শর্মিলা মাইতি


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছবির নাম: ফিতুর


রেটিং: ****


ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে দেদার ছবি রিলিজের মাঝে ফিতুর এক স্নিগ্ধ হাওয়া। যাঁরা এই ভালবাসার হপ্তায় ভিড়ভাট্টায় ঘুরতে বা নেহাত চর্বিতচর্বণ ক্যান্ডললিট ডিনার না করে একটা আস্ত এক্সপিরিয়েন্স করতে চান, কোনও কথা না বলে, তাহলে অন্য কোথাও না গিয়ে সোজা ফিতুর-এই সময়টা ইনভেস্ট করতে পারেন।


প্রেমের মদিরায় ডুব দিয়ে উদ্দাম সেলিব্রেশন, উত্তাল জোয়ারে গা ভাসানো নয়, এ প্রেমের কাপে ধোঁয়া ওঠে। হিমেল বরফগুঁড়ির রাতে হালকা চুমুকে যে উষ্ণতা অনুভব করতে হয়। জীবনপথের একটুকরো রুপোলি পর্দায় তুলে আনা নয়, মিকেলেঞ্জেলোর মতো এক ব্রহ্মাণ্ড উপহার দেওয়া। কাহিনি নেওয়া চার্লস ডিকেন্সের উপন্যাস থেকে। গ্রেট এক্সপেক্টেশনস। স্থান কাল পাত্রের লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে যে বই বিশ্বের সব লাইব্রেরিতেই জায়গা করে নিয়েছে। ইন্ডিয়ানাইজ়ড ভার্সান বললে কিছুই বলা হবে না। পর্দায় যেসব চিত্রকল্পের উত্থান দেখা গেল, সেটা কোনও ক্যামেরাপার্সন বা সেট ডিজাইনারের স্বতন্ত্র কৃতিত্ব নয়। চিরকালীনতার মাত্রায় উত্তীর্ণ।


সিনেদুনিয়ার দিগন্তে যে আর এক সূর্য উঠছে, সেটা জানান দিলেন আদিত্য রায় কপূর। আশিকী টু-এর ইনটেন্স রোমান্স এখানে স্বর্গীয় পদে উত্তীর্ণ। ছোটবেলার স্মৃতি এ প্রেমের সঙ্কল্প। শিল্পীর তুলি-পেনসিল-চারকোলের ঔদ্ধত্যে লালিত। রাজনীতি ছবির পর ক্যাটরিনা আবার একটা এমন চরিত্র পেলেন, যেখানে সৌন্দর্যের আর বুদ্ধিবৃত্তির অপূর্ব মেলবন্ধন। টপ পজিশনে থাকার টেনশন ছেড়ে ক্যাটরিনা যে ক্রমশই নিজেকে শান দিয়ে চলেছেন, তার ফায়দা এই ইন্ডাস্ট্রি একদিন তুলবেই তুলবে। শুধু সৌন্দর্যের মোড়কে আবদ্ধ না রেখে, তাঁর স্থান হবে বলিউডের দোতলায়। অন্তত দোতলায়।


তব্বুকে শেষ কবে স্ক্রিনে দেখেছেন? দৃশ্যম ছবিতে তাঁর উপস্থিতি হাড় হিম করে দেয়। উপস্থিতি কথাটা খুব সাবধানেই ব্যবহার করলাম। যাঁরা নেমসেক দেখেছেন কিংবা লাইফ অফ পাই, তাঁরা এখনও সম্মোহন কাটিয়ে ওঠেননি। এ ছবি দেখলে আরও একবার ধন্দে পড়বেন। তীব্রতা আর তীক্ষ্মতায় ইনি যেকোনও দিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেন শাবানার মতো প্রতিষ্ঠিত হিরোইনের দিকেও।


ফিতুর দেখবেন শুধু এক্সপিরিয়েন্সের জন্য। যে অভিজ্ঞতা, অতি অবশ্যই, আপনার ভালবাসার ভল্টে রাখা থাকবে। থাকবেই।