রণিতা গোস্বামী : করোনা আবহে এবার পুজো নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সকলেই কেমন যেন উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। এবার পুজোটা যেন বড় বেশি ফ্যাকাসে। তবে হাজার হোক দুর্গাপুজোয় বাঙালিরা অল্প হলেও আনন্দ করবেন ঠিকই। তবে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কাছে পুজোটা এবার অনেকটাই অন্যরকম। কারণ, কলকাতায় নয়, এবার তারকা অভিনেত্রীর পুজো কাটবে সিঙ্গাপুরে। পুজোর কেনাকাটা থেকে টুকিটাকি নানান বিষয় Zee ২৪ ঘণ্টা ডট কমের সঙ্গে কথা বললেন ঋতুপর্ণা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 ঋতুপর্ণা : এবার পুজোয় সে অর্থে যে অনেককিছু পরিকল্পনা আছে, তা নয়। এবার তো সিঙ্গপুরেই পুজোটা কাটবে। কলকাতায় যেতেও পারছি না। কবে যেতে পারব জানি না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার সিঙ্গাপুরে দুর্গাপুজোটাও হচ্ছে না। আর কলকাতার পুজোও দেখতে পাব না। তাই মনটা খারাপ তো বটেই।


পুজোয় কেনাকাটা কিছু কি করেছ?


ঋতুপর্ণা : পুজোর কেনাকাটা এবার সত্যিই হয়নি। নতুন যা কিছু আগে থেকে কেনা আছে সেগুলোই পরব। বাড়ির জন্যও কিছু কিনতে পারিনি। আসলে পুজোর কেনাকাটা সিঙ্গাপুর থেকে কী আর করব! কলকাতায় ফিরলে না হয় সকলের জন্য কিনব। তবে সিঙ্গপুর থেকে বাড়ির ছোটদের জন্য কিছু না কিছু তো নিয়েই যাব। আর আমার মা, শাশুড়ি মা আমার ছেলেমেয়েদের জন্য কুরিয়ারে নতুন জামাকাপড় পাঠাচ্ছেন, ওদের সেগুলো পরাবো। 


অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করো?


ঋতুপর্ণা : অনলাইনে কেনাকাটা আমার ছেলেমেয়েরা করে। আমি অনলাইনে বিশেষ কেনাকাটা করি না। আসলে টুকটক অনলাইনে কেনাকাটা চলতে পারে। তবে জামা-কাপড় দেখে ট্রায়াল না দিয়ে কেনা আমার পছন্দ নয়। আসলে পুজোর কেনাকাটার আনন্দটা একটু  অন্যরকম। ওটা ঠিক অনলাইনে হয় না। আমারা যাঁরা বাঙালি তাঁদের মধ্যে পুজোর কেনাকাটার আনন্দটা ছোট থেকেই থাকে। সেটা এখনও আছে, সেই বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত থাকবে। 


সারা বছর প্রচুর কেনাকাটা করি। যখন কাজের জন্য বিভিন্ন দেশে যাই, সেখান থেকে কেনাকাটা করি। আবার বিভিন্ন ডিজাইনাররা যখন নতুন কিছু নিয়ে আসেন, তাঁদের কাছ থেকেও কিনি। তাঁরা অনেকসময় আমাদের উপহারও দেন। আবার পুজোর সময় তাঁরা যদি নতুন ডিজাইনার কিছু আনেন, তাহলে হয়ত, বাচ্চাদের জন্য, মায়ের জন্য, ভাইয়ের জন্য, ভাইয়ের বৌয়ের জন্য কিনে নিলাম। এইরকমটাই তো প্রত্যেকবার হয়, তবে এবারটা অন্যরকম। তবে এবারেও আমি আর আমার স্বামী সঞ্জয়, পুজোর দিনগুলোতে অন্তত আগে থেকে কেনা নতুন জামা-কাপড়ই পরব। ছেলেমেয়েদেরও নতুনই পরাব।



পুজোয় ইন্ডিয়ান নাকি ওয়েস্টার্ন কী পরতে পছন্দ? 


ঋতুপর্ণা : উৎসবে আমার সবসময়ের জন্য ইন্ডিয়ান, চিরাচরিত সনাতন লুকটাই পছন্দ। ওয়েস্টার্ন বা অন্যরকম কিছুতো সারা বছর পরি। যে উৎসবটা একান্ত আমাদের। সেখানে নিজস্ব রুচির, নিজস্ব পোশাক পরাই আমার পছন্দের। পুজোর সময় আমি শাড়িই পরতে পছন্দ করি। সঞ্জয় হয়ত পাঞ্জাবি পরবে, আমি শাড়ি, আর মেয়েকে  ঘাগড়া টাইপ কিছু পরাবো, ছেলেকে শার্ট পরাতে পারি। 


গয়না আর মেকআপ?


ঋতুপর্ণা : শাড়ি পরলে ট্রাডিশনাল গয়না পরতেই আমার ভালো লাগে। ভালো করে চুল বেঁধে তার সঙ্গে ট্রাডিশনাল গয়না।  চুলটা হয়ত একটু আলাদারকম হলেও হতে পারে (একটু ভেবে)। তবে পুজোর সাজে বড় টিপ, ফুলের মালা, বড় চুড়ি, সাবেকি গয়না আমার খুব পছন্দের।


কোনও অনুষ্ঠান না থাকলে আমি সাধারণত কম মেকআপ করতে পছন্দ করি। কাজল, লিপস্টিক, এগুলো তো ব্যবহার করবই, তা যতই মাস্ক পরি। মাস্ক যখন খোলার সুযোগ পাব, তখনই না হয় একটু আধটু মেকআপ দেখা যাবে। (হাসি)



সিঙ্গাপুরে পুজোটা কাটাবে কী করে, সেটা ঠিক করেছ?


ঋতুপর্ণা : পুজোর দিনগুলোতে এখানে বন্ধুদের সঙ্গে গেট-টুগেদার তো হবেই। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমীতে এক একজন বন্ধুদের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া থাকবে। খাওয়াদাওয়ায় কিন্তুু একেবারেই বাঙালিয়ানা থাকবে। এখানে রামকৃষ্ণ মিশন রয়েছে। ওখানে হয়ত ঘট পুজোর ব্যবস্থা থাকবে। ওখানে একটু যাব ছেলেমেয়ে ও সঞ্জয়কে নিয়ে। হোমের বাচ্চাদের জন্য উপহার নিয়ে যাব।


তবে হ্যাঁ, অষ্টমীর অঞ্জলি, পুজোর ভোগ এগুলো এবার মিস করব খুব...