`আর কে স্টুডিও`র সঙ্গে ছেলেবেলার স্মৃতি জড়িয়ে আছে, নস্টালজিক বেবো
সেই রাজ কাপুরের সাধের আর কে স্টুডিও সম্প্রতি বিক্রি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাপুর পরিবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ ৭০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য। জড়িয়ে রয়েছে কত স্মৃতি, কত সিনেমা তৈরির ইতিহাস। অনেক পরিশ্রম করে, ১৯৪৮ সালে আর কে স্টুডিও তথা আর কে ফিল্ম তৈরি করেছিলেন রাজ কপুর, যাঁকে কিনা হিন্দি সিনেমার পথপ্রদর্শকও বলা হয়। সেই রাজ কাপুরের সাধের আর কে স্টুডিও সম্প্রতি বিক্রি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাপুর পরিবার।
পরিবারের ঐতিহ্যবাহী আর কে স্টুডিও বিক্রির সিদ্ধান্ত হতাশাজনক হলেও একপ্রকাশ এই সিদ্ধান্ত নিতে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজ কাপুরের ছেলে ঋষি কাপুর। এই সিদ্ধান্তে পিছনে দীর্ঘদিন ধরে চলা আর কে স্টুডিও লোকসানকই কারণ হিসাবে খাঁড়া করেছেন তিনি। রবিবারই মুম্বই মিররকে ঋষি কাপুর জানান, '' কিছুদিনের আগেও আমার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে আর কে স্টুডিওকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে বাস্তবটা হল ফিনিক্স থেকে নতুন করে ছাই ঝেড়ে ফেলে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। আমরা কাপুরদের এবিষয়টির উপর ভীষণ আবেগ কাজ করে। তবে সত্যিটা হল এই আর কে স্টুডিও কে নতুন করে গড়ে তোলায় জন্য যে পরিমান টাকা বিনিয়োগ করতে হবে পরবর্তীকালে হয়ত এটা থেকে ততটা লাভও হবে না। বিশ্বাস করুন, আমাদের অনেক ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। এমনকি আর কে স্টুডিওতে আগুন লাগার আগেও এটি আমাদের কাছে একটা বড় সাদা হাতি পোষা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। খুব কম সিনেমা, সিরিয়ালের জন্যই এই স্টুডিওটা ভাড়া করা হত। অথচ এটা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার খরচ হচ্ছে অত্যন্ত বেশি।''
আরও পড়ুন-শাহরুখের ছেলে আরিয়ানের সঙ্গে বলিউডে পা রাখছেন খুশি?
এদিকে রাজ কাপুরের আরও বড় ছেলে রণধীর কাপুরের ছোট মেয়ে করিনা কাপুরকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এবিষয়ে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। বেবো IANS-কে বলেন, '' আমি ঠিক জানি না, বিষয়টা নিয়ে কতটা কী এগিয়েছে, বা কী ঘটতে চলেছে। গত ৪-৫ দিন হল আমার সঙ্গে বাবার কোনওরকম দেখাও হয়নি। তবে এটা খুব সত্যি কথা আমরা সবাই ওই আর কে স্টুডিওর করিডর দিয়ে হেঁটেই বড় হয়েছি। আমার মনে হয় এটা একেবারেই পবিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্ত উপর নির্ভর করছে, নির্ভর করছে আমার বাবা ও তাঁর ভাইদের উপর। তাঁরা যেটা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।''
পাশাপাশি, এই একই বিষয়ে 'হিন্দুস্থান টাইমস'-কে করিনা জানান, '' আর কে স্টুডিও আমাদের প্রত্যেকেরই (কাপুর পরিবারের সদস্যদের) হৃদয়ের খুব কাছের। এটা আমাদের বাড়ির মতোই। এটার সঙ্গে যে স্মৃতি, ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে, তা আর অন্য কোনও স্টুডিওর সঙ্গে এতটা ঐতিহ্য, স্মৃতি জড়িয়ে নেই। ''