জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াত মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী হেলেনা লুক (Helena Luke)। রবিবার আমেরিকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা অজানা। ১৯৮৫ সালে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে ‘মর্দ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ছবিতে তিনি ছিলেন এক ব্রিটিশ কুইন। সেই ছবি থেকেই সকলের নজরে আসেন হেলেনা। প্রেমে পড়েন সেই সময়ে বলিউডের অন্যতম স্টার ছিলেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Shah Rukh Khan: জন্মদিনে আচমকাই ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত, শাহরুখের প্রশংসায় নেটপাড়া...


জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী তথা অভিনেত্রী কল্পনা আইয়ার প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান হেলেনা লুকের মৃত্যুর খবর। রবিবার সকালেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিনেত্রী। তিনি লেখেন, “অদ্ভুত লাগছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া এবং অস্থির।”জানা যায় যে বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ডাক্তারও দেখিয়েছিলেন। বহু বছর মুম্বই ছেড়ে আমেরিকায় থাকতেন তিনি। সিনেমার পাশাপাশি এয়ারলাইন কোম্পানিতেও চাকরি করেছেন তিনি। 


১৯৮৫ সালে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে ‘মর্দ’ ছবিতে চোখে পড়েন হেলেনা। তখন সিনেপাড়ায় মিঠুন চক্রবর্তীর রাজ। মিঠুনের প্রেমে পড়ে যান তিনি। তাঁকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন হেলেনা। তবে সেই সংসার টিকে ছিল মাত্র চার মাস। বিয়ের ঠিক পরেই ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক। প্রসঙ্গত, হেলেনাই মিঠুনের প্রথম স্ত্রী। ১৯৭৯ সালে বিয়ে আর ডিভোর্স দুটোই হয়। সেই বছরেই মিঠুন দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন যোগিতা বালির সঙ্গে।


আরও পড়ুন- Guru Prasad Death: আর্থিক অনটনে আত্মহত্যা? ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার জনপ্রিয় পরিচালকের পচা গলা দেহ...


মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে প্রসঙ্গে হেলেনা এক সাক্ষাত্‍কারে বলেছিলেন, ‘আমার শুধু মনে হয়, এটা যদি না হত! তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি আমার ব্রেনওয়াশ করেছিলেন যে, তিনি আমার জন্য আদর্শ মানুষ। আর দুর্ভাগ্যের কথা তিনি সেটা আমাকে বোঝাতে সক্ষমও হন। আমি তাঁর কাছে কখনো ফিরে যাব না, যদি সে আশেপাশের সবচেয়ে ধনী মানুষ হন তা-ও। আমি খোরপোশও চাইনি। ওটা একটা দুঃস্বপ্ন ছিল, আর তা শেষ হয়ে গিয়েছে।’


আরও পড়ুন- Sreemoyee-Kanchan: 'সব ব্যথা, সব ইমোশন মূল্যবান শুধু...', সদ্যোজাত মেয়েকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট শ্রীময়ীর...


মিঠুন সম্পর্কে হেলেনা বলেন, ‘আমি সত্যিই তাঁকে বিশ্বাস করেছিলাম, যখন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, তিনি আমাকে ভালোবাসেন। কিন্তু যখন আমি তাঁকে ভালো করে চিনতে পারলাম, তখন বুঝলাম তিনি নিজেকে ছাড়া কাউকে ভালোবাসে না। তিনি অত্যন্ত অপরিণত ছিলেন, এবং যদিও আমি তাঁর থেকে বয়সে কয়েক বছর ছোট ছিলাম, আমি অনেক বেশি ম্যাচিওর ছিলাম। খুব অধিকারবোধ ছিল ওর। এবং আমার প্রাক্তন প্রেমিক জাভেদকে নিয়ে আমাকে নানা কথা বলত। আমি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করতাম যে আমি তা করিনি, কিন্তু তার সন্দেহ আমি মেটাতে পারিনি। পরে আমি বুঝতে পারলাম তাঁর মধ্যেই একটা অপরাধবোধ আছে। আর আমার পিছনে আমাকে বোকা বানাচ্ছে। আর ভাবছে আমিও বোধহয় তাই করি।’


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)