সবকিছুই ডিজিটাল হচ্ছে, বিপদও বাড়ছে, `পাসওয়ার্ড`-এর ঝুঁকি নিয়ে মুখ খুললেন দেব
রণিতা গোস্বামী
রণিতা গোস্বামী
নিজের প্রযোজনা সংস্থার তরফে 'চ্যাম্প', 'কবীর', 'ককপিট'-এর মত একের পর এক নতুন বিষয়ের উপর ছবি বানিয়ে বাংলার বানিজ্যিক ছবির সংজ্ঞাকেই বদলে দিয়েছেন। আর এবার সাইবার ক্রাইমের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন 'পাসওয়ার্ড'-এর মতো একটা ছবি। এক্কেবারে হলিউডি কায়দায়। সাইবার দুনিয়ার অন্ধকার জগৎ, 'পাসওয়ার্ড'-এর রকমফের নিয়েই Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের সঙ্গে কথা বললেন সাংসদ, অভিনেতা, প্রযোজক দেব।
পাসওয়ার্ড: You Are being Watched। অভিনেতা দেব এই মুহূর্তে যখন সাক্ষাৎকার দিতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই কি কেউ দেবের উপর নজরদারি চালাচ্ছে?
দেব- শুধু আমি নয়, সবাই নজরদারিতে রয়েছে। দেখো না, চারিদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো (সিসিটিভির দিকে দেখিয়ে)। একটা ডেটা অ্যানালিসিস সবসময় তোমার উপর চলছে। তুমি কোথায় যাচ্ছে, কী কিনছো, কোন ফেসবুক পোস্টে তুমি লাইক করছ, তোমার রাজনৈতিক মতাদর্শ কী, সব ডেটাই রয়েছে। শুধু আমার নয়, প্রত্যেকটা মানুষের। ধরো, তুমি উবর ব্যবহার করছ, উবরও জানে তুমি কটার সময়, কোথায় যাচ্ছ। You Are being Watched মানে এটা নয় যে পাশের বাড়ির লোকজন নজরদারি চালাচ্ছে। আমরা এমন একটা সিস্টেমের মধ্যে রয়েছি যে এই নজরদারির মধ্যে দিয়েই চলতে হচ্ছে। আজকে রাস্তাতেও সিসিটিভি ক্যামেরা। আবার রাস্তায় জিপিএস অন করে হাঁটলে তুমি কোন রাস্তা দিয়ে কোথায় যাচ্ছে, কী করছ সবই জানা যায়। তুমি যখন মোবাইলে কোনও অ্যাপ ব্যবহার করো, তখন তোমার ফোনের অ্যাকসেসের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। তবে এই নয় যে, ও তোমার অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। বরং ও তোমাকে ব্যবহার করছে।
আর এই যে আমি রেকর্ড করছি তোমার কথাবার্তা, তবে এই রেকর্ডিং কি অন্য কারোর কাছে চলে যাওয়ার সম্ভবনা আছে?
দেব- হ্যাঁ, অবশ্যই। তুমি যে কোম্পানির ফোন ব্যবহার করছ (ফোনটা হাতে নিয়ে) এই কোম্পানির একটা ক্লাউড আছে। আর এটা হ্যাক করতে একটা হ্যাকারের ৫-১০ মিনিট লাগবে। কোনও হ্যাকার তোমার ফোন কোম্পানির ক্লাউডে গিয়ে তোমার একটা ই-মেইল আইডি পাবে। সেখানে ঢুকবে, ট্র্যাক করবে আর সব পেয়ে যাবে। কোনও ব্যাপারই না।
পাসওয়ার্ড-এর মত বিষয় বর্তমান সময়ে ভীষণই প্রাসঙ্গিক। এধরনের একটা বিষয়ে ছবি করার ইচ্ছা কীভাবে ও কবে মাথায় এসেছিল?
