Faisal Khan, Aamir Khan, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এর আগেও বহুবার অভিনেতা ভাই আমিরকে নিয়ে সরব হয়েছেন ফয়সল খান। ফের একবার অভিনেতা ভাইকে নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। সম্প্রতি, 'বিগ বস'-এ যোগ দেওয়া প্রস্তাব এসেছিল অভিনেতা ফয়সল খানের কাছে। যদিও সেই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। যেখানে 'বিগ বস'-এ যোগ দেওয়ার জন্য বহু অভিনেতা মুখিয়ে থাকেন, সেখানে তিনি কেন এমন প্রস্তাব ফেরালেন? সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই ভাই আমিরের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন ফয়সল খান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'বিগ বস' যেতে কেন রাজি হলেন না? এমন প্রশ্নে ফয়সল বলেন, 'এর আগে একবার তিনি আমির খানের জন্য গৃহবন্দি জীবন কাটিয়েছেন, আর কখনওই সেই ফাঁদে পা দিতে চান না। বিগ বসের বন্দি অবস্থায় একে অপরকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালান। ওই জীবনে তিনি আর ভোগ করতে চান না'। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা দেন ফয়সল। বলেন, 'আজকের দিনটি আমার কাছে খুশির, কারণ আমি দুটো প্রস্তাব পেয়েছি। এর মধ্যে একটি টিভি সিরিয়ালের, আর আরেকটা বিগ বসের। আমি ভীষণ খুশি যে লোকজন আমার কথা ভাবছেন। আমার জন্য প্রার্থনা করুন, যাতে আমি আরও কাজ পাই। আমি সিনেমা আর ওয়েব সিরিজ, দুটোতেই আপাদের বিনোদন দিতে চাই।'


আরও পড়ুন-এ কী হল! গলা থেকে বেরোচ্ছে না শব্দ, মিমির গান শুনতে গিয়ে হতাশ শ্রোতা!



সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বিগ বস প্রসঙ্গে ফয়সল বলেন, 'বিগ বসে প্রত্যেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন, ঝগড়া করেন মানসিক নির্যাতন করেন। আমি আর ওই ফাঁদে পা দিতে চাই না। যদিও হয়ত বিগ বস আমায় টাকা দিত। কিন্তু ঈশ্বর জানেন, আমি ওভাবে টাকা রোজগার করতে চাই না। আমি নিজেকে প্রশ্ন করেছি, কেন আমি খাঁচায় বন্দি থাকব! কে-ই বা বন্দি থাকতে চায়, সকলেই খোলামেলা বাঁচতে চায়। কয়েদির জীবনযাপনে কোনও মজা নেই। একবার আমি আমির খানের জন্য বন্দি জীবন কাটিয়েছি, আর নয়। আমি জলের মতো প্রবাহিত হতে চাই।'  


প্রসঙ্গত ২০০৭-০৮ সালে আমির এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেই আইনি লড়াইয়ে জড়ান ফয়সল খান। সেসময় ফয়সল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, 'সোজাসুজি জানাচ্ছি, আমি কোনওদিনই অসুস্থ ছিলাম না। আমার ভাই আমির এবং পরিবারের অন্যান্যরা এটা ছড়িয়ে দেয়। আসলে আমাকে অপহরণ করে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। এমনকি আমায় মানসিকভাবে অসুস্থ প্রমাণের জন্য ভুল ওষুধও খাওয়ানো হত। তবে আমার করা মামলায় বিচারক রায় দিয়েছেন, যে আমি অসুস্থ নই। তাই আমি এখন মুক্ত। আমি এখন স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটাতে পারব।'