ওয়েব ডেস্ক: প্রিটি ব্যাড। হেরেও গেলে মন খারাপ করলেও প্রীতি কখনও হাসতে ভুলে যান না। এমন একটা কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মালকিনকে নিয়ে চালু আছে। সেই প্রীতি এবার মেজাজ হারালেন। কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলের একের পর এক হারের ধাক্কায় মেজাজ একেবারে বিগড়ে গিয়েছে প্রীতির। আর মেজাজ হারিয়ে তিনি নাকি তার দলের কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারকে সবার সামনে গালিগালাজও করেছেন। এই খবরের পরই প্রীতিকে নিয়ে বলা হচ্ছে 'দিজ ইজ নট প্রিটি গুডএনাফ'।  দিজ ইজ নট প্রিটি গুডএনাফ। বিয়ের পর আইপিএলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলের অধিনায়ক প্রীতি জিন্টার পদবি এখন গুডএনাফ। এই নিয়ে প্রীতিকে নিয়ে নানা জোকস আছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত সোমবার মোহালিতে আরসিবি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে এক রানে হেরে যায় প্রীতির পঞ্জাব। এক দৈনিকের খবর অনুযায়ী ম্যাচ শেষে নাকি প্রীতি ডাগআউটে কার্যত তেড়ে যান কোচ বাঙ্গারের দিকে। এরপর নাকি দলের ব্যাটিং অর্ডারের প্রসঙ্গ তুলে বাঙ্গারকে সবার সামনে অপমান শুরু করেন। থতমত খেয়ে মাথা নিচু করে দেন বাঙ্গার। তার সামনে তখন দাঁড়িয়ে দলের অনেক জুনিয়র ক্রিকেটার। এমনকী বাঙ্গারকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন প্রীতি। দেশের হয়ে ১২টি টেস্ট, ১৫টি ওয়ানডে খেলা বাঙ্গারকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা করেন রাহানে, কোহলির মত ক্রিকেটাররা। সেখানে ক্রিকেটের বাইরের একজনের কাছে ক্রিকেট নিয়ে অনেক বকা খেতে হল বাঙ্গারকে।


সেই ম্যাচে দারুণ খেলেন অধিনায়ক মুরলি বিজয়। ম্যাচ শেষে প্রীতি টুইট করেছিলেন, খুব খারাপ লাগছে অধিনায়কের এত ভাল ইনিংসের পর আমাদের হারতে হয়েছে। খুব টানটান ম্যাচ, মনে হচ্ছিল হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে। আমাদের দুর্ভাগ্য তাড়া করল আবারও।


২০১২ আইপিএলে একবার মেজাজ হারিয়েছিলেন প্রীতি। তবে সেটা নিজের দলের প্রতি নয়। সেটা ছিল মোহালিতে কেকেআর-এর বিরুদ্ধে ম্যাচে শন মার্শকে এলবি দেওয়ার সিদ্ধান্তে। আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা সেবার প্রীতির আচরণের রিপোর্ট তলব করেছিলেন।


আইপিএল একমাত্র দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ছাড়া কিংস ইলেভেন পঞ্জাবই হল একমাত্র দল যারা প্রতিটি আইপিএল খেললেও একবারও চ্যাম্পিয়ন হয়নি। ম্যাচ হারের বিষয়েও আইপিএলে রেকর্ড আছে প্রীতির দলের। প্রীতি নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, এবার তাঁকে জিততে হবেই। কিন্তু ইতিমধ্যেই কিংস ইলেভেন পঞ্জাব আইপিএল থেকে কার্যত বিদায় নিয়েছে। খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য অধিনায়ক হিসেবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ডেভিড মিলারকে। এক ম্যাচে বাদ পড়তে হয় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও।