নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় প্রতি নিয়ত লড়াই করছেন সাধারণ মানুষ। একের পর এক প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। ইন্ডাস্ট্রির বহু তারকাকেও হারিয়েছি আমরা করোনায়। 'তারক মেহতাকা উল্টা চশমা' ধারাবাহিক সিরিজ খ্যাত অভিনেতা ভাব্য গান্ধী সদ্যই তাঁর বাবাকে হারিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর বাবা বিনোদ গান্ধীর। মুম্বইয়ের কোকিলাবেন আম্বানি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তবে হাসপাতালে ভর্তি করার লড়াইটা ছিল আরও কঠিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: BIG B থেকে SRK, জেনে নিন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বেশি সম্পত্তির মালিক কারা?


ভাব্য গান্ধীর মা সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানান- 'কয়েক সপ্তাহ আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন আমার স্বামী। প্রথমে বুকে সামান্য ব্যাথা অনুভব করায় সিটি স্ক্যান করা হয়। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। বারবার ফোন করেও বেড পাওয়া যায় নি। আমাদের বলা হয় প্রথমে BMC তে নাম নথভুক্ত করতে, নম্বর আসলে তাঁরা ফোন করে নেবেন। কিন্তু আমাদের পক্ষে সেই ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব ছিল না। এরপর ভাব্যর ম্যানেজারের সাহায্যে দাদার-এ একটি বেড পাওয়া যায়। সেখানেই ভর্তি করি আমার স্বামীকে। সেখানেই দুদিন চিকিৎসা চলে। এরপর চিকিৎসক জানান তাঁকে ICU--তে রাখতে হবে, তবে সেই মুহুর্তে হাসাপাতালে ICU বেড নেই। ফলে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলেন তাঁরা। আমরা সেই থেকে হন্যে হয়ে ICU বেড খুঁজতে শুরু করি। ৫০০ র উপর ফোন করেও হাসপাতালের কোথাও জায়গা পাওয়া যায় নি। রাজনৈতিক দলের কর্মী, নেতা থেকে শুরু করে সেচ্ছাসেবী সংস্থা, হাসাপাতল কেউই কোনও ব্যবস্থা করে উঠতে পারেন নি। শেষ পর্যন্ত একটি গুরগাঁও এর একটি ছোট হাসপাতালে ICU বেড জোগার করে দেন আমার এক বন্ধু।'


 



লড়াই থামেনি এখানেও। শারীরিক অসুস্থতার কারণে রেমডেসিভির ইনজেকশন যোগার করতে বলা হয়। ৪৫ হাজার টাকার ইনজেকশনের জন্য আমায় এক লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে। ভারতে তৈরি ওষুধ পাওয়া যায় নি, দুবাই থেকে অর্ডার করে বেশি টাকা দিয়ে আনাতে হয়েছে এই ইনজেকশন। সেই ওষুধও কাজ করে নি তাঁর শরীরে। শেষ পর্যন্ত আবার তাঁকে কোকিলাবেন হাসপাতালে স্থানান্তরের চেষ্টা করি আমরা। কিন্তু সেখানেও একই কথা বলেন তাঁরা। BMC তে নাম রেজিস্টার না থাকলে তাঁরা ভর্তি নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। বহুবার তাঁদের অনুরোধ করার পর আমার স্বামীর শারিরীক অবস্থা দেখে শেষ পর্যন্ত তাঁরা ICU বেড দেন। তবে শেষ রক্ষা হল না। এরপর ১৫ দিনের লড়াই কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ।'