নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের বিচ্ছেদের পিছনে নাকি অনেকাংশেই দায়ী অভিনেতার পিআর টিমের সদস্যরা। এমনটাই মনে করছেন কঙ্গনা রানাওয়াতের দিদি রঙ্গোলি চান্দেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে সুশান্তের পিআর টিমকে 'ফ্যান্সি পিআর টিম' বলে আক্রমণ করেন রঙ্গোলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্ত ও অঙ্কিতাকে নিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট লেখেন তাঁদের বন্ধু সন্দীপ সিং। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, সন্দীপ হলেন সুশান্ত ও অঙ্কিতা দুজনেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বলিউডের প্রযোজক এবং খুব শীঘ্রই সুশান্তকে নিয়ে 'বন্দে ভারতম' বলে একটি ছবি পরিচালনা করতেও চলেছিলেন তিনি। সন্দীপ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুশান্ত ও অঙ্কিতার ভালোবাসার দিনগুলির কথা, তাঁদের সঙ্গে একসঙ্গে কাটানো নানান কথা শেয়ার করেছেন। এমনকি সুশান্ত-অঙ্কিতার ভালোবাসা ধ্রুব সত্যি বলে লিখেছেন সন্দীপ, লিখেছেন, তিনি তাঁদের বিয়ের স্বপ্ন দেখতেন। এমনকি নিজের ফ্ল্যাটের নেম প্লেটে সুশান্তের নাম এখনও অঙ্কিতা সযত্নে রেখে দিয়েছেন বলেও জানান সন্দীপ। আর তাঁর এই পোস্টটি প্রসঙ্গেই মন্তব্য করেন রঙ্গোলি।


আরও পড়ুন-''অঙ্কিতা ফ্ল্যাটের নেমপ্লেটে এখনও রয়েছে সুশান্তের নাম'' প্রকাশ্যে আনলেন বন্ধু সন্দীপ



আরও পড়ুন-সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে হওয়া চুক্তিপত্র পুলিসের কাছে জমা করল যশরাজ ফিল্মস


রঙ্গোলি চান্দেলের কথা অনুযায়ী সুশান্ত-অঙ্কিতার বিচ্ছেদের পিছনে হাত রয়েছে অভিনেতার পিআর টিমের সদস্যদের। রঙ্গোলি সন্দীপের প্রশংসা করে লিখা শুরু করেছেন এবং সুশান্তের পিআর টিমকে একহাত নিয়েছেন। '' কী ভালো লিখেছ সন্দীপ। ও (সুশান্ত) একটা ফ্যান্সি পিআর নিযুক্ত করেছিল, যে মেয়েটি কিনা আদপে ফিল্ম মাফিয়াদের হয়েই কাজ করত। যে পিআর সুশান্তকে বুঝিয়েছিল, মিডিয়ার নজর কাড়তে তোমার একজন আকর্ষণীয় সঙ্গিনীর দরকার আছে। বোঝানো হয়েছিল, এখানে কেউ প্রেমে পড়ে না, এখানে প্রেমটা হল ব্র্যান্ডিং। তাই তুমিও তোমার ব্র্যান্ড তৈরি করো, ব্যক্তিগত দুর্বলতা ভুলে যাও। রণবীররা এবং ফিল্ম ফ্যামিলির ছেলেরা যেমন সুপার মডেলদের সঙ্গে প্রেম করছে, তুমিও করো। অঙ্কিতার মতো টেলি অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা এবং ওর সঙ্গে মালাড-এর (মালাড হল মুম্বইয়ের শহরতলী) ফ্ল্যাটে থাকা তোমার ইমেজের পক্ষে ভালো নয়। তুমি যদি বড় কিছু পেতে চাও তাহলে তারকাদের মতো জীবনযাপন করতে হবে, নাহলে সারাজীবন টেলি অভিনেতার তকমা লেগে থাকবে। অঙ্কিতা ও সুশান্ত একসঙ্গে থাকার জন্যই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। সুশান্ত সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরিয়ে যায়। অঙ্কিতা ভেঙে পড়ে। কিন্তু ওরা সুশান্তের শিরদাঁড়া ভেঙে দিতে এভাবেই সফল হয়ে যায়।''


রঙ্গোলি আরও লিখেছেন, ''সুশান্ত এরপর বান্দ্রায় থাকা শুরু করেন। আর ওর চারপাশে ছিল কিছু নকল বন্ধু। সুশান্ত একজন মডেলকে ডেট করাও শুরু করেন। কিন্তু সুশান্ত সবকিছুই হারিয়ে বসে। এই তথ্যগুলি আমি আমার কিছু বন্ধুর কাছ থেকে জেনেছিলাম। আমি তখনই ভেবেছিলাম যে এই সবকিছুই ওকে সাহায্য করবে না। যাই হোক, ওর সুশান্তকে গ্রহণও করেনি, বাঁচতেও দেয়নি। ওদের স্ট্রাটেজি কাজ করে গেল। পরে ওই নকল পি আর ও বন্ধুরা সকলেই সুশান্তকে ছেড়ে গিয়েছিল। সুশান্ত একা হয়ে গেল, অবসাদে ভুগতে শুরু করল। ওরা সুশান্তকে নিয়ে নোংরা আলোচনা করতে আঘাত করতে শুরু করলো, শেষপর্যন্ত ও সকলকে ছেড়ে চলেই গেল।...তুমি ঠিকই বলেছ এই সব নকল আলোছায়া, প্রতিশ্রুতি, ব্যাবসা বন্ধ করার যদি কোনও পথ থাকতো ভালো হত। মুভি মাফিয়ারা বাইরে থেকে উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে আসা প্রতিভা সঙ্গে এমনটাই করে।''



আরও পড়ুন-সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলা


প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর পর অঙ্কিতা একেবারেই ভেঙে পড়েছেন বলেই জানিয়েছেন সুশান্ত-অঙ্কিতার একাধিক বন্ধু। এমনকি সুশান্তও অঙ্কিতার অভাব পড়ে বুঝতে পেরেছিলেন, এমনকি নিজের মনোবিদের কাছেও স্বীকার করেছিলেন অঙ্কিতার কাছ থেকে দূরে গিয়ে তিনি বড় ভুল করেছেন।