বাবার বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন মেয়ে, আর অমৃতা কী করেছিলেন জানেন?
বহু ব্যক্তিগত কথাই প্রকাশ্যে আনেন সারা আলি খান...
নিজস্ব প্রতিবেদন: অমৃতার সঙ্গে সইফের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়েছে বহু বছর আগে। তবে এই বিচ্ছেদ প্রভাব ফেলেনি বাবা সইফ ও মেয়ে সারার সম্পর্কে। তাঁদের সম্পর্ক এখনও আগের মতোই কাছের রয়েছে। সারা মা অমৃতার সঙ্গে থাকলেও সইফের বাড়িতে আসতে তাঁর কোনও বাধা নেই। রবিবার সম্প্রচারিত 'কফি উইথ করণ'-এর সিজন ৬ এ হাজির হয়ে মা অমৃতা, বাবা সইফ ও করিনা সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে বহু ব্যক্তিগত কথাই প্রকাশ্যে আনেন সারা। তখন সারার সামনে বসেছিলেন সইফ।
সইফ জানান, করিনার সঙ্গে বিয়ের দিন তিনি 'প্রাক্তন' অমৃতাকে চিঠি লিখেছিলেন। অমৃতাকে পাঠানোর আগে সেই আবার পরেছিলেন করিনা কাপুর খান। করিনাই নাকি তাঁকে অমৃতাকে চিঠি লেখার জন্য অনুরোধ করেন। চিঠিতে নাকি নাকি সইফ তাঁর নতুন জীবন শুরু করার কথা জানিয়ে ও অমৃতার সঙ্গে কাটানো কিছু পুরনো স্মৃতি উঠে এসেছিল। করিনা তাঁকে কতটা সমর্থন করেন, সবসময় তাঁর কীভাবে পাশে থাকেন, সেকথা বলতে গিয়েই 'প্রাক্তন' অমৃতাকে চিঠি লেখার কথা জানান ছোটে নবাব। আর এসব কথা মেয়ের সারার সামনেই বলেন সইফ। পাশাপাশি সইফ জানান, করিনার সঙ্গে তাঁর বিয়ের দিন সারাই তাঁকে ফোন করে জানান, যে তিনি বিয়েতে হাজির থাকবেন।
আরও পড়ুন-বিয়েতে শিখ ধর্মগ্রন্থকে অবমাননার অভিযোগ দীপিকা-রণবীরের বিরুদ্ধে
এই প্রসঙ্গে সারা জানান, ''আমার বাবার বিয়েতে যাওয়ার জন্য আমার মা অমৃতাই আমাকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন। সেসময় অনেকেই বলেছিল, করিনা ভীষণ অদ্ভু। খুব সমস্যা হবে। অথচ এমন কিছুই ঘটেনি। ''
ছবি : সইফ করিনার বিয়েতে সারা
কফি উইথ করণ-এর সিজন ৬ এ সারা তাঁর সৎ মা করিনাকে নিয়েও মুখ খোলেন। সারা বলেন, করিনার সঙ্গে বাবার বিয়ে হওয়ার পর থেকে এবং এখনও করিনা আমায় একটা কথাই বলে, ''দেখো তোমার মা আছে। আর মা (অমৃতা) হিসাবে তিনি দারুণ। তাই আমি চাই তোমার (সারা) সঙ্গে আমার (করিনা) বেশ ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকুক। '' সারা আরও বলেন, এমনকি বাবাও (সইফ) আমাকে কখনও বলেননি যে করিনা আমার দ্বিতীয় মা। কোনও রকম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমি ওকে করিনা বা করিনা আন্টি যা খুশি বলতে পারি। তবে বাবা করিনা আন্টি না বলে করিনা বললেই বেশি খুশি হয়।
পাশাপাশি বাবা-মা সইফ অমৃতা সম্পর্কে সারা বলেন, '' আসলে প্রত্যেকটা সম্পর্কেই সম্মানটাই ভীষণ প্রয়োজন। যেটা আসলে মানুষ চায়। আজ আমি আমার বাবাকেও দেখছি ভীষণ খুশি। মাকেও দেখছি ভীষণ ভালো থাকতে। আমার মনে হয় বাবা-মা যখন একসঙ্গে ছিল তার থেকে আলাদাই বেশি ভালো আছে। আর এভাবেই আমি বেশি ভালো আছি। যখন আমার একটাই বাড়ি ছিল তখনই অশান্তিতে ছিলাম। আর এখন আমি দুই বাড়িতে গেলেই শান্তিতে থাকতে পারি। আর এটাই আমার পাওয়া। ''
আরও পড়ুন-বিয়ের আগে ফারহান আখতারের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার ঘনিষ্ঠ ভিডিও ফাঁস!