অনুসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায় : মহালয়ার পরও পুজোর গন্ধটা এখনও যেন ঠিক অনুভব করা যাচ্ছে না। না আছে ঢাকের বাদ্যি, না আছে ঘুরে ঘুরে পুজোর কেনাকাটার আনন্দ। মহামারীর মাঝে এবার পুজোটা কেমন যেন ফ্যাকাসে। পুজোয় ঠিক কী হবে, তার ধারনা প্রায় কারোর কাছেই নেই। তবে এবার অন্যরকম পুজোর মধ্যে তারকারা কী করছেন? তাঁরা কী কেনাকাটা করছেন? এসব নিয়েই Zee ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে কথা বললেন অভিনেত্রী মনামী ঘোষ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মনামী : শপিং কিছু টুকটাক হয়েছে, সেগুলো সব অনলাইনে। যা হয়েছে, তার মধ্যে হয়ত কেউ গিফট দিয়েছে, বা আমি কাউকে দেওয়ার জন্য কিনেছি। যদিও সেটা খুবই অল্প। দোকানে গিয়ে আর কিছুই কেনা হয়নি। 


পুজোর প্ল্যান তো কিছু হয়নি। প্রত্যেকবার যেমন পুজোর জাজমেন্ট থাকে, ওপেনিং থাকে এবার এখনও সেইরকম কোনও পরিকল্পনা নেই। গতবার যেমন সপ্তমী অবধি ছিলাম, তারপর ভিয়েতনাম গিয়েছিলেন। এবার তো বাইরে যাওয়ারও কোনও প্ল্যান নেই। দু-একটা শাড়ি আমি অনলাইন কিনেছি। পুজোয় যদি কিছু হয়, কোথাও যেতে হয়, কিংবা টেলিভিশনের বিভিন্ন পুজোর আড্ডা অনুষ্ঠানে অনেক সময় যেতে হয়, সেজন্য রেডি করে রাখা। আমার একটা এইরকম অনুষ্ঠান রয়েছে, যেখানে আমায় সঞ্চলনা করতে হবে। যেটা অক্টোবরের শুরুতেই শ্যুট হয়ে যাবে। পুজোর সময় টেলিকাস্ট হবে। সেটায় আমি কী পরবো, আমার যে ডিজাইনার জয়, ও রেডি করছে। ওটাতে ইন্ডিয়ান কিছু পরবো, লেহেঙ্গা পরব, কিংবা শাড়ি।


এছাড়া কিছু শাড়ি কিনেছি, তার সঙ্গে অনলাইন কিছু গয়নাও কিনেছি। সেগুলো ডিজাইনার জুয়েলারি, একটা যেমন গলার লকেট, কানের সবেতেই লেখা রয়েছে। এছাড়া মা, মাসিদের উপহার দেওয়ার জন্য কিছু অর্ডার দেওয়া হয়েছে। সবই অনলাইন। দোকানে গিয়ে কিছু হয়নি। 


আরও পড়ুন-বিয়ের পর প্রথম পুজো, মিথিলাকে কী উপহার দিলেন সৃজিত?



শপিং মলে ঘুরে কিনতে পারছো না, তবে অনলাইন অর্ডার কি পুজোর শপিংয়ের আনন্দ দিতে পারছে?


সবটা হয়ত হচ্ছে না। ৫টা অর্ডার দিলে, সেটা যখন আসছে, মনে হচ্ছে ২ ভালো, বাকি হয়ত ঠিক মনে ধরছে না। আবার কোনওটা যতটা ভেবেছিলাম, তার থেকেও ভালো। তবে সামনাসামনি দেখে কেনার মজাটাই আলাদা। আমি শাড়ি কিনলে বুটিক থেকে কিনি। যেখানে একটা ডিজাইন শুধু একটি শাড়ির কিংবা দুটি শাড়ির জন্য। সেটা তো হচ্ছে না। যদিও এখন দেখছি অনলাইনে প্রচুর বুটিক। অনেকে ফেসবুকে প্রচুর বিক্রি করছে লাইভ করে। আমি এখন এক্সক্লুসিভ কিনতে হলে বানিয়ে নিচ্ছি। আমি হয়ত ডিজাইন বলে দিচ্ছি বা ডিজাইনার করে দিচ্ছেন। (হাসি)


আমি পুজোয় মূলত শাড়ি আর লেহেঙ্গা পরি। ওয়েস্টার্ন পুজোতে আমার একেবারেই পছন্দ নয়। পুজোর আমি হয়ত ঘুরতে বের হতে পাড়ি না। তবে পুজোর যে আমেজ থাকে, সেটা চারপাশের লোকজনকে দেখলেও বোঝা যায়। আত্মীয়-স্বজন বন্ধুরা বের হচ্ছে, কিনতে যাচ্ছে, কী কিনল, তা নিয়ে কথা হচ্ছে। এই ব্য়াপারটা হচ্ছে না একেবারেই। পুজোর কদিন কে কোথায় যাচ্ছে, সেটা নিয়ে কথা, বাইরে কোথায় খেতে যাবে, সেটা নিয়ে কথা। এই সবের মধ্যেই পুজোর গন্ধ আছে। মহালয়ার পর থেকেই বোঝা যায়, পুজো পুজো রমরমা। এবার কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। অনেক নিষেধাজ্ঞা।


আরও পড়ুন-বাড়ির পুজোয় ভারী সোনার গয়না পরাই রীতি, বাকি দিন রুপোর গয়না পরব : কৌশানি মুখোপাধ্যায়



আবার পুজো মানে সিনেমা, প্রচুর ছবি মুক্তি পায়। আমার 'বেলা শুরু' রেডি, জুন ৬ এ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়ত ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছর হবে। সেটার জন্য় তো মনখারাপ রয়েছেই। আরও অনেক ছবিই মুক্তি পাচ্ছে না। দর্শকদেরও নিশ্চয় মন খারাপ। 


আর পুজোয় কী করবো, সেটা এখন কিছুই ঠিক হয়নি। হয়ত বাড়িতে আড্ডা হবে সবাই মিলে। অন্য়ান্য়বার মহালয়ার ৭ দিন পর পুজো, তাই ঠিক হয়ে য়ায়, এবারে তো কিছুই হয়নি। পুজোর ঠিক এক সপ্তাহ আগে বুঝতে পারবো। (হাসি)