নিজস্ব প্রতিবেদন: মুক্তিদেবীর (অনুসূয়া মজুমদার) গোবিন্দ ধাম ভেঙে ফেলে ওই জায়গায় প্রোমোটিংয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে প্রোমোটার বাপী (খরাজ মুখোপাধ্যায়)। তার জন্য মুক্তিদেবীকে রাজি করাতে সে নাছোড়বান্দা। তবে মুক্তিদেবী কোনওভাবেই রাজি হওয়ার পাত্রী নন। শেষপর্যন্ত তাঁকে রাজি করাতে বাড়ির কেয়ারটেকার সাজিয়ে পাঠানো হয় খুনের মামলায় ৯ বছর জেলে খেটে আসা তারেক মিয়াকে (নাইজেল আকারা)। প্রথম সাক্ষাৎতেই মুক্তিদেবী তারেক মিঞার নাম দিয়ে বসেন হুলো বেড়াল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিকে এই বাতিকগ্রস্ত মুক্তিদেবীর দৌলতে তারেকের জীবন ওষ্ঠাগত। তবে আবার জাতি, ধর্ম, নাম, গোত্র ভুলে এই তারেকের সঙ্গেই সুন্দর বন্ধন তৈরি হয় মুক্তিদেবীর। সেও গোবিন্দ ধামের একজন হয়ে ওঠে। আর পাঁচ জন বাড়ির সদস্যর মতোই জন্মাষ্টমীতে ভোগ খাওয়াতে দেখা যায় তারেককে। একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়ে তারেক কীভাবে ভোগ বিতরণ করতে পারেন? এমন প্রশ্ন উঠলেও মুক্তিদেবী সাফ জানিয়ে দেন তার কাছে সে শুধুই তারক, তার পদবী আলি না গুহ তা নিয়ে তাঁর কিছুই যায় আসে না। শুক্রবার প্রকাশ্যে আসা 'গোত্র'র ট্রেলারে এভাবেই উঠে এসেছে মুক্তিদেবী ও তাঁর গোবিন্দ ধামের গল্প। যেখানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এক মানবিকতার ছবি ধরা পড়েছে।


আরও পড়ুন-'অসহিষ্ণুতা' ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে চিঠি কঙ্গনা, মধুর ভান্ডরকর, প্রসূন যোশীদের


তবে প্রোমোটাররা যে উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তারেক মিয়াকে গোবিন্দ ধামে পাঠিয়েছেন তার কী হবে? এটা জানতে হলে অবশ্য আগামী জন্মাষ্টমীতে 'গোত্র'র মুক্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।



তবে শুধু সম্পর্কের বন্ধনই নয়, এ শহর কি বয়স্কদের জন্য আদৌ নিরাপদ? সে প্রশ্নও তোলা হয়ে 'গোত্র'র ট্রেলারে। একটি চরিত্রের মুখ দিয়ে বলানো হয়েছে 'সব কেস এক, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্য।' এভাবেই শহরের অন্দরের ছবিটা তুলে ধরা হয়েছে  ট্রেলারে। সে যাই হোক একজন হিন্দু মায়ের মুসলিম ছেলেকে কি সমাজ শেষপর্যন্ত মেনে নেবে এই প্রশ্নই জিইয়ে রাখা হয়েছে 'গোত্র'র ট্রেলারে। এর উত্তর মেলে কিনা তা জানতে ছবিটি দেখতেই হচ্ছে।


আরও পড়ুন-সলমনের পরিবারে আসছে নতুন অতিথি!