নিজস্ব প্রতিবেদন: চারের দশক থেকে শুরু করে টানা চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সংগীতে বিরাজ করেছেন তিনি আর শ্রোতাদের মনে আজও তাঁর আবেদন একইরকম। তিনি কিংবদন্তি কিশোর কুমার (Kishore Kumar)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শাস্ত্রীয় সংগীতের তথাকথিত তালিম না থাকা সত্ত্বেও সুরের আকাশে খুব তাড়াতাড়িই উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছিলেন মেলেডি কিং। তার অন্যতম কারণ অবশ্যই তাঁর কন্ঠের আবেদন। প্রেমের গান হোক বা বিরহের গান কিংবা পার্টি সং সবেতেই কিশোর কুমার(Kishore Kumar) ছিলেন অনবদ্য, তাই তাঁর মৃত্যুর তিন দশক পরেও তিনি সমান জনপ্রিয়। 


মুম্বইয়ের বম্বে টকিজে কোরাস গায়ক হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন কিশোর কুমার, তখন সেখানেই অভিনয় করতেন দাদা অশোক কুমার (Ashok Kumar)। এরপর ১৯৪৮ সালে 'জিদ্দি' ছবিতে প্রথমবার প্লেব্যাক করেছিলেন তিনি। শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিম না থাকার দরুণ বিমল রায়ের 'নকরি' ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয় কিশোর কুমারের। তবে পরে তাঁর গান শুনে সুরকার সলিল চৌধুরী তাঁকে 'ছোটা সা ঘর হোগা' গানটি গাওয়ার সুযোগ দেন।  গানটি গাওয়ার কথা ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের। সেইসময় কে এল সায়গলের বড় ভক্ত ছিলেন কিশোর।


এমনকী গান গাওয়ার সময় সায়গল সাহেবকেই নকল করতেন তিনি। একদিন অশোক কুমারের বাড়িতে পৌঁছে কিশোর কুমারকে কে এল সায়গলের গান গাইতে শুনে সংগীত পরিচালক শচীন দেব বর্মন তাঁকে নিজস্ব স্টাইল তৈরি করার পরামর্শ দেন। তাঁর পরামর্শেই নিজের অনন্য স্টাইল তৈরি করেন কিশোর কুমার। এই নতুন স্টইলই তাঁকে করে তোলে সকলের থেকে আলাদা। শিখে ফেলেন ইয়োডলিং।


আরও পড়ুন: Kishore Kumar birthday: 'অগর তুম না হোতে', বাবা Kishore Kumarর স্মরণে ছেলে Amit Kumarর গান


কিশোরকুমারের দাদা অনুপ কুমারের সংগ্রহের অস্ট্রিয়ান কিছু রেকর্ডস ছিল। সেখান  থেকেই অস্ট্রিয় গায়কেরঅননুকরণীয় ভঙ্গিতে হাতেখড়ি হয় কিশোর কুমারের। সেই স্টাইল হিন্দি গানে মিশে এক বিশিষ্টতা দেয়। কিশোর কুমার ছাড়া সেই সময়ের আর কোনওশিল্পী ইয়োডলিং করতেন না। একের পর এক বিখ্যাত গানের শুরুতে সঙ্গীত পরিচালকের অনুমতি নিয়েই তার প্রয়োগ করেন তিনি। বলিউডে 'ম্যায় হুঁ ঝুমরু' বা 'ইয়ে শাম মস্তানি' গানের ব্যাপ্তি অনেকটাই  তাঁর ইয়োডলিং ব্যবহারের কারণেই। পরে তা বাংলা ছবিতেও ব্যবহার করেন কিশোর কুমার। 'সিং নেই তবু নাম তার সিংহ' গানে ইয়োডলিং ব্যবহার করেন কুশোর, তা জনপ্রিয়তার শিখর  ছুঁয়ে আছে আজও।


কিশোর কুমার ছাড়া বলিউডে বিভিন্ন বিদেশি স্টাইল যে সব শিল্পী ব্যবহার করেন, তাঁদের মধ্যে একেবারে সামনের সারিতে থাকবেন আশা ভোঁসলে। দুজনের ইয়োডলিং আর স্কেটিং, সেই সময়ের হিন্দি ছবির গানকে নিয়ে গেছে এক অনন্য চূড়ায়। তবে এই প্র্যাকটিসের অন্যতম মূল কাণ্ডারি ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক রাহুল দেব বর্মন। ভারতীয় ফিল্ম সঙ্গীতের ইতিহাসে এমন সব গান তৈরি করলেন, যা সময়কে পার করে অনেক এগিয়ে থাকা। এই স্টাইলের প্রয়োগ আমরা পরবর্তীকালে বেশ কিছু সঙ্গীত পরিচালককে করতে দেখেছি।  তবে পরবর্তীকালে যে একটা 'হাফ টিকিট' ছবির 'আকে সিধি লাগি দিল পে য্যায়সে কাটারিয়া'র মত গান তৈরি হয় নি, তার কারণ, তা গাওয়ার মত একজন কিশোর কুমারও পাই নি আমরা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)