ওয়েব ডেস্ক : সোনিকা মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়। দুর্ঘটনার দিন ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে তিনটে।  ফাঁকা রাসবিহারী অ্যাভিনিউ দিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসছিল বিক্রমের দুধসাদা টয়োটা গাড়ি। তারপর, মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ওলপালট সবকিছু। কেমন করে হল দুর্ঘটনা? উত্তর দিচ্ছে CRD। বিমানে যেমন ব্ল্যাক বক্স থাকে, দামি গাড়িতে তেমনই থাকে  ক্র্যাশ ডেটা রিট্রিভাল বা CDR। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির গতি, গাড়ির ব্রেক ব্যবহার হয়েছিল কি না, সিট বেল্ট বাধা হয়েছিল কি না, এমন সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায় CRD পরীক্ষা করে। বিক্রমের গাড়ির CDR-টি পরীক্ষা করে সামনে এসেছে চমকে দেওয়ার মতো সব তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী জানাচ্ছে CDR?
দুর্ঘটনার আগে বিক্রমের গাড়ির গতি ছিল ৯০-১০৫ কিলোমিটারের মধ্যে। প্রথম ধাক্কা লাগার ৬ সেকেন্ড আগে ব্রেক কষেন বিক্রম। তবে সামাল দেওয়া যায়নি। কেন কাজ করল না গাড়ির ব্রেক? CRD  পরীক্ষা করে গাড়ি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাড়ি থামাতে ব্রেকে যতটা জোর দেওয়া প্রয়োজন ছিল তা দিতে পারেননি বিক্রম। গাড়ি থামানোর জোর সম্ভবত তাঁর পায়ে ছিল না।  তাহলে কী নিজের উপর নিয়ন্ত্রণই ছিল না বিক্রমের?


জানা গেছে, বিক্রমের যে মডেলের গাড়ি তাতে সিটবেল্ট না পড়া থাকলেও এয়ারব্যাগ খুলে যায়। কেন খুলল না এয়ারব্যাগ? এখানেও সামনে আসছে দুটি সম্ভাবনা। প্রথম ধাক্কাটি গাড়ির ধারে লেগেছিল। ফলে এয়ারব্যাগ নাও খুলতে পারে। এই গাড়িটির আগেও দুর্ঘটনা হয়েছিল। তারপর এয়ারব্যাগ সঠিক ভাবে রিপ্লেস করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে কোম্পানির রেকর্ড।


একদিক থেকে খুলছে রহস্যের জট, অন্যদিকে ক্রমশ বিপাকে জড়িয়ে পড়ছেন বিক্রম।


আরও পড়ুন, কোথায় গেল সনিকার মোবাইল? দুর্ঘটনার রাতে সুইন হো লেনে নিয়ে গিয়েছিলেন বিক্রমই