শর্মিলা মাইতি


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ছবির নাম- ঘায়েল ওয়ান্স এগেইন
রেটিং- **1/2
সানি লিওনের ছবি মানেই দেখতে যাবই, আর সানি দেওল হলেই এ মাসটা টানাটানি আছে, হলে সিনেমা দেখব না! যেসব কিপটেরা এমনটা ভাবছেন, তাঁরা মোটেই সিনেমাপ্রেমী নন। সানি দেওলের ছবির প্রধান দর্শক নাকি নর্থ ইন্ডিয়া। ওই রাজ্যগুলোতেই রমরম করে চলছে এ ছবি। ২৬ বছর পর যিনি সাহস করে স্মৃতি ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা রাখেন, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই হবে।


শুধু স্মৃতি ফেরানোর কায়দাতেই লক্ষ টাকা খরচ করেছেন প্রযোজক। এফেক্টটা নেহাত মন্দ দাঁড়ায়নি। ছবি শুরুর দশ মিনিটের মাথায় যে শটটায় বাবা অজয় মেহরা বার বার স্মৃতি প্রতিকৃতি দেখে আর্তনাদ করছেন আর ডাক্তার স্ত্রী সোহা আলি খান পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে, সত্যি দেখার মতো। সানি দেওলের নাম শুনলেই যাঁরা নাক সিঁটকোন, তাঁরা তো মতামত চেঞ্জ করবেনই।


প্রথম থেকেই চমত্কার এডিটিং আর সিনেমাটোগ্রাফির জোরেই দর্শককে সিট ছেড়ে উঠতে দেবে না। প্রত্যাশা তৈরী করবে আরও একবার ঘায়েল দেখার। প্রাণকেন্দ্রে চার কিশোর। এক রিটায়ার্ড পুলিশ কমিশনারের খুন হতে দেখে তারা। শহরের নামী ধনকুবের রাজ বনশলের ছেলেই খুন করে। হঠাত্ই তাদের ভিডিও ক্যামেরায় ক্যাপচারড হয় সেই দৃশ্য। ন্যায়ের জন্য, সত্যের জন্য লড়তে শুরু করে তারা। হাতির সঙ্গে পিঁপড়ের সেই কাল্লপনিক যুদ্ধ যাতে পিঁপড়েরা ক্ষতবিক্ষত হয়, তবু বিষকামড় না দিয়ে ছাড়ে না।
সব উপকরণই ছিল, কিন্তু অ্যাকশন সিকোয়েন্সের উপর অহেতুক নির্ভরতাই কাল হল। এতে সানি যত না ঘায়েল হয়েছেন, দর্শক হলেন তার চেয়েও বেশি। যে থ্রিলারটা আস্তে আস্তে তৈরি হচ্ছিল, তার গুরুত্বই হারিয়ে গেল। খেই-হারানো একটা কাহিনি শেষের দিকটা প্রায় মাথামুন্ডুহীন। শুরুটা ভাল করেও ম্যারাথন দৌড়তে পারলেন না সানি। ছবির ভাগ্যেও ছিঁড়ল না শিকে।