প্রয়াত `পাকিজা`খ্যাত অভিনেত্রী গীতা কাপুর,শেষদেখা দেখতে এলেন না ছেলে
চলে গেলেন পাকিজাখ্যাত অভিনেত্রী গীতা কাপুর। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ মুম্বইয়ের এক বৃদ্ধাশ্রমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী গীতা কাপুর। তাঁর মৃত্যু খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেন ফিল্ম নির্মাতা অশোক পন্ডিত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ১ বছর ধরে সন্তানদের একবার চোখের দেখা দেখার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। তবে সে ইচ্ছা অধরাই রয়ে গেল। চলে গেলেন পাকিজাখ্যাত অভিনেত্রী গীতা কাপুর। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ মুম্বইয়ের এক বৃদ্ধাশ্রমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী গীতা কাপুর। তাঁর মৃত্যু খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেন ফিল্ম নির্মাতা অশোক পন্ডিত।
গতবছরই অসুস্থ অবস্থায় মুম্বইয়ের এসআরভি হাসপাতালে গীতা কাপুরকে ভর্তি করেন তাঁর ছেলে। পরে ATM থেকে টাকা তুলতে যাওয়ার নামে বৃদ্ধা মাকে ফেলে পালিয়ে যান তাঁর ছেলে রাজা। যিনি কিনা একজন নিত্য পরিচালক। খবর পেয়ে হাসাপাতালে পৌঁছন ফিল্ম নির্মাতা অশোক পন্ডিত । তিনি তাঁর চিকিৎসার দেড়লক্ষ টাকা খরচ মিটিয়ে দেন। পরবর্তীকালে তিনিই অভিনেত্রীকে এক বৃদ্ধাশ্রমে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। গীতা কাপুরের মুখ থেকেই জানা যায় তিনি উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন পছন্দ করেন না বলে তাঁর ছেলে তাঁকে মারধর করত। ৩-৪দিন খেতে দিত না। ঘরে বন্ধ করে রাখত। তবুও গত ১ বছর বৃদ্ধাশ্রমে থাকার সময় মায়ের মন অপেক্ষা করে ছিল সেই তাঁর ছেলেমেয়ের জন্যই। ভেবেছিলেন একটিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসবে তাঁর কোরিওগ্রাফার ছেলে কিংবা জেট এয়ারওয়েজে চাকুরিরতা মেয়ে। কিন্তু তা হয়নি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কেউই আসেননি। অবশেষে অপেক্ষা করতে করতে চলে যেতে হল 'পাকিজা', 'রাজিয়া সুলতানা'র মতো ছবিতে অভিনয় করা অভিনেত্রীকে। শুধু তাই নয়, সেসময় ১০০রও বেশি ছবিতে সহ-অভিনেত্রীর ভূমিকায় দেখা গেছে তাঁকে।
সেন্সর বোর্ডের সদস্য তথা ফিল্ম নির্মাতা সোশ্যাল সাইটে জানিয়েছেন আশাকরি, শেষযাত্রায় সামিল হতে অভিনেত্রী গীতা কাপুরের ছেলেমেয়েরা আসবেন, তাও যদি না আসেন তাহলে আমরাই তাঁকে স্বসম্মানে বিদায় জানাব।