নিজস্ব প্রতিবেদন : দীপাবলির আগেই মহারাষ্ট্রে সিনেমাহল খোলার অনুমতি দিল সরকার। ৫ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকেই ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে প্রেক্ষাগৃহ খুলতে পারবেন হল মালিকরা। তবে মহারাষ্ট্র সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে কোনও দর্শক সিনেমাহলের ভিতরে খাবার নিয়ে ঢুকতে পারবেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধুমাত্র কনটেন্টমেন্ট জোন-এর বাইরের সিনেমাহলগুলিকেই খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিনেমাহল ছাড়াও কনটেন্টমেন্ট জোনের বাইরে যে সমস্ত ইনডোর স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল এবং যোগা কেন্দ্র রয়েছে সেগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে সমস্ত বিধি নিষেধ, সামাজিক দূরত্ব এবং স্যানিটাইজেশন নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে।  ঠিক কী কী বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে, সেটা স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের বিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্তভাবে জানাবেন বলে জানিয়েছেন  মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিব, সঞ্জয় কুমার। মহারাষ্ট্রে সিনেমাহল খোলার কথা টুইট করে জানিয়েছেন তরণ আদর্শ।


আরও পড়ুন-গ্লাস পেন্টিংয়ে উঠে এলেন সত্যজিৎ রায়, ফুটে উঠল তাঁর অমর সৃষ্টি



কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অবশ্য গত ১৪ অক্টোবরই বিধি নিষেধ মেনে সিনেমাহল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বিষয়টি রাজ্য সরকারগুলির হাতেই ছেড়়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এরাজ্যে অবশ্য বিধিনিষেধ মেনে দুর্গাপুজোর আগেই সিনেমা হল খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মহারাষ্ট্র সরকারের অনুমতিতে সেরাজ্যেও সিনেমাহল খুলতে চলেছে। 


প্রসঙ্গত, গোটা মহারাষ্ট্রে ৬০০টিরও বেশি সিনেমাহল রয়েছে। তারমধ্যে মুম্বইতেই রয়েছে ২০০টি সিনেমাহল। ভারতীয় চলচ্চিত্র দুনিয়ার অন্যতম প্রাণকেন্দ্রই হল মহারাষ্ট্রের মুম্বই। আবার মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও অন্য রাজ্যগুলির থেকে অনেক বেশি ছিল। লকডাউনে সিনেমাহলগুলি বন্ধ থাকায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েন হল মালিকরা। তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। হল খোলার অনুমতিতে আশার আলো দেখছেন হল মালিকরা।


আরও পড়ুন-শাহরুখের কাছে ক্ষমা চাইবেন অমিতাভ বচ্চন! কিন্তু কেন?