Birju Maharaj: নৃত্যজগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত পন্ডিত বিরজু মহারাজ
৮৩ বছর বয়সে জীবনাবসান কিংবদন্তী শিল্পীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রয়াত কিংবদন্তী কত্থক শিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। ৮৩ বছর বয়সে জীবনাবসান কিংবদন্তী শিল্পীর। রবিবার রাত বারোটা পনেরো নাগাদ দিল্লির বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিরজু মহারাজ। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পীর মৃত্যুর খবর দেন তাঁর নাতি।
সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, "অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে আমাদের পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় সদস্য পন্ডিত বিরজু মহারাজজি অকাল প্রয়াত হয়েছেন।" ১৭ জানুয়ারী, সকালে তাঁর মৃত্যু হয়- মহারাজ পরিবার। জানা গিয়েছে, কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি, কয়েকদিন আগেই তাঁর ডায়ালিসিস হয় ৷ রবিবার রাতে হঠাৎই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
১৯৩৮ সালে লখনউতে জন্ম পণ্ডিত বিরজু মহারাজের। তাঁর আসল নাম পণ্ডিত বৃজমোহন মিশ্র। কত্থক শিল্পীর পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেরও দিকপাল ছিলেন। ১৯৮৩ সালে তাঁকে পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করে ভারত সরকার। তাঁর বাবা ও গুরু অচ্ছন মহারাজ, দুই কাকা শম্ভু মহারাজ ও লাচ্চু মহারাজও প্রখ্যাত কত্থক-শিল্পী।
একাধারে নাচ, তবলা এবং কণ্ঠসঙ্গীতে সমান পারদর্শী ছিলেন বিরজু। ছবিও আঁকতে পারতেন। একাধিক ছবিতে কোরিওগ্রাফি করেছেন বিরজু মহারাজ। উল্লেখযোগ্য সত্তর দশকের মাঝামাঝি সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’-র কোরিওগ্রাফি। ২০১২ সালে বিশ্বরূপম ছবিতে কোরিওগ্রাফির জন্য তাঁকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
রবিশঙ্কর তাঁর নাচ দেখে বলেছিলেন, ‘তুমি তো লয়ের পুতুল’! ভোজপুরী লোকসঙ্গীত শিল্পী মালিনী অবস্থী ট্যুইটে লেখেন, ''আজ ভারতীয় সঙ্গীতের লয় থেমে গেল। সুর মৌন হয়ে গেল। ভাব শূন্য হয়ে গেল। বিরজু মহারাজ আর নেই। লখনউয়ের ডেউড়ি আজ শূন্য হয়ে গেল। মহারাজজি, সারা বিশ্বে কালিকাবিন্দাদিনজির গৌরবময় ঐতিহ্যের সুবাস ছড়িয়েছিলেন, অসীমে বিলীন হয়ে গেলেন। এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। ওম শান্তি।''তাঁর প্রয়াণে শোকাহত সংস্কৃতি জগত।