Kangana Ranaut on Twitter : ট্যুইটার নিয়ে এলন মাস্ককে বিশেষ পরামর্শ কঙ্গনার...
ট্য়ুইটার নিয়ে এলন মাস্ককে পরামর্শ দিলেন কঙ্গনা রানাউত। তাঁর কথায়, `ট্যুইটারের ভেরিফিকেশনের বিষয়টা ঠিক বুঝি না। এমন কিছু অ্যাকাউন্টও ভেরিফায়েড হয়ে যায়, যাঁদের আদপে কোনও অস্ত্বিত্বই নেই। এর আগে ট্যুইটারে আমার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড হয়ে গিয়েছিল, অথচ আমার বাবা যখন তাঁর অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড করতে চেয়েছিল, তখন ৩-৪টে কারণ দেখিয়ে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। যেন আমার বাবা কোনও বেআইনি কার্যকলাপ করেন। আমার মনে হয়, যাঁদের আধারকার্ড আছে তাঁদের সকলের অ্যাকাউন্টটিই ভেরিফায়েড করে দেওয়া উচিত।`
Kangana Ranaut, Twitter, Elon Musk, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : ট্যুইটারে মালিকানা বদল হতেই নতুন সিদ্ধান্ত। ট্যুইটারে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট পেতে অর্থাৎ ব্লু টিক পেতে এবার খসবে টাকা। জানা যাচ্ছে, ট্যুইটারে নতুন মালিক এলন মাস্ক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ব্লু টিক পেতে দিতে হবে ৪.৯৯ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ৮৫৬ টাকা। যদিও টেসলার সিইও এলন মাস্ক এখনও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। এই প্রকল্পটি এখনও বাতিল করার সম্ভবনাও রয়েছে। তবে টাকা দিয়ে ব্লু টিক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এরই মাঝে ট্য়ুইটার নিয়ে এলন মাস্ককে পরামর্শ দিলেন কঙ্গনা রানাউত।
কী অবাক হচ্ছেন? তবে ঘটনাটা কিন্তু সত্যি। ট্যুইটারকে বর্তমান সময়ের সেরা সোশ্যাল মিডিয়া প্লার্টফর্ম ব্যাখ্যা করে রবিবার ইনস্টাস্টোরিতে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন কঙ্গনা। 'বলিউড কুইন' লিখেছেন, এই মুহূর্তে ট্যুইটার হল সেরা সোশ্য়াল মিডিয়া প্লার্টফর্ম। এটা মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তে বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞান, মতাদর্শকে আরও উন্নত করে। তবে ট্যুইটারের ভেরিফিকেশনের বিষয়টা ঠিক বুঝি না। এমন কিছু অ্যাকাউন্টও ভেরিফায়েড হয়ে যায়, যাঁদের আদপে কোনও অস্ত্বিত্বই নেই। এর আগে ট্যুইটারে আমার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড হয়ে গিয়েছিল, অথচ আমার বাবা যখন তাঁর অ্যাকাউন্টটি ভেরিফায়েড করতে চেয়েছিল, তখন ৩-৪টে কারণ দেখিয়ে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। যেন আমার বাবা কোনও বেআইনি কার্যকলাপ করেন। আমার মনে হয়, যাঁদের আধারকার্ড আছে তাঁদের সকলের অ্যাকাউন্টটিই ভেরিফায়েড করে দেওয়া উচিত।'
এখানেই শেষ নয়, যেখানে ট্যুইটারে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট পেতে টাকা নেওয়ার বিষয়টিতে শোরগোল পড়়ে গিয়েছে, সেখানে কঙ্গনা অবশ্য এবিষয়টিতেও এলন মাস্ককে সমর্থনই করেছেন। তাঁর কথায়, এই পৃথিবীতে কোনওকিছুই ফ্রিতে পাওয়া যায় না। টাকা নিলে তা ট্যুইটারের উন্নতিতেই কাজে আসবে। টাকা না নিলে চলবে কীভাবে? কঙ্গনার কথায়, তাঁরা আপনাকে শুধু তথ্য দিচ্ছে না, ওদের অংশ করে নিচ্ছে যাতে আপনি আপনার মত, সকলের সামনে তুলে ধরতে পারেন, সেটাকে প্রচারের আলোয় আনতে পারেন। আর সেকারণেই টাকা নেওয়ার ভাবনাটা মন্দ নয়। এই সিদ্ধান্ত ট্য়ুইটারকে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর মে মাসে কঙ্গনার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টকে নিয়ম ভাঙার অপরাধে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠছে তবে কি কঙ্গনা আবারও তাঁর সাসপেন্ড হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্টটি ফেরত পাবেন?