রণিতা গোস্বামী:  বাংলাদেশের পরিচালক রফিক সিকদারের সঙ্গে ঝামেলার জেরে এতোদিন পর্যন্ত ঝুলে ছিল বাংলাদেশের ছবি 'হৃদয়জুড়ে'র ভাগ্য। আদৌ কি ছবির শ্যুটিং শেষ হবে? তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিলই। অবশেষে সিনেমার স্বার্থে ছবিটির কাজ শেষ করার কাজে এগিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। বিশেষ কিছু শর্তে ছবির শ্যুটিং শেষ করতে রাজি হয়েছেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিচালক রফিক সিকদার নিজেই ZEE ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে কলকাতাতে চলছে তাঁর ছবি 'হৃদয়জুড়ে'র শেষকিছু অংশ ও একটি গানের শ্যুটিং। তবে এক্ষেত্রে প্রিয়াঙ্কার শর্ত মেনে নিয়েই শ্যুটিং স্পটে হাজির হননি পরিচালক রফিক সিকদার। তিনি রয়েছেন কলকাতার এক হোটেলে। পরিচালককে ছাড়াই সহযোগী পরিচালকের উপস্থিতিতেই ছবির কাজ শেষ করছেন প্রিয়াঙ্কা।


আরও পড়ুন-প্রয়াত জনপ্রিয় দক্ষিণী অভিনেতা বিনোদ





প্রসঙ্গত গত মার্চ মাসে বাংলাদেশের প্রথম ছবি হৃদয়জুড়ের শ্যুটিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। পরিচালক রফিক সিকদারের বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি পরিচালক তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন বলেও অভিযোগ আনেন তিনি। পাশাপাশি সময়ে অসময়ে পরিচালক তাঁকে মেসেজের মাধ্যমে উত্যক্ত করতেন বলেও দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা। পুরো বিষয়টি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান।


আরও পড়ুন-'বুড়ি' বলায় রেগে গেলেন জয়া!





পরিচালক রফিক সিকদারকে Zee ২৪ ঘণ্টার তরফে প্রিয়াঙ্কার অভিযোগের বিষয়ে শনিবার প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নেন। রফিক সিকদার বলেন,'' হ্যাঁ ওর সঙ্গে একটু সমস্যা হয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝির তৈরি হয়েছিল। প্রযোজক এই ছবিটিতে অনেক টাকা লগ্নি করে রেখেছিলেন। তবে শেষপর্যন্ত ওর শর্ত মেনে নিয়েই শ্যুটিং শেষ করছি। কয়েকটা দৃশ্য ও গানের শ্যুটিং বাকি ছিল, তাই এটা প্রিয়াঙ্কাকে ছাড়া শেষ করা যাচ্ছিল না। এদিকে প্রযোজক চাইছিলেন ছবির কাজ শেষ হোক। অবশেষে কলকাতার কিছু মানুষের সহযোগিতায় ছবিটা শেষ করা সম্ভব হচ্ছে। প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কথা বলেই সিনেমার সিডিউল দেওয়া হয়েেছে। আমার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার আর কথা হয়নি, কথা বলিও না ওর সঙ্গে। আমাকে প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানানো হয়, প্রিয়াঙ্কা আমায় শ্যুটিং স্পটে দেখতে চায় না, তাই আমিও ওর দাবি মেনে শ্যুটিং স্পটে যাচ্ছি না। আমি পুরো বিষয়টিই আমার সহযোগী পরিচালককে বুঝিয়ে দিচ্ছি, উনি সেই মতোই শ্যুটিং করে আনছেন। ''


আরও পড়ুন- বলিউডে স্বস্তিকার দ্বিতীয় পদক্ষেপ, সঙ্গী সেই সুশান্ত


প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে যেটা ঘটেছিল সেটা কি নেহাতই ভুল বোঝাবুঝি, নাকি সত্যি? এই প্রশ্নের উত্তরে রফিক বলেন, '' দেখুন আমি সরলভাবেই বলেছিলাম কথাটা। বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়েই একটা কথা বলেছিলাম ওকে। পুরোটাই আবেগের বহিঃপ্রকাশ। এটা নিয়ে আর বেশি কথা বলতে চাই না। আমার যেটা মনে হয়েছিল সেসময় আমি বলেছিলাম। আবার প্রিয়াঙ্কার যেটা মনে হয়েছিল সেটা ও করেছে। তবে ওর প্রতি আমার আর কোনও ক্ষোভ নেই। তবে যেটা ঘটেছিল, সেটা যে এতো বড় হয়ে দাঁড়াবে আমি বুঝি নি।''


পাশাপাশি রফিক বলেন, ''বাংলাদেশ ও কলকাতা আমি দুটোকেই এক চোখে দেখি। আমি সংস্কৃতির বন্ধন দিয়ে দুই বাংলাকে এক হতে দেখতে চাই। আমি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল চেতনার মানুষ। আমরা দুই বাংলার মানুষ এক ভাষায় কথা বলি, আমাদের সংস্কৃতিও এক। তাই আমাদের মধ্যে বিভেদ না থাকাটাই ভালো। বাংলাদেশেও  কলকাতার ছবি প্রদর্শন নিয়ে কেউ বিরোধিতা করলে আমি তার প্রতিবাদ জানাই।''


আরও পড়ুন-'গহীন হৃদয়'-এ সাহসি ঋতুপর্ণা


প্রসঙ্গত, প্রিয়াঙ্কার বিপরীতে হৃদয়জুড়ে ছবিটিতে দেখা যাবে বাংলাদেশের অভিনেতা নিরব-কে। রফিক সিকদারের প্রথম ছবি 'ভোলা যায় না তারে' ছবিতেও নায়ক ছিলেন নিরব। ওই ছবিতে নায়িকা হিসাবে দেখা যায় তানহা তাসনিয়াতে।