নিজস্ব প্রতিবেদন- তাঁর বাড়ির পার্টিতে মাদকের ছড়াছড়ি ছিল। রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, শাহিদ কাপুর, ভিকি কৌশল, বরুণ ধাওয়ান সহ বলিউডের প্রথম সারির অজস্র অভিনেতা-অভিনেত্রী সেই পার্টিতে নেশায় চুর হয়ে ছিলেন। ঢুলু ঢুলু চোখ ছিল সবার। মুখ-চোখে মাদকের প্রভাব স্পষ্ট ছিল। এমনকী, ভিকি কৌশলের সামনে রাখা টেবিলে পাউডারের মতো দেখতে মাদক দ্রব্য থাকার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখা গিয়েছিল। সেই পার্টির ভিডিয়ো ফুটেজ এখন ভূ-ভারতে প্রায় সব ইন্টারনেট ব্যবহারকারীই দেখা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে একাধিক সংবাদমাধ্যম, বহু জায়গায় সেই ভিডিয়ো ফুটেজ চলেছে। দাবি করা হয়েছে, সেই পার্টি ছিল করণ জোহরের বাড়িতে। আর সেই পার্টিতে মাদকের ছড়াছড়ি ছিল বলেও অভিযোগ উঠছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে অভিযোগের একাধিক আঙুল করণ জোহরের দিকে। বলিউডে তিনি নেপোটিজম-এর প্রচারক বলে অভিযোগ। এমনকী অনেকেই তাঁকে মুভি মাফিয়া বলেছেন। বলিউডে স্বজনপোষণের অভিযোগ নতুন নয়। সুশান্তের মৃত্যুর পর যেন বাঁধ ভেঙেছে। দীর্ঘদিনের এই প্রথা ভাঙার জন্য অনেকেই পথে নেমেছেন। আর সেই আন্দোলনে পুড়ছে করণ জোহরের কুশপুতুল। তাঁকেই যেন নেপোটিজম-এর অপদেবতা হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। করণ জোহর সব দেখেছেন, শুনেছেন, অবাক হয়েছেন। তবে এতদিন তেমন কিছু বলেননি এই নিয়ে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তারকাদের সন্তান হলেই করণ জোহর সুযোগ পাইয়ে দিয়েছেন। আর সুশান্তের মতো প্রতিভাদের বারবার পিষে দিয়েছেন এই করণ জোহর। তবে করণকে এর আগেও বিতর্ক ধাওয়া করেছে বারবার। কফি উইথ করণ তাঁর জলজ্যান্ত প্রমাণ।


আরও পড়ুন-  করণ জোহরের ধর্ম প্রোডাকশনের ম্যানেজার ক্ষীতিশ প্রসাদকে আটক করল NCB



পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে ওঠায় এবার মুখ খুলতে বাধ্য হলেন করণ। তিনি টুইটারে এক পাতার বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে দাবি করেছেন, তিনি কোনওদিন মাদক সেবন করেননি। এবং কখনই কাউকে মাদক সেবন করার ব্যাপারে প্ররোচনা দেননি। তাঁর বাড়িতে কখনও কোনও পার্টিতে মাদকের ছড়াছড়ি হয়নি। যেসব ফুটেজ মিডিয়া দেখাচ্ছে সেগুলি সব ভুয়া। তাঁর সঙ্গে মাদকযোগের যে তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে সেগুলি সব মিথ্যে। ২০১৯ সালেও তিনি এমন অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করেছিলেন। এদিন তারও উল্লেখ করলেন করণ। করণ বলেছেন, ''একের পর মিথ্যে অভিযোগ ও ভুল খবরে আমার, ধর্ম প্রোডাকশন ও আমার পরিবারের উপর প্রভাব পড়ছে। আমাদের ঘৃণা ও উপহাসের পাত্র হিসাবে দেখা হচ্ছে।''  


করণ এদিন আরও বলেছেন, একাধিক মিডিয়া চ্যানেল দেখাচ্ছে, ''ক্ষিতিজ প্রসাদ নাকি ধর্ম প্রোডাকশনের ম্যানেজার। এটা সত্যি নয়। এমনকী অনুভব চোপড়াও ধর্ম প্রোডাকশনের কর্মী নয়। আমি তো অনুভবকে ব্যক্তিগতভাবে চিনিও না। ২০১১ থেকে ২০১২-র মধ্যে একটি প্রোজেক্ট-এ সেকেন্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসাবে দুমাসের জন্য ধর্ম প্রোডাকশনের সঙ্গে কাজ করেছিল অনুভব। তার পর আর কখনও কাজ করেনি। ক্ষিতিজ ২০১৯ সালে একটি প্রোজেক্টে কাজ করেছিল ধর্ম প্রোডাকশনের সঙ্গে। কিন্তু সেই প্রোজেক্ট রিলিজ করেনি।''