রণিতা গোস্বামী : ২০২০র মহামারী আমাদের কাছ থেকে অনেক আনন্দই কেড়ে নিয়েছে। দুর্গা পুজোর আনন্দটাও হয়তবা এবার মাটি হতে পারে। তবুও তারই মাঝে 'কুড়িয়ে বাড়িয়ে' যতটুকু আনন্দ খুঁজে নেওয়া যায় আর কি। পুজোতে নতুন জামা-কাপড় কেনার আনন্দই আলাদা। পুজোর গন্ধের সঙ্গেই মিলেমিশে যায় নতুন জামা-কাপড়ের গন্ধ। তা এই মহামারীর মধ্যে তারকারা কীভাবে পুজোর কেনাকাটা করছেন? তা জানতে ইচ্ছা করে বৈকি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুজোর শপিং নিয়ে আড্ডায় Zee ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, সমাজকর্মী, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বিবাহ সূত্রে তিনি আবার সৃজিত ঘরণীও বটে। পুজোতে কী কিনেছেন, কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন নিজেই জানালেন মিথিলা।



মিথিলা : এটা যদিও আমার প্রথম পুজো নয়। গত বছরও ২-৩ দিন পুজোর সময় এখানে ছিলাম। তবে হ্যাঁ, বিয়ের পর এটা আমার প্রথম পুজো। (হাসি) এবার পুরো পুজোটাই এখানে থাকব। এখন এমন একটা অবস্থা পুজোর জন্য খুব যে পরিকল্পনা করে কিছু করতে পারছি তা নয়। তবুও একটু একটু করে কেনাকাটা করছি। সবার জন্য উপহার কেনা। পাচ্ছিও প্রচুর। (হাসি) দিদি গিফট দিয়েছেন (সৃজিতের দিদি, মিথিলার ননদ), মাও দিয়েছেন (শাশুড়ি মা)। পর্বে পর্বে উপহার পাচ্ছি। (হাসি) মা এখন একটা সালোয়ার কামিজ দিয়েছে। আমরা শান্তিনিকেতন বেড়াতে যাব। ওখানে কিছু কেনাকাটা করব ঠিক করেছি। শান্তিনিকেতনের হাতে বানানো শাড়ি আমার খুব পছন্দ, সেটা মাকে বলেছি। 


আরও পড়ুন-অনলাইনে কেনাকাটা করছি, তবে সামনে থেকে দেখে কেনার মজাটা মিস করছি : মনামী



পুজোর স্পেশাল যে গিফট, সেটা সৃজিতই আমায় দেবে। ওটা বাংলাদেশেই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আমি তো খুব জামদানি পরি। আমার একজন ডিজাইনার আছেন, ওখান থেকে আমি অনেক জামদানি কিনি। তিনিই বানাচ্ছেন। পুজোর আগেই পেয়ে যাব আশাকরি। আমি নিজের জন্য তো কিছু কিনিনি। মাকে একটা অ্যালেক্সা কিনে দিয়েছি। মা গান শুনতে ভালোবাসেন, নিজেও সেতার বাজান। আর দিদি, ভাগ্নীর জন্য গিফট কিনেছি। সৃজিতের জন্য় স্পেশাল গিফট হিসাবে বাংলাদেশ থেকে পাঞ্জাবির কাপড় এনেছি। আমাদের দুজনেরই সুকুমার রায় খুব পছন্দ। সুকুমার রায়ের কবিতা লেখা আমার একটা শাড়ি আছে, ওই একই কাপড়ের সৃজিতের পাঞ্জাবি। এটা অর্ডার দিয়ে বানানো হয়েছে। 



আরও পড়ুন-'ছোট্ট টিপ, হালকা লিপস্টিক' নয়, মাস্ক ঢাকা মুখে চোখের মেকআপেই নজর কাড়তে চান তুহিনা



আইরার জন্য মা (শাশুড়িমা) একটা ড্রেস বুটিকে অর্ডার দিয়েছে। যদিও পুজোয় তো বের হতে পারব বলে মনে হয় না। বাড়িতেই শাড়ি পরব, সাজবো। এবার যেমন বাংলাদেশে ইদ হয়েছিল, বাড়িতেই আমরা সেজেগুজে ছবি তুলেছি। তেমনই হবে পুজোতেও। আর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও আড্ডা দেব। যেমন অনুপম (গায়ক অনুপম) আমাদের বিল্ডিংয়ের থাকেন। যতটা নিরাপত্তা বজায় রেখে আড্ডা দেওয়া যায়।


এখন এই মহামারীর কারণে মা, দিদি সবাই এক বাড়িতেই আছি। বাড়িতেই হইচই হবে। ঠাকুর দেখতে বের হব কিনা বুঝতে পারছি না। যদিও বিয়ের পর প্রথম পুজো, অনেক পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। প্যান্ডেল হপিং তো হবে না। মায়েরা যেখানে থাকেন, ওখানে হয়তো পুজো হবে, যাব। এই আর কি...