ওয়েব ডেস্ক : প্রত্যাশা ছিলই। আর সে প্রত্যাশা পূরণে নিরাশ করলেন না ছবির পরিচালক থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রত্যেকেই। কেন টাবুকে “ইন্টালেকচুয়াল ম্যানস্ উওম্যান” বলা হয়, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন তিনি। “হায়দর”-এর পর এবার “ফিতুর”। সংযত সংলাপে অনবদ্য অভিনয়। তাঁকে যোগ্যসঙ্গত করে গেলেন ক্যাটরিনা কাইফ ও আদিত্য রয় কাপুর। ইতিমধ্যেই ছবিতে সবচেয়ে দীর্ঘ চুম্বন করে শিরোনাম তৈরি করে ফেলেছেন ছবির নায়ক ও নায়িকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চার্লস ডিকেন্সের উপন্যাস “গ্রেট এক্সপেকটেশন”- এর অবলম্বনে তৈরি এই ছবির চিত্রনাট্য। কাশ্মীরের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর তারমধ্যে ক্যাটরিনা ও আদিত্য রয় কাপুরের রোম্যান্স যে দর্শককে মোহিত করে রাখবে তা বলাই বাহুল্য।



বছর তেরোর নূর, কিশোরী ফিরদৌস-র প্রেমে পাগল। মাঝে একমাত্র বাধা তাঁদের দুজনের আর্থ-সামাজিক অবস্থান। ছবির গল্প এগোতে থাকে। বাধা আরও একজন। ফিরদৌসের মা, বেগম (টাবু)। যে তাঁর যৌবনে প্রেম-ভালোবাসায় ব্যর্থ। প্রেমের প্রতি তাঁর অসম্ভব বিদ্বেষ। মেয়ের সম্পর্ককে কোনওভাবেই মেনে নিতে নারাজ তিনি। নূরকে অপমান করেন বেগম। কাশ্মীর ছেড়ে দিল্লি চলে আসে নূর। তারপর কী হল? নূর কি আবার ফিরবে কাশ্মীরে, যেখানে রয়েছে তাঁর প্রিয়তমা ফিরদৌস? সব বাধা উপেক্ষা করে নূর-ফিরদৌসের চার হাত কী এক হবে? টান টান বুনোটে এগোতে থাকে চিত্রনাট্য।



বরফাবৃত ভূস্বর্গকে ছবির লোকেশন হিসেবে বেছে নেওয়া নিঃসন্দেহে পরিচালক অভিষেক সেনের অত্যন্ত বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত। আর তার সঙ্গে সুপ্রতীক সেনের লেখা সংলাপ। কিশোর নূর ও ফিরদৌসের চরিত্রে মহম্মদ আবরার ও তুনিশ শর্মার অভিনয়ও যথেষ্ট পরিণত। সেইসঙ্গে অরিজিত্‍ সিং, সুনিধি চৌহান, অমিত ত্রিবেদীর গলায় ছবির গানগুলি অসাধারণ। দুর্দান্ত ছবির কস্টিউমও। সবমিলিয়ে ভ্যালেন্টাইন উইকএন্ডে “ফিতুর”-এ পয়সা উশুল হবেই। তাই আর দেরি না করে এখনই বুক করে ফেলুন আপনাদের দুজনের টিকিটটা।