনও পর্যন্ত যা এসেছে সব না করেছি। কারণ, যতই নিরাপত্তা থাক, গেলে ভিড় এড়ানো কঠিন। তাই কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা নেই। এবার হাইস পার্টিই বেস্ট। (হাসি)


পুজোতে কোনও নতুন ছবির কাজ শুরু করছ?


অঙ্কুশ : হ্যাঁ, FIR- বলে একটা ছবি। ৫ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হবে। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত হয়ে আবারও পুজোর পড়ে। এই আর কি...


আরও পড়ুন-মাস্ক পরলেও লিপস্টিক পরবই, ওটা খুবই আমার খুবই প্রিয়, পুজোর সাজ নিয়ে বললেন শ্রাবন্তী