Guru Dutt: দীপিকার আগেই বলিউডে এসেছিলেন এই `পাডুকোন`, বদলে দিয়েছিলেন হিন্দি ছবির দুনিয়াটাই...
Guru Dutt: ১৯৮৬ সালে জন্ম, ২০০৭ সালে তাঁর ডেবিউ। আর একজনের জন্ম ১৯২৫ সালে, প্রথম কাজ ১৯৪৬ সালে! প্রথমজন একালের বিখ্যাত এক নায়িকা। অপর জনও আরও-আরও বিখ্যাত। কিন্তু তাঁকে মানুষ চেনে একটু অন্য নামে। অথচ, নামের সূত্রে এই দুজনের মধ্যে অলিখিত যোগও রয়েছে! কে তাঁরা?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৯৮৬ সালে জন্ম, ২০০৭ সালে তাঁর ডেবিউ। একালের বিখ্যাত নায়িকা তিনি। শাহরুখ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে 'ওম শান্তি ওম' ছবিতে অভিনয় করার পর থেকে তাঁর কেরিয়ারের রথ ক্রমশ দ্রুতগতিতে এগিয়েছে। তিনি দীপিকা পাডুকোন। বিখ্যাত ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার প্রকাশ পাড়ুকোনের মেয়ে। পাডুকোন পদবি নিয়ে এর আগে কেউ মুম্বইয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসে এরকম সাড়া ফেলে দেননি। মুম্বইয়ে পদবিটা খুবই জরুরি ব্যাপার-- 'কপূর' বা 'খানে'রা এখানে যেভাবে রাজত্ব করেন, সেভাবে অন্য কেউ ততটা পারে না বলেই লোকশ্রুতি। দীপিকাকে তাই মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পাডুকোন পদবিধারী প্রথম সফল ব্যক্তিত্ব হিসেবে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: Suchitra Sen: এই প্রথম! বিদেশের মাটিতে সুচিত্রা সেনকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব...
এই সেদিন পর্যন্ত বিষয়টি একেবারেই তাই ছিল। তবে সম্প্রতি যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে তাক লেগে যাওয়া স্বাভাবিক। জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের ছবি-জগতে পাডুকোন পদবিধারী তো এসেছিলেনই, শুধু তাই-ই নয়, তিনি যে-সে নন, তিনি হিন্দিছবির খোলনলচে বদলে-দেওয়া এক ব্যক্তিত্ব, যাঁকে ইন্ডিয়ান সিনেমার ফাদার ফিগার মনে করা হয়। ১৯২৫ সালে তাঁর জন্ম, ১৯৪৬ সালে তিনি বলিউডে পা রাখেন। কে তিনি?
সবাই একডাকে তাঁকে চেনে। ভারতীয় সিনেমার আইকন তিনি। বলিউডের এক ও অদ্বিতীয় গুরু দত্ত। হ্যাঁ, 'পিয়াসা', 'কাগজ কে ফুল', 'সাহেব বিবি অউর গুলাম'-খ্যাত সেই গুরু দত্ত। কর্নাটকের চিত্রপুরে ১৯২৫ সালের ৯ জুলাই গুরুর জন্ম। পুরো নাম 'বসন্ত কুমার শিবশঙ্কর পাডুকোন'। পরে তাঁর নাম ছোট করে রাখা হয় গুরুদত্ত পাড়ুকোন। আরও পরে ক্রমে পাডুকোন খসে যায় এবং তিনি গুরুদত্ত হিসেবেই পরিচিত হয়। তবে সে ক্ষেত্রে একটা ছোট বদল আসে তাঁর নামে-- নামটা ভেঙে যায়। 'গুরুদত্ত' ভেঙে তার মধ্যে একটা স্পেসের জন্ম হয়-- 'গুরু দত্ত'। তাতে, যেন মনে হয়, 'গুরু' তাঁর নাম, 'দত্ত' পদবি। এবং এমনটাই সকলে জেনে এসেছে।
এহেন 'গুরুদত্ত' বা 'গুরু দত্ত' মুম্বইয়ের (তৎকালীন বম্বের) সিনেমাজগতের এক অদ্বিতীয় শিল্পী-- একাধারে লেখক, অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক। মাত্র ৩৯ বছর পর্যন্ত বেঁচেছেন। তারই মধ্যে হিন্দি সিনেমার নতুন জন্ম সম্ভব করেছিলেন তিনি। আজও তাঁর ছবিগুলিকে মণিমুক্তো মনে করা হয়। ১৯৪৬ সালে 'হাম এক হ্যায়' ছবিতে ছিলেন সহকারী পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার। এরপর 'বাজি' ও 'জাল'-এর মতো ছবির লেখক হিসেবে পরিচয় মেলে তাঁর। ১৯৫৩ সালে 'বাজ' ছবিতে প্রথম অভিনয়। তার পর একে-একে প্রকাশিত হয় তাঁর সেলুলয়েডের সেই অবিস্মরণীয় কবিতাগুলি-- 'আর পার', 'মি অ্যান্ড মিসেস '৫৫', 'সি আই ডি', 'পিয়াসা', 'কাগজ কে ফুল', 'চৌধবীঁ কা চাঁদ', 'সাহিব বিবি অউর গুলাম'। সুরে-ছন্দে, আলো-আঁধারিতে, সংলাপে-অভিব্যক্তিতে প্রত্যেকটাই ক্লাসিক!
আর এসবের অর্থ, দীপিকা পাডুকোনের আগেই কোনও এক 'পাডুকোন' হিন্দি ছবির জগতে নিজের নামটি স্বর্ণাক্ষরে লিখে রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা হয়তো কোনও ভাবে সেটা খেয়াল রাখিনি, বা মনে রাখিনি।