Flora Saini: ‘যৌনাঙ্গে সজোরে লাথি, ভেঙে দেয় চোয়াল’ জনপ্রিয় প্রযোজকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ফ্লোরা
Flora Saini: প্রেমিক গৌরাঙ্গের সঙ্গে লিভ-ইন শুরুর কিছু দিনের মধ্যে ঘটে বিপত্তি। ফ্লোরা বলেন, ‘শুরুতে গৌরাঙ্গ দোসি খুবই ভালো ছিল। এতটাই ভালো ব্যবহার করেছিল যে, আমার বাবা-মাও তার আচরণে বোকা হয়ে গিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে তার আসল রূপ আমাদের সামনে আসে।`
Flora Saini, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জীবনে ১৪ মাসের দিকে আর ফিরে তাকাতে চান না অভিনেত্রী ফ্লোরা সাইনি। জনপ্রিয় প্রযোজককে বিয়ে করে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতাই সংবাদমাধ্যমের কাছে শেয়ার করেছিলেন তিনি। প্রযোজক গৌরাঙ্গ দোসির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে একাধিকবার খবরের শিরোনাম এসেছেন ফ্লোরা। তাঁরা লিভ-ইন করতেন। ২০০৭ সালে গৌরাঙ্গের সঙ্গে ফ্লোরার সম্পর্ক চূড়ান্ত রকমের তিক্ততায় পৌঁছায়। এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ‘গন্দী বাত’খ্যাত এই নায়িকা।
আরও পড়ুন- Prosenjit Chatterjee Daughter: ‘সঠিক সময়ের অপেক্ষা, আমি ও আমার মেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরব...’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফ্লোরা বলেন, ‘বম্বেতে আমি আমার মায়ের সঙ্গেই থাকতাম। কিন্তু আমার প্রাক্তন প্রেমিকের কারণে বাড়ি ছাড়ি। কারণ সে চাইছিল তার সঙ্গে থেকে যেন আমি আমার ভালোবাসার প্রমাণ দিই। আমার মা আমাকে বাড়ি ছাড়তে বারণ করেছিলেন। এজন্য তিনি আমার কাজকেও ঘৃণা করতেন; তবু মায়ের কথা শুনিনি।’ প্রেমিক গৌরাঙ্গের সঙ্গে লিভ-ইন শুরুর কিছু দিনের মধ্যে ঘটে বিপত্তি। ফ্লোরা বলেন, ‘শুরুতে গৌরাঙ্গ দোসি খুবই ভালো ছিল। এতটাই ভালো ব্যবহার করেছিল যে, আমার বাবা-মাও তার আচরণে বোকা হয়ে গিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে তার আসল রূপ আমাদের সামনে আসে। আমি বাড়ি ছেড়ে তার সঙ্গে থাকতে শুরু করার এক সপ্তাহের মধ্যে আমাকে মারধর শুরু করে গৌরাঙ্গ। আমার যৌনাঙ্গে লাথি মারে, এমনকী মেরে আমার চোয়াল ভেঙে দেয়। আমি বুঝতে পারছিলাম না গৌরাঙ্গ কেন আমাকে মারধর করছে, কারণ তার আগে অবধি ওকে খুবই ভালো মানুষ মনে হত।’
সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণে গৌরাঙ্গের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ফ্লোরা। কিন্তু গৌরাঙ্গ তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘এ অবস্থায় আমার বাবা-মাও গৌরাঙ্গের বাড়িতে থাকতে বারণ করেন। আর আমিও বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে পারছিলাম না। কারণ সেচ্ছায় বাবা-মায়ের বাড়ি ছেড়েছিলাম। এদিকে গৌরাঙ্গ আমার ফোন কেড়ে নেয়; যাতে আমি কাউকে ফোন করতে না পারি। আমাকে মারধর করতো; আর আমিও ভাবতাম এটা আমারই দোষ। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, কথা বলতে গেলেই আমাকে দোষারোপ করত। আর তার প্রতিক্রিয়ায় মারধর করত।’ ফ্লোরাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল গৌরাঙ্গ। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এক রাতে গৌরাঙ্গকে বলি, আমার বাবা-মা কখনো আমাকে মারধর করেনি। আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। তারপর ব্যাগপত্র গুছিয়ে লিফটের কাছে চলে যাই। সে লিফট পর্যন্ত এসে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে— আমি ১০ পর্যন্ত গুনব, যদি ফিরে না আসো তাহলে তোমাকে ও তোমার বাবা-মাকে খুন করব।’
‘আরেক রাতে আমাকে এতটাই মেরেছিল যে, চোয়ালের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। গৌরাঙ্গ তার বাবার ছবি বের করে কসম করে বলে, আজ রাতেই আমি তোমাকে খুন করব। আমাকে হুমকি দিয়ে গৌরাঙ্গ তার বাবার ছবিটি রাখার জন্য অন্য ঘরে যায়। আর ওই সময়ে আমি পালিয়ে মায়ের কাছে চলে যাই; সিদ্ধান্ত নিই আর কখনো ওই বাড়িতে ফিরব না।’ বলেন ফ্লোরা। এ ঘটনার পর গৌরাঙ্গর বিরুদ্ধে মামলা করেন ফ্লোরা। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘পরের দিন সকালে বাবা-মাকে নিয়ে থানায় যাই। কিন্তু পুলিস মামলা না নিয়ে তারা গৌরাঙ্গের সঙ্গে ফোনে কথা বলে, উল্টো পুলিশকে গৌরঙ্গ বলে, ‘মামলা করতে আমি থানায় আসব।’ সর্বশেষ বিকাল বেলায় পুলিশ আমাদের লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন।’