নিজস্ব প্রতিবেদন: টেলিভিশন ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা (Kushal Punjabi) কুশল পাঞ্জাবির মৃত্যুর কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল৷ কেরিয়ার গ্রাফ য়খন উপরের দিকে উঠতে শুরু করে, সেই সময় হটাত করে কেন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন কুশল, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিস৷ তবে কুশলের মৃতদেহের পাশ থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে কাউকে দোষারোপ করা হয়নি৷ 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন : স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, ছেলের সঙ্গে দূরত্বই কি মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় কুশল পঞ্জবিকে?
কুশলের বন্ধু তথা টেলি (Actor) অভিনেতা চেতন হংসরাজ জানান, ২৬ ডিসেম্বর বার বার ফোন করেও কুশলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁর বাবা-মা৷ এরপরই চেতনকে ফোন করেন কুশলের বাবা৷ চেতন এরপর কুশলের ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা খুলতে পারেননি৷ এরপর ফ্ল্যাটের এক চাবিওয়ালাকে ডেকে কুশলের ঘরের দরজা খোলান চেতন৷ দরজা খোলার পর সেখানে অভিনেতার তথা বন্ধুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান চেতন হংসরাজ৷ যা দেখার পর পরই কুশলের বাড়িতে ফোন করেন চেতন৷
এদিকে (Police) পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃত্যুর ২ দিন আগে চিন থেকে ছেলের সঙ্গে দেখা করে আসেন কুশল পঞ্জাবি৷ এরপর নিজের বাড়ির পরিচারকের সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেন৷ যেখান থেকে মাসের জিনিসপত্র নিতেন কুশল, সেখানেও সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেন তিনি৷ এরপরই জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন কুশল পঞ্জাবি৷


আরও পড়ুন : মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন জামাই, করছেন মানহানির মামলা
এদিকে কুশলের মৃত্যুর খবর শোনার পর ভেঙে পড়েন তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী মেঘনা নাইডু৷ তিনি বলেন, কুশলের মৃত্যুর খবর শুনে আশ্চর্য হয়ে যান তিনি৷ কুশলের মতো একজন প্রাণখোলা, হাসিখুশি মানুষ কীভাবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তা ভেবেও অবাক লাগছে বলে জানান মেঘনা৷ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এই কঠিন সময়ে কুশলের পরিবারের পাশে রয়েছেন বলেও জানান (Meghna Naidu) মেঘনা৷


 



প্রসঙ্গত ২০১০ সালে মেঘনার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায় কুশলের৷ সম্পর্ক বাঙার পর কুশল এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে জানান মেঘনা৷