নন্দিতা ছেড়ে গেলে সঞ্জয় মিশ্রের স্ত্রীর সঙ্গে লিভ ইন, বিস্ফোরণ রঘুবীর যাদবের স্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের ৩২ বছর পর রঘুবীর যাদবের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ভাঙতে চাইছেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা। ব্যান্দ্রার পারিবারিক আদালতে ইতিমধ্যেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন 'লগন' অভিনেতা রঘুবীর যাদবের স্ত্রী। পাশাপাশি খোরপোশ বাবদ নগদ ১০ কোটিও দাবি করেন পূর্ণিমা। সেই সঙ্গে ছেলেকে দেখাশোনার জন্য প্রত্যেক মাসে আরও ১ লক্ষ করে দাবি করেন বলিউড অভিনেতার স্ত্রী। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার পাশাপাশি খোরপোষের বিপুল অঙ্ক দেখে ইতিমধ্যেই জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে গোটা বলিউড জুড়়ে।

বিচ্ছেদের খবরের পাশাপাশি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল আরও খবর। স্পটবয় ডট কমের তথ্য অনুযায়ী, রঘুবীর যাদবের স্ত্রী দাবি করেন, বিয়ের ৬ বছর পর থেকে তাঁদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। ওই সময় একটি মেগার শ্যুটিংয়ের সময় নাকি বাঙালি অভিনেত্রী নন্দিতা দাসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রঘুবীর যাদব। দুজনে একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেন। জবলপুরে নিজের বাবা-মায়ের কাছে নন্দিতাকে নিয়ে যান রঘুবীর। নন্দিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে, পূর্ণিমার কাছে বিচ্ছেদ চেয়ে বসেন। এসবের মাঝে আচমকাই নন্দিতার সঙ্গে রঘুবীরের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ওই সময় রঘুবীর যাদবকে ছেড়ে চলে যান নন্দিতা দাস।

নন্দিতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রর স্ত্রী রোশনির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। গোরেগাঁওতে থাকাকালীন সঞ্জয় মিশ্রের ফ্ল্যাটে যাতায়াত শুরু করেন রঘুবীর। এরপরই সঞ্জয় মিশ্রর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। শুধু তাই নয়, রোশনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে, সঞ্জয় মিশ্রর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে রঘুবীরের সঙ্গে থাকবেন বলে দাবি করেন। এসবের পর আর কখনও রঘুবীর যাদবের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগেনি। পূর্ণিমা নিজেই তাঁদের  ছেলেকে বড় করে তুলতে শুরু করেন।

যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি নন্দিতা দাস। চুপ করে রয়েছেন অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রও।