জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাশিয়ার সিনেমা বললেই সারা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমী মানুষের মনে যে নামটি সর্বাগ্রে মনে পড়ে সেটি হল আন্দ্রেই তারকোভস্কি। বিশ্ব-সিনেমার বিস্ময়পুরুষ তিনি। অনেকটা আমাদের ঋত্বিক ঘটকের মতো শিল্পের উৎকর্ষের ব্যাপারে আপসহীন তারকোভস্কির নির্মিত ফিল্ম মাত্র সাতটি-- 'ইভান’স চাইল্ডহুড' (১৯৬২), 'আন্দ্রেই রুবলেভ' (১৯৬৬), 'সোলারিস' (১৯৭২), 'দি মিরর' (১৯৭৫), 'স্টকার' (১৯৭৯), 'নস্টালজিয়া' (১৯৮৩) এবং 'দি স্যাক্রিফাইস' (১৯৮৬)। আন্দ্রেই তারকোভস্কির বিখ্যাত কথা-- মানুষ চায় জগতে পরিবর্তন আনতে, বিশ্বসমাজকে আরো উন্নত করে তুলতে। মাত্র দুটি জিনিসের মাধ্যমে এটা সম্ভব-- একটি হচ্ছে জ্ঞান, অপরটি শিল্প!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Remembering Tilak Maharaj: সুরে-শোকে-শ্রীখোলে স্মরণ লোকসাধক শ্মশানবাসী তিলক মহারাজকে...


এহেন এক সিনেমা ও সিনেমা-দর্শনের আবহাওয়ার মধ্যে বেড়ে-ওঠা পাভেল লুঙ্গিনের। কেন হঠাৎ পাভেল লুঙ্গিনের প্রসঙ্গ? ২০২৩ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে তাঁর ছবি। দেখানো হবে 'জার' 'ট্যাক্সি ব্লুজ' 'দ্য আইল্যান্ড' 'দ্য কনডাক্টর' 'পুওর রিলেটিভসে'র মতো তাঁর যুগান্তকারী ছবিগুলি। 


১৯৪৯ সালের জুলাইতে জন্ম। ৭৪ বছরের লুঙ্গিনের প্রথম কাজ 'ট্যাক্সি ব্লুজ', তখন তাঁর ৪০ বছর বয়স। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এটি পুরস্কৃতও হয়। তবে লুঙ্গিনের মাটিটা বুঝতে গেলে তারকোভস্কিরও পিছন দিকে তাকাতে হবে। আর সেই শুরুর চূড়ায় আছেন সের্গেই আইজেনস্টাইন। সের্গেই আইজেনস্টাইন নানা অর্থেই সিনেমায় বিপ্লব ঘটিয়েছেন। ১৯২০-র দশকে সোভিয়েতের সমাজ-রাজনীতি নানা বিষয়ের উপর আলো ফেলত সেই সময়ের সিনেমা। এই সময়েরই এক গুরুত্বপূর্ণ ছবি ছিল সের্গেই আইজেনস্টাইনের 'দ্য ব্যাটলশিপ পোটেমকিন'। আজও ছবিটিকে সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি বিবেচনা করা হয়। এর বেশ কিছুটা পরে আসে (১৯৬০-১৯৭০ সাল) আন্দ্রেই তারকোভস্কির কাল। যিনি 'ইভান'স চাইল্ডহুড' দিয়ে রাশিয়ান ছবির অভিমুখটাই বদলে দিলেন। তাঁর ছবি কান এবং ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারও জিতে নিয়েছে। তিনি রাশিয়ার ছবির এক যুগপুরুষ তো বটেই, বিশ্বসিনেমাও তাঁর অবদান অপরিমেয়।


এই গভীর ও দীর্ঘ ঐতিহ্যই নিজের কাজে বহন করে চলেছেন পাভেল লুঙ্গিন। শৈল্পিক দৃষ্টিকেণে, রসের উৎকর্ষে, নির্মাণে, সৃজনে। 


কিন্তু প্রতিবাদে? রাষ্ট্রের নির্জলা সমালোচনায়? শিল্পীর বিবেকযন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশে? শাসকের চোখে চোখ রাখায়? 


আরও পড়ুন: Soumitra Chattopadhyay Death Anniversary: তিন বছর আগে এই দিনেই চলে গিয়েছিলেন তিনি...


না, বলতে গেলে সেদিক থেকে বেশ হতাশই করেছেন পাভেল। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা, তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই কাজকে রীতিমতো সমর্থন করেছেন। ২০১৪ সালেই পুতিন ইউক্রেনে সামরিক বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব করেছিলেন। সারা রাশিয়া থেকে এ বিষয়ে সই সংগ্রহ হয়েছিল। ইউক্রেনে ঘাঁটি গাড়ার সমর্থনে লেখা ওই চিঠিতে সই করেছিলেন 'জারে'র স্রষ্টা। যে-কারণে ইউক্রেন পছন্দ করে না বরেণ্য এই চিত্রপরিচালককে। ইউক্রেনে প্রবেশ নিষেধ তাঁর। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)