Lionel Messi, 2022 FIFA World Cup, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৮ ডিসেম্বর লুসেল স্টেডিয়ামে তিনি দিয়েগো মারাদোনার স্মৃতি ফিরিয়ে আনবেন কিনা জানা নেই। তবে ক্রোয়েশিয়াকে সেমিফাইনালে উড়িয়ে লিওনেল মেসি করলেন বড় ঘোষণা। জানিয়ে দিলেন মেগা ফাইনালের ফলাফল যাই হোক, প্রিয় ওই নীল সাদা জার্সি গায়ে চাপিয়ে আর কোনওদিনই মাঠে নামবেন না। ফুটবলকে বিদায় জানানোর খবরটা নিজেই জানিয়েছেন লিওনেল মেসি। এখবরে কী বলছেন বাংলার তারকারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক



মেসির খেলা দেখতে দুর্দান্ত লাগছে। টিম ওয়ার্ক দুর্দান্ত। প্রত্যেক প্লেয়ারই দুর্দান্ত খেলছে। কোচের যে স্ট্র্যাটেজি সেটাও খুব ভালো লাগছে। আর্জেন্টিনা এখন শিখরে উঠেছে। সৌদি আরবের কাছে হেরে যাওয়ার পর ও যেভাবে ফিরে এসেছে, সেটা দারুণ লেগেছে। ফাটাফাটি। আমার মনে হচ্ছে টিম আর্জেন্টিনা-ই চ্যাম্পিয়ান হবে।


ইমন চক্রবর্তী, গায়িকা



আমি ব্রাজিলের সাপোর্টার, তবে ব্রাজিল তো নেই, তাই চাই এবার বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা জিতুক। আর এই চাওয়াটা শুধুমাত্র মেসির জন্যই। কারণ এটা ওঁর শেষ বিশ্বকাপ। তবে আমার বেশ কয়েকটা দল পছন্দ। যারমধ্যে ১ নম্বরে ব্রাজিল, ২ নম্বরে আর্জেন্টিনা। আর এখন এই আর্জেন্টিনা ১-এ উঠে এসেছে। 


বিশ্বনাথ বসু, অভিনেতা



খারাপ তো লাগছেই। কারণ, আমরা তো মারাদোনার পর যাঁর উপর আবারও বিশ্বাস নিয়ে ঘর বেঁধেছিলাম, সেটা মেসি। আমরা মারাদোনার সময় বড় হয়েছি, তারপর মেসি এসে হাল ধরেছিল। ওঁর কাছ থেকে ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক কিছু শেখার আছে। কারণ, মেসি অন্যকে মারতে, ফাউল করতে কিংবা অফসাইড করে সময় নষ্ট করার তুলনায় ও খেলে বেশি। সেটাই ওঁর কাছ থেকে শেখার। বুঝিয়ে দেন সব জিনিসে সারা দেওয়ার কোনও দরকার নেই। কোনও সময় অভিনয় করেন না, যেটা নেইমার করেন। ও তো আমাদের থেকেও বড় অভিনেতা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মধ্যেও একটা নিজের কৃতিত্ব নেওয়ার বিষয় ছিল, সেটা মেসির মধ্যে নেই। ও খেলোয়াড়। যেটা সচিনের মধ্যেও দেখেছি। ওঁদের ঈশ্বর প্রদত্ত্ব, রিউমারলেস লাইফ। মেসি একজন সাধক, আমি চাই বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনা নিক। মেসি যাঁর বড় ভক্ত, সেই রোনালদিনহোরও আমি বড় ভক্ত। তাই মেসির বিদায়ের কথা জেনে আমার খুবই খারাপ লাগছে। তবে এই বিশ্বকাপে অনেক টিমকেই ভালো খেলতে দেখছি। তবে আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক।


রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, অভিনেত্রী



আমি অবশ্যই ফুটবল দেখি, আর মেসির ভক্ত। শুধু আমি কেন, গোটা পৃথিবীই মেসির ভক্ত। সকলেই মেসিকে ভীষণভাবে মিস করবে। এবার বিশ্বকাপ মেসির হাতে উঠুক, সেটাই প্রার্থনা। 


মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা



মেসিকে মিস করব তো বটেই। মারাদোনার পর কোনও ফুটবলারকে যদি এতটা ভালো লেগে থাকে সেটা হল মেসি। হাঁ করে বসে থাকতাম মেসির খেলা দেখার জন্য। ২০১৪-তেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান হত। শুধুমাত্র হিগুয়েন গোল মিস করেছিল বলে সেবছর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতা হয়ে ওঠেনি। সেবার এবং এবারও মেসি নির্ভর টিম। অ্যালভারেজ, মলিনা, দিবালা, এই যে জুনিয়াররা ছোট থেকেই মেসিকে দেখছে, মেসিও ওদের আগলে রেখেছে। তবে সব ভালোরই তো কোথাও একটা গিয়ে শেষ হয়। মেসিকে আমরা তো মিস করবই, তবে আমরা যত না মিস করব, ও আরও বেশি নিজেকে ফুটবলে মিস করবে। ফুটবলও মেসিকে মিস করবে। তবে সবকিছুই মেনে নিতে হয়, এই মেনে নেওয়াটা পরিপূর্ণতা পাবে তখনই যখন মেসির হাতে বিশ্বকাপ উঠবে। আর একটা ম্যাচ...। ও এখন জীবনের অন্যতম সেরা ফর্মে রয়েছে। ও-ই লিড করছে।


পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়, গায়িকা 



কী বলব, গলা বসে গেছে আমার রাত জেগে খেলা দেখতে দেখতে। মেসির খেলা দেখার উন্মদনা, উত্তেজনায়। আমি কিছু বলতেই চাই না, কিছু বলতেই পারব না আজ। বলে না 'যার সনে যার ভালোবাসা সেই তো মজা লুটিলো', আর আমার ভালোবাসা লিওনেল মেসি। গতকাল রাতে ওর পারফরম্যান্স আউটস্ট্যান্ডিং। বলে না ঈশ্বরের কখনও জন্ম হয় না, ঈশ্বরের আবির্ভাব ঘটে সেটাই হয়েছে। মেসি...মেসি, একেবারে ফাইনালে কথা হবে। আর আমি তো বরাবরের জন্য আর্জেন্টিনার ফ্যান।


 জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা



রাত জেগে আর্জেন্টিনা আর ক্রোয়েশিয়ার খেলা দেখার পর যেটা মনে হল, মেসি এবার ওয়ার্ল্ডকাপ পেতে ভীষণভাবে আগ্রহী। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যা খেলার ও খেলেছে, সেমিফাইনালে তার থেকে ১০০ শতাংশ বেশি ভালো খেলেছে। ও চাপ নিয়েই খেলেছে, অসাধরাণ কিছু পাস করেছে। আসাধারণ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। মেসির দিকে গোটা পৃথিবী তাকিয়ে আছে, যাতে ওঁর হাতে ওয়ার্ল্ডকাপটা ওঠে। ওঁর যাঁরা অনুরাগী তাঁরা কিন্তু আশায় বুক বেঁধেছে।


অপরাজিতা আঢ্য, অভিনেত্রী



 


খেলা তো খেলা শুধু খেলা দেখা নয়, সেখান থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। এই যে মেসির পা কেন সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে রাখা হয়েছে! কেন? কারণ, ও শুধু খেলতে এসেছে, আক্রমণ করতে আসেনি। ও ভীষণই কুল। দেখছিলাম, সবাইকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হবে, অতিরিক্ত খেলায়াড় নামানো হবে, কিন্তু মেসিকে পুরোটা খেলতে হবে। যারা খেলছে সকলেই ছোট, সবার থেকে ও বড়। শুধু গায়ে গতরে খাটলেই তো হয় না, অবজারভেশন ভীষণ প্রয়োজন। সবাই বলে মেসির ৬টা চোখ, মনে হচ্ছিল সেটা যেন সত্যি। ও জানে কোথা থেকে পাস দিলে অন্য খেলোয়াড় সেটা রিসিভ করে গোল করতে পারবে, সেটা ও জানে। আর ভালো লাগে ওই শিশুর মতো হাসি। এই হাসির কারণ, ও সবার উপরে, ঈশ্বরের মতো। ঠিক যেমন সচিনকে দেখে মনে হত, মেসিকে দেখেও সেটা মনে হয়। একসময় যেমন ব্রাজিল মানেই ছিল পেলে। মারাদোনা মানে ছিল আর্জেন্টিনা, তেমন মারাদোনার পর ওই আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করছে। 


ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা



আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক নই, তবে মেসির হাতে ওয়ার্ল্ডকাপ দেখতে চাই। রোনাল্ড, মুলার, নেইমার, মেসি, এই যে যাঁদের যাঁদের এটা শেষ বিশ্বকাপ, তাঁদের মধ্যে মেসি-র জন্যই আমার বেশি ব্যথা। ওঁকে যতবারই দেখেছি, ততবারই মনে হয়েছে এটা যেন ওঁর শেষ ম্যাচ না হয়। যাইহোক ফাইনালে অন্তত মেসিকে এখনও একবার দেখতে পাবো। আমি জার্মানির সমর্থক। তবে জার্মানি বেরিয়ে যাওয়ার পর চাই, অন্তত এই বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনার হাতে উঠুক। ভগবান বারবার আসেন না। এক, দুই, কিংবা তিনবার আসেন হয়ত। তবে সবকিছুরই তো শেষ আছে। এটা ওঁর কেরিয়ারের সেরা সময়। কেরিয়ারের চূড়ান্ত পর্যায়ে এমন একটা সিদ্ধান্ত, এটাকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বলাই ভালো। 



জ্যোতিকা জ্যোতি, অভিনেত্রী


বিশ্বকাপ দেখছি। আমার যদিও প্রিয় দল ব্রাজিল, তবে ব্রাজিল তো ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে। এখন আমি তাই আর্জেন্টিনার সমর্থক। আর এই সমর্থনের অন্যতম বড় কারণ মেসি। কারণ, মেসির ইমেজ দুর্দান্ত। ওঁর জন্য সবসময় শুভকামনা থাকবে। আমি চাই বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনার হাতে উঠুক।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)