ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, গাড়ির কাচ ভেঙে ৬৫ টুকরো ঢুকে যায় মহিমার মুখে
আঁতকে ওঠেন বলিউড অভিনেত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৯৯৭ সালে শাহরুখ খানের বিপরীতে 'পরদেশ' দিয়ে বলিউডে পা রাখেন তিনি। পরদেশ-এ যখন তাঁকে 'দো দিল মিল রহে হ্যায়'-তে দর্শক দেখেন, তখন যেন এক লহমায় আট থেকে আশির হৃদয়ে ঝড় উঠতে শুরু করে। বুঝতেই পারছেন, বাঙালি কন্যা মহিমা চৌধুরীর কথাই বলা হচ্ছে। মহিমার কেরিয়ারের শুরুতে যমন পরদেশ এসে হাজির হয়, তেমনি কয়েক বছরের মধ্যেই প্রায় শেষ হয়ে যায় তাঁর ফিল্মি দুনিয়া।
আরও পড়ুন : 'অক্ষয় আমায় ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন', বিস্ফোরক শিল্পা শেঠি
সম্প্রতি পিঙ্কভিলার একটি সাক্ষাতকারে জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন মহিমা। তিনি বলেন, অজয় দেবগণ এবং কাজলের সঙ্গে দিল ক্যা করে-র শ্যুটিং করছিলেন বেঙ্গালুরুতে। ওই সময় হঠাত করেই গাড়ি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন তিনি। দুর্ঘটনার জেরে গাড়ির সামনের দিকের কাঁচ ভেঙে তাঁর মুখে ফুটে যায়। হাসপাতালে যখন পৌঁছন, সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার করা হয়। জানা যায়, প্রায় ৬৫টি কাঁচ তাঁর মুখে ফুটে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : স্ত্রীর সঙ্গে ছবির পাশে লিখলেন 'দেশের দ্বিতীয় নোবেল বিজয়ী নারী', কটাক্ষের মুখে বাংলাদেশি গায়ক
অস্ত্রপচারের পর অন্ধকার ঘরে থাকার নির্দেশ দেন চিকিতসকরা। বেশ কয়েক বছর তাঁর লেগে যায় ওই ক্ষত সারাতে। ওই সময় বলিউডে পরপর বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট ছিল তাঁর হাতে কিন্তু সবকিছু থেকেই নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। মানুষ বলতে শুরু করেন, 'আরে এঁর তো চেহারাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে'। যা শুনতে শুনতে কেমন নিজের উপর থেকে সমস্ত বিশ্বাস তাঁর হারিয়ে যায়।
ক্রমশ তিনি যখন ক্ষত সারিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেন, তখন ডিজাইনার নীতা লুল্লা তাঁকে সঙ্গ দেন। এমনকী, মহিমা ফের নতুন করে কাজ শুরু করুন বলে পরামর্শ দেন নীতা। এরপর 'ইয়াদ পিয়া কী আনে লাগি'-তে দেখা যায় মহিমা চৌধুরীকে। অক্ষয় কুমারও তাঁর মনের জোর বাড়ান। ফলে 'ধড়কন'-এ আবার নতুন করে দেখা যায় মহিমাকে। তবে ওই দুর্ঘটনাই তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার ধ্বংস করে দেয় বলে জানান মহিমা চৌধুরী।