রণিতা গোস্বামী : পুজো তো এসেই গেল, তবে পরিস্থিতি দেখে সেকথা এখনও বোঝার উপায় নেই! শান্তিতে ঘুরে বেড়িয়ে পুজোর কেনাকাটা করাতেও এখন অনেক বিধিনিষেধ। করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয় প্রতি মুহূর্তে সকলকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুজোর শপিং নিয়ে কী পরিকল্পনা করেছেন? পুজোতেই বা কী করবেন? সেসব নিয়েই নানান কথা Zee ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে শেয়ার করলেন অভিনেত্রী পায়েল সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পায়েল : পুজোর কেনাকাটা এখনও কিছুই করিনি। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) থেকে আমার একটি ছবির শ্যুটিং শুরু হচ্ছে, তাই সেটা নিয়েই একটু ব্যস্ত রয়েছি। কেনাকাটা বলতে কিছুদিন আগে কমলদার (কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়) 'অনুসন্ধান' বলে একটি ছবির শ্যুটিংয়ে লন্ডন গিয়েছিলাম, সেখান থেকে কিছু টুকটাক কেনাকাটা করেছি। আসলে আমি সারা বছরই প্রচুর কিনি, এমন নয় যে পুজোতেই কিনতে হবে। আর এবার পরিস্থিতিও তো অন্যবারের মত নয়, যে যখন তখন বেরিয়ে পড়লাম, সাবধানে বুঝেশুনে বেরোতে হবে। আগামী সপ্তাহে যদিও কেনাকাটার জন্য একটু বেরনোর পরিকল্পনা রয়েছে, এবার দেখা যাক...। (হাসি)


বাবার জন্য পাঞ্জাবি, জুতো, এইসব কিনি। আর মায়ের জন্য শাড়ি। এবার মা-কে কেনাকাটার জন্য বলতেই বলল, ''আমি কিছু নেব না। বেরোবই তো না, কী করতে কিনব!'' আমিই বললাম, তাও আমি কিনে দেব, যখন মনে হবে পরবে। আর এবার যা পরিস্থিতি বাবা-মাকে সত্যিই এবার বের করা যাবে না।  


অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করো?


পায়েল : না, না, আমি অনলাইনে জামাকাপড় কিনি না। একটা ওয়েবসাইট থেকে কিনতাম, সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। আর অন্য কোনও জায়গা থেকে কিনি না। আসলে না দেখে, ট্রায়াল না দিয়ে ঠিক কেনাটা পোষায় না। ফিট না করলে সেটা আমি পরি না। অনলাইনে ওই প্রসাধনী কেনাটাই ঠিক আছে। তাও ওই শ্যাম্পু-কন্ডিশনার, ক্রিম এইসব। পারফিউমটাও আমি দেখে কিনি। প্রত্যেকটা মানুষের একটা আলাদা গন্ধ আছে, তাই সবার সঙ্গে সব পারফিউম যায় না।


আরও পড়ুন-বাড়ির পুজোয় ভারী সোনার গয়না পরাই রীতি, বাকি দিন রুপোর গয়না পরব : কৌশানি মুখোপাধ্যায়



ছবি : পায়েল সরকারের ইনস্টাগ্রাম


পুজো ইন্ডিয়ান নাকি ওয়েস্টার্ন কী পরতে পছন্দ?


পায়েল : এটা ঠিক থাকে না। দুটোই পরি। অঞ্জলি দিতে পুজো প্যান্ডেলে গেলে, কিংবা কোনও অনুষ্ঠানে গেলে শাড়িই পরি। আর বন্ধুদের সঙ্গে হাউজ পার্টি হলে ওয়েস্টার্ন। যদিও এখন যদি হাউস পার্টিতেও বন্ধুরা মিলে ঠিক হয় শাড়ি পরা হবে, সেটা আলাদা। অষ্টমী, দশমীতে শাড়ি 'মাস্ট'। তবে ইন্ডিয়ানই পছন্দ। পুজোতো ট্রাডিশনাল শাড়িটাই আসলে ভালো লাগে। এমনকি আমার পুজোর সময় লেহেঙ্গা, কিংবা লেহেঙ্গা শাড়ি, এসবও বিশেষ ভালো লাগে না। কারণ, এগুলো সারাবছর কোনও অনুষ্ঠান বা ফটোশ্যুটে পরা হয়, তাই পুজোতে পিওর ট্রাডিশনাল। আর শাড়িটা অবশ্য গর্জাস হতে হবে।


জুয়েলারি কী পরবে?


