নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারের কাছে সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধির দাবি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন হল মালিক, আর্টিস্ট ফোরাম এবং ফেডারেশন। সমস্যার সমাধান না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত তাঁদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


২০১৭-তে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে এ রাজ্যে সার্ভিস চার্জ তুলে নেওয়া হয়। সার্ভিস চার্জে পাওয়া অর্থ থেকে হল মালিকরা কর্মীদের বেতন, বিদ্যুতের বিল, সিনেমা হলের রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। তাই সার্ভিস চার্জ না দেওয়ায় অথৈ জলে পড়েছেন হল মালিকরা। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে ডিস্ট্রিবিউটাররা সার্ভিস চার্জ দিচ্ছেন কিন্তু অন্যান্য ছবির ক্ষেত্রে প্রযোজনা সংস্থার কাছে সরকারের তরফের বিজ্ঞপ্তি না থাকায় তা দিতে পারছেন না তারা।


সরকারের মতে এই রাজ্যে  চালু করা হলে টিকিটের দাম বাড়বে, সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে। কিন্তু হল মালিকদের আশ্বাস তারা দর্শকদের কোনও সমস্যায় ফেলবেন না। এক্ষেত্রে ১৮ জুলাই অবধি সময় দিয়েছেন তাঁরা। দাবি না মানলে ১৯ জুলাই থেকে সমস্ত সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ করে দেওয়ার কথা আর্টিস্ট ফোরামের তরফ থেকে ঘোষণা করেছেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলা ছবির ক্ষতি হবে জেনেও এই কঠিন পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তাঁরা।


সারভিস চার্জ বাড়ানো নিয়ে বহুদিন ধরেই সরব টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রি। অভিযোগ, প্রায় একবছর ধরে আবেদন করার সত্বেও বারবারই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও সার্ভিস চার্জ পাচ্ছেন না তাঁরা। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সিনেমা হলও। মাল্টিপ্লেক্স চললেও চালানো যাচ্ছে না সিঙ্গল স্ক্রিন। ৯০০ সিঙ্গল স্ক্রিন থেকে এখন সিনেমা হলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০রও কম।



তাই হল মালিক, আর্টিস্ট ফোরাম এবং ফেডারেশনের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সার্ভিস চার্জের দাবি তোলা হল। প্রতিটি রাজ্যে সিঙ্গল স্ক্রিনকে রাজ্য সরকার সার্ভিস চার্জ দেয়। এরাজ্যে দোলাচল না কাটলে ১৯ জুলাই থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বনধের পথে হাঁটবে রাজ্যের সিনেমা হলগুলি।