দেব- তুমি প্রযোজক দেবকে দেখলে দেখবে আমি সবসময় বর্তমান যুগের সাপেক্ষে বিষয় নির্বাচন করার চেষ্টা করেছি। আমরা মুম্বইয়ের ছবি থেকে অনেক বছর পিছিয়ে আছি। (গম্ভীর হয়ে) এই স্পিডটা ধরতে গেলে আজকের সাবজেক্ট, আজকের টেকনোলজি, মেকিংকে ধরতে হবে। আমি বক্সিংকে নিয়ে 'চ্যাম্প' করেছিলাম। 'চ্যাম্প'-এর পর সুলতান (সুলতান ছবিতে কুস্তিগীরের ভূমিকায় দেখা যায় সলমনকে) এল। তারপর পহেলবানের (দঙ্গল) ভূমিকায় দেখা গেল আমিরকে। আরে, খেলাধূলার উপর ছবি মানে শুধু ফুটবল বা ক্রিকেট নয়। সেটা ভেবেই 'চ্যাম্প' করেছিলাম। আমিই একমাত্র ভারতবর্ষে যে মাঝ আকাশে ছবি করেছি (জোর দিয়ে বললেন)। ৩৬০০০ ফিট উঁচুতে আকাশের মধ্যেও যে এমন গল্প 'ককপিট' হতে পারে, কেউ ভেবেছিল? বিমানের মধ্যেও একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প হতে পারে। ক্র্যাশ ল্যান্ডিং নিয়ে ছবি, কেউ ভাবেনি। যখন আমরা বিদেশি ছবি দেখি বিমান নিয়ে, সেনার গল্প নিয়ে, এটা, ওটা, সেটা নিয়ে, তখন আমরা ভাবি আমাদের দেশে বা আমাদের বাংলায় এধরনের ছবি কবে যে হবে? দেখো, তুমি যদি অপেক্ষা করে থাকো তাহলে হবে না। একটা নতুন বিষয় নিয়ে কেউ ছবি করবে, তারপর আমি করব এই ভাবনায় আমার বিশ্বাস নেই। নিজের মত করে চেষ্টা করা উচিত।
'কবীর'ও সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি। পুরো ছবিটা আমরা ট্রেনের মধ্যে শ্যুট করেছিলাম। আর 'পাসওয়ার্ড'- নিয়ে তো প্রায় প্রত্যেকেই ভুক্তভোগী। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড নিয়ে জালিয়াতির ঘটনা আজকাল তো নিত্যদিনের। আজকাল সবাইতো ডিজিটাল ট্রানজাকশন করি। আমরা তো ক্যাশলেস-এর দিকেই এগোচ্ছি। তাই না?
নজরদারি থেকে বাঁচতে করণীয় কী?
দেব- এর মধ্যে থেকে আমরা বের হতে তো পারব না। আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর দিন আসছে। তবে সদা সতর্ক থাকতে হবে। কতটা আমরা ফোন ব্যবহার করব, কোন অ্যাপ ব্যবহার করব আর কোনটা করব না। আমাদের ট্রেলারটা দেখেছো? (কথা বলতে বলতেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে)
হ্যাঁ হ্যাঁ।
দেব- ট্রেলারে শুরুতেই একটা ঘটনা দেখছ নিশ্চয়। সেটাও কিন্তু সত্যি ঘটনার উপরই তৈরি। অনেক মেয়েরাই তাঁর প্রেমিককে ব্যক্তিগত ছবি পাঠায়। পরবর্তী সময়ে সেই সম্পর্ক ভাঙার পর অনেকসময়ই তাঁকে সেই ছবি, ভিডিয়ো ফাঁসের ভয় দেখিয়ে প্রতারণা করা হয়। পর্ন সাইটে এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে এমন ঘটনাও তো ঘটেছে। আমাদের পাঁশকুড়াতেও এমন একটা ঘটনা ঘটে। মেয়েটাকে ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁর প্রাক্তন বিভিন্ন ভাবে ব্ল্যাকমেইল করত, শেষপর্যন্ত ভিডিয়োটা পর্ন সাইটে আপলোড করে দেয়। তাও আবার মেয়েটার নাম, বাবার নাম ও ভিডিয়োটা দিয়ে আপলোড করা হয়। অপমানে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে যায়। এই ঘটনাটা নিয়ে মামলাও চলে। সেই মামলায় মেয়েটি জিতে যায় এবং প্রথমবার আদালত এধরনের ঘটনাকে ধর্ষণের মামলা বলে চিহ্নিত করে। কারণ, এখানে মানসিকভাবে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণই তো করা হয়েছে। আর এটাও তো সাইবার ক্রাইম।
গোটা পৃথিবী জুড়ে সাইবার দুনিয়াটা ক্রমাগত বাড়ছে। এখানে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করছে এমন লোকজনই নিয়োগ করা হয়। কারণ, আগামী দিন পুরোটাই ডিজিটাল হয়ে যাবে। চুরিও হবে ডিজিটাল মাধ্যমের উপর ভিত্তি করেই।
তোমার ছবি 'পাসওয়ার্ড'-এর ট্রেলার দেখে অনেকেই বলছে এখানে হলিউডের লুক অ্যান্ড ফিল রয়েছে। ছবিটিকে এই মান দেওয়ার জন্য অনেকগুলো টাকা নিশ্চয় বিনিয়োগ করতে হয়েছে। অভিনেতা হিসাবে এধরনে ছবি করে দেব খুশি হলেও, প্রযোজক দেব কি কোনওভাবে চিন্তিত?