পায়েল : সকাল বেলা হালকা যতটুকু না পরলে নয়, সেটা পরবো। রাতে ভারী হয়না। আর শাড়ির সঙ্গে সোনার গয়না, কিংবা রূপোর গয়নাই আমার পছন্দ। অন্য কোনও পোশাক হলে ডায়মন্ডটা ভালো লাগে। আমার ঠিক বুটিক টাইপ ওই সুতো, মাটির গয়না ভালো লাগে না। আমার গর্জাস জিনিসই পছন্দ। শাড়ি পরলে জরি, চুমকি আর গয়না পরলেও চকচকে জিনিসই ভালো লাগে। আমার মনে হয় ওটাই আমাকে মানায়। আর টিপ এটা আমার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শাড়ির সঙ্গে টিপ পরতে বেশ ভালো লাগে। শাড়ির সঙ্গে কানে যদি ভারী গয়না পরি, তাহলে হাতে হয়ত বড় আংটি পরতে পারি। আর গলায় ভারী কিছু পরলে কানে হালকা, এই রকম...।


আর মেকআপ ?


পায়েল : পুজো মাস্ক পরে, মেকআপ করে কী যে অদ্ভুত আমায় লাগবে বুঝতে পারছি না। (হাসতে হাসতে) ভয়ঙ্কর লাগবে, তবুও পরতে হবে সুরক্ষার জন্য। সেক্ষেত্রে চোখটা ভালো করে সাজাব। টিপ পরবো এই আর কী...। 


আরও পড়ুন-মাস্ক পরলেও লিপস্টিক পরবই, ওটা খুবই আমার খুবই প্রিয়, পুজোর সাজ নিয়ে বললেন শ্রাবন্তী



ছবি : পায়েল সরকারের ইনস্টাগ্রাম


পুজোতে কোথাও বেরনোর পরিকল্পনা আছে?


পায়েল :  দেখো, প্যান্ডেল হপিং আমার কোনওদিনই ভালো লাগে না। ছোটবেলায় ভিড় দেখলে রেগে যেতাম। তবে টুুকটাক কোনও অনুষ্ঠানের জন্য প্যান্ডেলে যেতে ভালোই লাগে। প্রত্যেকবার বাবা-মাকে নিয়ে একদিন বেরোই, বাইরে খাওয়াদাওয়া করি। এবার সেটা একদমই করব না। বাবা-মায়ের সুরক্ষটা আগে। আমিও যাব না, বাড়ির খাবারই খাবো। তবে পুজোতে ডায়েট একেবারেই নয়। আরবানা অর্থাৎ আমাদের কমপ্লেক্সের পুজোতে যাবো। ওখানে খুব ভালো অনুষ্ঠানও হয়। আর রাজারহাটে আমাদের পুরনো পাড়ার পুজোতে গেলেও যেতে পারি। 


পুজোতে কোনও অনুষ্ঠানের উপস্থিত থাকার প্রস্তাব আছে?


পায়েল : কথাবার্তা তো চলছেই। এবারে পারিশ্রমিক নয়, সুরক্ষাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। তাই কোথায় যাব, কোথায় যাব না সেটা ভেবে দেখতে হবে। তবে পুজোতে কলকাতার বাইরে কোথাও নয়।


আরও পড়ুন-'ছোট্ট টিপ, হালকা লিপস্টিক' নয়, মাস্ক ঢাকা মুখে চোখের মেকআপেই নজর কাড়তে চান তুহিনা