Kancha Badam Song: আর গাইতে পারছেন না ‘কাঁচা বাদাম’ গান, বিস্ফোরক অভিযোগ বাদামকাকুর...
Kancha Badam Song: ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ, ‘কাঁচা বাদাম’ গান সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোথাও গেয়ে পোস্ট করলেই কপিরাইটের কেস দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। এর জেরেই চরম বিপদের মুখে তিনি। যে গান গাওয়ার জন্য তিনি সব জায়গায় ডাক পান, সেই গান গাইলেই বিপত্তি। ফলে রোজগারপাতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাদাম কাকুর।
Kancha Badam Song, Badam Kaku Bhuban Badyakar, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক গানেই বাজিমাত! বীরভূমের ছোট্ট এক বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর। নিজের বাদাম বিক্রির জন্য বেঁধেছিলেন একটি গান। গ্রামে গঞ্জে এ দৃশ্য কিছু নতুন নয়, অনেকেই তাঁদের জিনিস বিক্রির জন্য ছড়া তৈরি করেন, তবে এই ছড়াগানই বদলে দিয়েছে ভুবন বাদ্যকরের জীবন। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর লেখা ও সুর করা 'কাঁচা বাদাম গান'। তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। কিন্তু এখন আর সেই গানই গাইতে পারছেন না তিনি। ব্যাপার কী?
ভুবন বাদ্যকরের অভিযোগ, ‘কাঁচা বাদাম’ গান সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোথাও গেয়ে পোস্ট করলেই কপিরাইটের কেস দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। এর জেরেই চরম বিপদের মুখে তিনি। যে গান গাওয়ার জন্য তিনি সব জায়গায় ডাক পান, সেই গান গাইলেই বিপত্তি। ফলে রোজগারপাতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাদাম কাকুর। তিনি বলেছেন, গোপাল নামের এক ব্যক্তি তাকে তিন লাখ টাকা দিয়ে বলেছিলেন সে তার চ্যানেলে ঐ গানটা চালাবে। সেই মতো চুক্তির পেপারে সই করেন তিনি। কিন্তু এরপর থেকেই আর কোথাও সেই গান গাইতে পারছেন না তিনি।গোপাল নামের ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন ভুবন বাদ্যকর। কিন্তু দুবরাজপুর থানার দাবি যে, তাঁকে এগ্রিমেন্টের কপি নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তবে এখনও অবধি তিনি থানায় হাজিরা দেননি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও তিনি পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর তৈরি গান গেয়ে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন ইউটিউবাররা । কিন্তু সেই গানের কপিরাইটের কোনও টাকা তিনি পাচ্ছেন না। ভুবনবাবুর দাবি ছিল, তাঁর এই গান ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইউটিউব মাধ্যমে এই গান গেয়ে প্রচুর মানুষ টাকা রোজগার করছেন, কিন্তু তিনি কিছুই পাচ্ছেন না। ভুবনবাবু জানান, তাঁর গান ভাইরাল হওয়ায় প্রচুর মানুষ প্রত্যেকদিন তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন। সকলে তাঁর গানের ভিডিও রেকর্ডিং করছেন। আজ সেগুলি সোশ্যাল মাধ্যমে দিয়ে টাকাও আয় করছেন, কিন্তু তিনি কিছুই পাচ্ছেন না। এই গানের কপিরাইট হওয়া উচিত তাঁর নামে। তবে এবার ঠকিয়ে তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বাদামকাকু ভুবন বাদ্যকর।