দেব- দেখো, চিন্তিত এই অর্থে নয় যে কত খরচ হয়েছে। আমি ভাবছি মানুষ কীভাবে এই বিষয়টাকে গ্রহণ করবে? এটা তো সম্পূর্ণ একটা নতুন বিষয়। কেউ এধরনের বিষয় নিয়ে ছবি করেছে, সেটা দেখে আমি করছি, এমনটা নয়। আমি দর্শকদের নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করছি। এটা যদি ভালো হয়, অন্যরা অনুসরণ করবে। আর যদি খারাপও হয়, তাহলেও কোনও ব্যাপার নয়, বুঝব আমি শিখলাম।
না, আমি বলছিলাম, বলিউডের ক্ষেত্রে একটা বড় অঙ্কের টাকা ওরা বিনিয়োগ করে এবং সেটা উঠেও যায়। কিন্তু বাংলায় এধরনের একটা ছবিতে বিনিয়োগ করে চিন্তা হচ্ছে না?
দেব- হ্যাঁ, বলিউডের ক্ষেত্রে টাকা উঠে যায়, এটা সত্যি। এখানে এটাই একটা সমস্যা জানো তো, একজন অন্যজনকে এগোতে দিতেই চায় না। কিন্তু ঠিক আছে। তাহলে কি নতুন কিছু করব না? (প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে) কাউকে না কাউকে তো চেষ্টা করতেই হবে। (হাসি)
এই যে হল পাওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তুমিই উদ্যোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বললে, তারপর উনি EIMPAকে চিঠি দিলেন। তাও কিছুটা হলেও সমস্যা সমাধান তো হল, এটা নিয়ে কী বলবে?
দেব- অবশ্যই অনেকটাই সমস্যা মিটেছে। কতটা সমাধান হল বলো তো, আজকে সবাই ৪টে করে শো পাচ্ছে। আমি না বললে, না দাঁড়ালে এটা তো হত না। এগুলো তো পেত না।
(একটু থামাচ্ছি) এই যে এ রাজ্যে হল ক্রমাগত সিঙ্গল হল গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হল কমে যাওয়াটাও হল না পাওয়ার একটা কারণ নয় কি? তুমি সাংসদ হিসাবে কি কোনও পদক্ষেপ নিতে চাইবে?
দেব- দেখো সাংসদ (সুর নরম করে) তো সব করতে পারে না। হল মালিকদেরও হলটাকে নতুনভাবে গড়তে হবে। সবাই আজকাল মাল্টিপ্লেক্স ফিলটা চায়। গ্রামে বসেও চায়। সবাই চায়, তাঁরা এসিতে বসে সিনেমা দেখবে। শৌচালয়টা পরিস্কার থাকবে। ছবি দেখে খাবারও খেয়ে নেওয়া যাবে ওই একই জায়গায়। আবার শপিং সেন্টার থাকবে। দেখো যাঁরা হলটা নতুনভাবে সাজাতে পারছেন, তাঁদের হল ভালো চলছে। আবার যাঁরা পারছেন না, তাঁরা বন্ধ করে দিচ্ছেন। আমি এই অনুরোধ সবাইকেই করেছি। EIMPA-কেও বলেছি। আস্তে আস্তে সবাইকেই যুগের সঙ্গে পাল্লা দিতেই হবে। আমিই যদি এই 'পাসওয়ার্ড' এর পিছনে এত না খেটে পাতি একটা ল্যাপটপ নিয়ে ছবি বানাতাম, তাহলে কেউই দেখত না। তাই যুগের সঙ্গে পাল্লা দিতেই হচ্ছে।
একটা বিষয় আমার খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করছে, যে বলিউডের ক্ষেত্রে সাধারণত একই দিনে এতগুলো ছবি মুক্তি পায় না। এক ডেট হলেও সেটা নিজেদের মধ্যে কথা বলে পরিবর্তন করে নেওয়া হয়। বাংলাতে এটা হয় না কেন? এক দিনে এতগুলো ছবিও কি হল না পাওয়ার একটা সমস্যার কারণ নয়?
দেব- তা তো বটেই। আমি জানি না, বাংলায় এই ইউনিটি কবে আসবে। আমিও চাই এটা হোক। (মুখে বিরক্তির শব্দ) এটাই সমস্যা জানো তো। এই জন্যই আমরা এগোতে পারি না, ইউনিটি নেই বলে।
'পাসওয়ার্ড'-এ রোহিত দাশগুপ্ত হয়েছ। এই চরিত্রটার জন্য় তোমায় নতুন কী করতে হয়েছে?
