``অঙ্কিতা সঙ্গে থাকলে সুশান্তের এই পরিণতি হত না`` একথা প্রসঙ্গে কী বললেন অঙ্কিতা?
অনেকেই বলেছেন, ``যদি সুশান্তের সঙ্গে অঙ্কিতা থাকত, তাহলে হয়ত এমন পরিণতি হত না।``
নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বহুদিন ধরে মৌন থেকেছেন। অথচ, সকলেই এবিষয়ে অঙ্কিতা ঠিক কী বলছেন, জানতে চেয়েছেন। তারপরও অঙ্কিতা চুপই ছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, অঙ্কিতা শুধুই কাঁদছেন, কিছু বলার অবস্থাতে তিনি নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্তের সঙ্গে যাঁর নাম সবথেকে বেশি আলোচিত হয়েছে তিনি অঙ্কিতা। অনেকেই বলেছেন, ''যদি সুশান্তের সঙ্গে অঙ্কিতা থাকত, তাহলে হয়ত এমন পরিণতি হত না।''
সম্প্রতি ZeeNews, DNA কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, সুশান্তের পরিবারের পর কেউ যদি তাঁকে সবথেকে বেশি জানত, সেটা আপনি। তবে কেন ৪৬ দিন চুপ ছিলেন? উত্তরে অঙ্কিতা বলেন, ''একটা সময় ছিল সুশান্ত আমি এবং আমাদের দুজনের পরিবার সকলেই একসঙ্গে কাটিয়েছি। তবে এই আঘাত থেকে বের হতে আমার সময় লেগেছে। তারপর আমি ঠিক করি সুশান্তকে ন্যায় বিচার দেওয়ানো আমার কর্তব্য।''
আরও পড়ুন-রিয়ার সঙ্গে ইউরোপ থেকে ফেরার পরই সুশান্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন, বললেন সুশান্তের প্রাক্তন রাঁধুনি
সুশান্তের সঙ্গে, ওর জীবনের সঙ্গে থাকতেন আপনি কি ওকে বাঁচাতে পারতেন বলে মনে হয়? অঙ্কিতা বলেন, ''আমি সুশান্তের ভালো-মন্দ, ভালো লাগা-খারাপলাগা সবটাই জানি। আমার সঙ্গে থাকার সময় দেখেছি, সুশান্ত গিটার বাজাত, নাচ করত, ও ওর নিজের খুশি মত সবকিছু করেছে, ভালোভাবে বেঁচেছে। ওর যা ভালো লাগে, আমি ওকে করতে দিয়েছি। যদি সত্যিই আমি ওকে আটকাতে পারতাম..।আমি ওকে ভালো রাখার সবরকম চেষ্টা করতাম। (চোখ ছলছল) আমি সবরকম ভাবে চেষ্টা করতাম। আমার এখনও মনে হয় যদি আমরা একসঙ্গে থাকতাম। আমার মনে হয় ও আনন্দে থাকত।''
আরও পড়ুন-সুশান্তের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিল সন্দীপ সিং! উঠল অভিযোগ
সুশান্তের পরিবারের ঠিক পরিস্থিতি? এই প্রশ্নের উত্তরে অঙ্কিতা বলেন, ''ও চলে গেছে, কে আর কী বলতে পারে? কেউ তাঁদের ভাইকে হারালো, কেউ ছেলেকে। সুশান্ত ওর পরিবারের কাছে রাজকুমার ছিল।''
সুশান্তের পরিবার রিয়া সম্পর্কে অভিযোগ এনেছে, সেবিষয়ে কী বলবেন? অঙ্কিতার কথায়, ''আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না। ও আনন্দে ছিল, এটা ভেবে আমার ভালো লাগত। তবে গত বছর আমি অনুভব করেছিলাম, যে ও ভালো নেই। আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় হয়ত আমায় কিছু বোঝাতে চাইছিল। তবে সেভাবে জোর দিইনি, ভেবেছিলাম, ও তো ভালোই আছে। আসলে বিচ্ছেদের পর থেকে সামনাসামনি আমাদের আর দেখা হয়নি। তাই ঠিক বুঝতে পারিনি। কিন্তু ওর সেই হাসিটা আর দেখতে পেলাম না। আসলে ওর পরিবারের সঙ্গেও ওর ঠিকভাবে কথা হচ্ছিল না, এমনকি ওর বন্ধু মহেশ শেঠির সঙ্গেও না ও আমাদের কমন ফ্রেন্ড ছিল।''
আরও পড়ুন-সুশান্তের মৃত্যু রহস্য: তদন্তের সুবিধার্তে নিজের জাগুয়ার বিহার পুলিসকে দিলেন অঙ্কিতা
এই মামলায় পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? উত্তরে অঙ্কিতা বলেন, ''আমি যতদূর জেনেছি, যে মুম্বই পুলিস এখনও FIR করেনি। বিহার পুলিসে পাপা FIR করেছে। উনি যখন কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভেবেই নিয়েছেন।''