বাবার `ভুল` থেকে শিক্ষা নেবে সন্তানেরা, আশা মান্যতার
১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় বেআইনি অস্ত্র রাখার মত অপরাধ করে ইতিমধ্যেই শাস্তি পেয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। জীবনের বেশ কয়েকটি বছর ইয়াওয়ারা জেলে কাটিয়েছেন মুন্নাভাই। তবে জীবনের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের পর আপাতত স্ত্রী মান্যতা ও দুই সন্তান ইকরা ও শাহরানকে নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছেন সঞ্জুবাবা। ফিল্ম `ভূমি`র হাত ধরে বলিউডেও ফিরেছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় বেআইনি অস্ত্র রাখার মত অপরাধ করে ইতিমধ্যেই শাস্তি পেয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। জীবনের বেশ কয়েকটি বছর ইয়াওয়ারা জেলে কাটিয়েছেন মুন্নাভাই। তবে জীবনের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের পর আপাতত স্ত্রী মান্যতা ও দুই সন্তান ইকরা ও শাহরানকে নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছেন সঞ্জুবাবা। ফিল্ম 'ভূমি'র হাত ধরে বলিউডেও ফিরেছেন তিনি।
সম্প্রতি 'পিঙ্কভিলা'তে প্রকাশিত খবর অনুসারে এক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে সেই জেলের জীবন ও তার সঙ্গে জুড়ে থাকা তাঁর ছোট্ট দুই সন্তানের জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন সঞ্জয়ও মান্যতা।
সঞ্জয় দত্তের কথায়,
''টানা ২৩ বছর এই মামলা চলেছে। এই সময়ে আমি একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। তবে আমি ভাগ্যবান, কারণ জেল হওয়ার সময়ে আমার জমজ দুই সন্তান ইকরা ও শাহরানের বয়স ছিল মাত্র ২ বছর। তাই সেময়ের বিশেষ কোনও স্মৃতি তাঁদের মধ্যে নেই। তারা যখন একটু বুঝতে শিখছে আমি তখন ছাড়া পেয়ে গেছি।''
তবে এবিষয়ে কথা বলেছেন সঞ্জয়ের স্ত্রী মান্যতাও। তাঁর বক্তব্য,
''ও জেলে যাওয়ার আগেও মাঝে মধ্যে শ্যুটিং-এর জন্য বের হত। তাই বাচ্চারা যে সব সময় ওকে বাড়িতে দেখেছে এমনটা নয়। এখন সঞ্জয় তাঁর বাচ্চাদের সঙ্গেই থাকেন।আমি বেশ বুঝতে পারি যে আমার পক্ষে ওদের বাবার অনুপস্থিতি পূরণ করা সম্ভব নয়। তবে সম্প্রতি যখন আমরা ইতালি বেড়াতে যাই। আর তার আগে বাচ্চারা যেভাবে বাবার কাছে পকেট মানির জন্য বায়না করছিল তখন আমি বুঝলাম যে ও ওদের কতটা কাছের।''
মান্যতা এই কথা প্রসঙ্গে আরও বলেন, ''আসলে বচ্চারা এখন খুবই ছোট, তাই কী ঘটেছে এটা বোঝা ওদের পক্ষে সম্ভব নয় । শাহরানদের কাছে ওর বাবা এখন হিরো, রোল মডেল, আদর্শ। আমার দুটো বিষয় নিয়ে ভীষণ চিন্তা হয়, এক, যে যখন ওরা যখন সমস্তটা জানবে এবং কেন ঘটেছিল, কী ঘটেছিল বিচার করবে তখন কতটা আঘাত পাবে। আবার দ্বিতীয়বার ভাবি, এটাও ওদের জানা উচিত ওদের বাবা যে কাজ করেছে সেটা অপরাধ, তার জন্য তাঁকে অনেক মূল্যও চোকাতে হয়েছে। অনেক মানুষের এই ক্ষমতাটাও থাকে না যে তারা তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করে, তার মুখোমুখি হয়। ''