দেব- অনেককিছুই। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে শুরু করে, প্রেজেন্টেশন, ডায়ালগ কোনওটাই কিন্তু দেব নয়। আমি যেটা চেষ্টা করছি গত ৪-৫ বছর ধরে। যেগুলি তথাকথিত বানিজ্যিক ছবি যেমন 'হৈচৈ আনলিমিটেড'-এর মতো ছবিতে দেব আছে। 'কিডন্যাপ'এও দেব ছিল। কিন্তু যেগুলি চরিত্র কেন্দ্রিক ছবি, যেমন 'কবীর', 'চাঁদের পাহাড়', 'আরশিনগর', 'বুনোহাঁস', 'সাঁজবাতি' (আসছে), আর এই পাসওয়ার্ড এখানে চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। আমার চেষ্টা যে মানুষ যেন রোহিতকেই দেখে। তারপর বলে, ও দেব এটা করেছে, খুবই ভালো। এই ছবিতে প্রত্যেক দৃশ্যই অন্যরকম। এধরনের চরিত্র আগে করিনি।
অনিকেত চট্টোপাধ্য়ায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, এছাড়াও আরও অনেকের সঙ্গে তো ছবি করলে, কার সঙ্গে বেশি স্বস্তিতে কাজ করো?
দেব- আমি এক্কেবারেই 'ডিরেক্টরস অ্যাকটর' বলতে পারো। পরিচালক যেটা বলবেন সেটাই করার চেষ্টা করি। সেজন্যই কোনও পরিচালকের সঙ্গেই আমি স্বস্তিতে কাজ করতে পারি। এমনকি আমি কৌশিকদার (কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়) সঙ্গেও কাজ করেছি একটা ছবিতে। সেটা অবশ্য কোনও কারণে মুক্তি পায় নি। তবে কাজ করে ভালো লেগেছে। সকলের সঙ্গেই তো কাজ করলাম অসুবিধা হয়নি কখনও।
পরিচালক হিসাবে কাকে তুমি প্রথম সারিতে রাখবে, আর কাকে পরে?
দেব- দেখো প্রত্যেকেই তাঁদের নিজেদের মত করে বাংলা ছবিকে নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করছেন, আমার মনে হয় না এটা আমার বলা উচিত। (গম্ভীর হয়ে)
আগে সোশ্যাল মিডিয়া খুললে দেবের নামে অনেক ট্রোল পেজ থাকত, এখন আর সেটা হয় না। উল্টে তোমার কাজ নিয়ে প্রশংসা হয়। ( প্রশ্নের মাঝেই ঘুরে চোখ তুলে হাসি দেবের) তবে আজকাল অনেকেই আবার ট্রোলড হয়ে অনেকরকম মন্তব্য করে বসেন। তাঁদের তুমি কী টিপস দেবে?
দেব- সরি, কী বললে? (মজা করে প্রশ্ন) ও তুমি অঙ্কুশের কথা বলছ (হাসি)। (এবার একটু গম্ভীর) না কিছুই না, আমি বলব, মাথা ঠাণ্ডা রাখতে। সব ব্যাপারে মাথা না ঘামানোই ভালো। তবে এটাও তো ঠিক সবাই তো চুপ থাকতে পারে না। আমি সহ্য করে নিতে পারি বলে সবাই যে পারবে তেমনটাও নয়। এবার তাঁরাই ঠিক করুক কোনটা ভালো কোনটা খারাপ।
তুমি, তো নতুন অনেক কিছুই ভাবছো, ওয়েব সিরিজ নিয়ে কাজ করার কথা কিছু ভেবেছো?
দেব- না গো, এখন আপাতত ভাবিনি।
সাংসদ, প্রযোজক ও অভিনেতা দেব, এই সুপার সাকসেস হওয়ার পাসওয়ার্ড কী?
দেব- এই তো তোমাদের মত মানুষের ভালোবাসা, পাশে থাকা। দর্শকদের আশীর্বাদ এবং অবশ্যই বাবা-মায়ের আশীর্বাদ।
তুমি কখনও পরিচালনায় আসতে চাইবে?
দেব- জানি না। ভাবিই নি এটা।
কথায় বলে, 'Behind Every Successfull Man, Their is a Woman'। তোমার সাফল্যে কার হাত রয়েছে?
দেব- অনেকে আছে (মজা করে), আমার অনেক হিরোইন আছে। আমার মা আছে, সবাই আছে। প্রথমে অবশ্যই মা।
সাংসদ, অভিনেতা, নাকি প্রযোজক, কী হিসাবে নিজেকে দেখতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে?
দেব- অবশ্যই অভিনেতা
আরও পড়ুন-গায়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ৬০টি ইঁদুর, আঁচড়ে-কামড়ে একাকার: রুক্মিণী