নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলা সঙ্গীতের জগতে আরও এক ইন্দ্রপতন। প্রয়াত সুরকার তথা গীতিকার, গায়ক জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, দুপুরে ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এদিন মাল্টি-অরগ্যান ফেলিওর হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

''বধুঁয়া আমার চোখে জল এনেছে / হায় বিনা কারণে।''...সহ জটিলেশ্বরের একাধিক অমর সৃষ্টি আজও সমান জনপ্রিয় বাঙালির কাছে। তাইতো আজ বাঙালির চোখে জল, তবে অবশ্যই তা 'বিনা কারণে' নয়।  কিংবদন্তী শিল্পীর প্রয়াণে বাংলা সঙ্গীত জগতে যে ক্ষতি হল তা হয়ত আর পূরণ করা সম্ভব নয়। বাংলা আধুনিক গানে গভীর শূন্যতা তৈরি করে শিল্পী তাঁর সুরলোকে যাত্রা করলেন। তবে রেখে গেলেন তাঁর বহু ছাত্র-ছাত্রীকে যাঁরা হয়ত তাঁর সুরের ব্যাটন ধরে রাখবেন।


১৯৩৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর চন্দননগরে জন্মগহণ করেন জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। ১৯৬৩ সালে মেগাফোন থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম গানের 'রেকর্ড'। তাঁর প্রথম রেকর্ড সুর ও কথা ছিল সুধীন দাশগুপ্তের। এরপর ১৯৬৪ সালে সলিল চৌধুরীর কথা ও সুরে মেগাফোন থেকেই বের হয় তাঁর দ্বিতীয় রেকর্ড, সেই বিখ্যাত গান 'পাগল হাওয়া'। এর পর মেগাফোন, এইচএমভি থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হতে শুরু করে তাঁর গাওয়া গান।  বাংলা আধুনিক গানের স্বর্ণযুগে অন্য মাত্রা যোগ করে তাঁর কণ্ঠ ও সঙ্গীতারোপের কুশলতা।  


তাঁর জনপ্রিয় সৃজনের মধ্যে অন্যতম ''কেউ বলে ফাগুন/ কেউ বলে পলাশের মাস..'', ''আমার স্বপন কিনতে পারে'', ''আহা ভালোবেসে এই বুঝেছি'', ''এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার'', ''কাঁদে গো শচীমাতা নিমাই নিমাই'', ''যদি সত্যিই আমি গান ভালোবেসে থাকি''...তিনি গানকে ভালোবেসেছিলেন, ভালোবাসতেও শিখিয়েছিলেন। বাংলা রবীন্দ্রপরবর্তী যুগে বাংলা গানের জগতে নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। তাঁরা হাত ধরেই বাংলা গানের স্বর্ণযুগের সেতুবন্ধন হয়েছিল। 
তাঁর এই সৃষ্টি বাঙালির তথা বাংলা গানের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবে।


তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়