রণিতা গোস্বামী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তারেক আলি ও ঝুমা, মুক্তি দেবীর এই দুই পাতানো ছেলেমেয়ের খুনসুটি, পারস্পরিক বন্ধন নিয়ে নিয়ে সুন্দর একটা গল্প বলতে চলেছেন পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের নতুন ছবি 'গোত্র'। গল্পের ছলেই সুন্দর একটা সামাজিক বার্তা দিতে চলেছে ছবিটি। এই ছবিরই শ্যুটিংয়ে ফাঁকেই জমে উঠেছিল 'তারেক আলি' নাইজেল আকারা ও 'ঝুমা' মানালি দে-র খুনসুটি। তাঁদের সেই খুনসুটি কথাই ZEE ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেছিলেন 'মুক্তিদেবী' অর্থাৎ অনুসূয়া মজুমদার। এবার 'গোত্র' নিয়ে Zee ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে আড্ডা দিলেন নাইজেল ও মানালি। কথা বললেন ছবি ও ব্যক্তিগত জীবনের বেশকিছু ঘটনা নিয়ে।


ছবির ট্রেলারে বেশকিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছে কাছের মানুষ হতে গেলে কি 'গোত্র' লাগে নাকি? এক্ষেত্রে নাইজেল ও মানালি তোমাদের ব্যক্তিগত মতামত কী?


নাইজেল- আমার এক্কেবারেই মনে হয় না। একটা মানুষের অন্য মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য কোনও ধর্ম, 'গোত্র' কোনও প্রয়োজনই নেই।


মানালি- আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় 'গোত্র' কোনও কাজেই লাগে না। ছোট থেকে গোত্র বলতে যেটা জেনেছি পূজোর সময় গোত্র বলতে লাগে। এছাড়া যে গোত্র কী? তা আমার সত্যিই জানা নেই। এমনকি আমার বাড়িতে একটা মুসলিম কাজের মেয়ে ছিল। সে পূজোও দিত, সবই করতো। আমার বাড়ি থেকে কোনওদিনই এসব নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা হয়নি। আমার কাছে ভালো মানুষ হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। যাঁদের সঙ্গে মিশি তাঁরা পজিটিভ কিনা সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।


বয়স্কদের জন্য কলকাতা শহর সত্যিই কি সুরক্ষিত নয়? 'গোত্র' ট্রেলারে যে প্রশ্নটা তুলে দেওয়া হয়েছে, তোমরা কী বলবে?


নাইজেল- (একটু গম্ভীর হয়ে) দেখো, আমরা খবরের কাগজে প্রায়ই দেখি, বয়স্কদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে। এটার জন্য আমার মনে হয় অনেকগুলো কারণই হয়তো দায়ী। কখনও সম্পত্তি সংক্রান্ত, কখনও আবার অন্যকিছু। আগে আমাদের যৌথ পরিবার ছিল, তখন এধরনের সমস্যা ছিল না। এখন ছেলেমেয়েরা কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন, তাই তাঁদের বয়স্ক বাবা-মায়েরা একা হয়ে যাচ্ছেন এখান থেকেই তো সমস্যা। অনেক সময়ই তাই তাঁদের দেখাশোনার জন্য কাজের লোকের উপরই ভরসা করতে হয়। এক্ষেত্রে আমি একটা কথা বলতে চাই, আমিও এধরনের একটা কোম্পানি চালাই, যেখানে আমিই বিভিন্ন জয়াগায় কেয়ার টেকার, আয়া দিয়ে থাকি। যেমন শিবুদার (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়) মাকে দেখাশোনার জন্য আমিই বরানগরে লোক দিয়েছিলাম। তবে হ্যাঁ, খুব বিশ্বস্ত না হলে আমি লোক দিই না। আমার তো মনে হয় 'রেজিস্টার্ড' সংস্থার কাছ থেকেই লোক নেওয়া উচিত।


আরও পড়ুন-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মায়ের আদলেই তৈরি 'গোত্র'র মুক্তিদেবী: অনুসূয়া


মানালি তুমি কী বলবে?


মানালি- দেখো, চারিদিকে যা ঘটনা ঘটছে, আমরা প্রতিনিয়ত খবরে কাগজে, টিভিতে দেখছি। এগুলো তো ঘটছেই, না হলে এই খবরগুলো কোথা থেকে আসতো? সেখান থেকেই এই সামাজিক ছবিটা সিনেমার গল্পেও উঠে এসেছে। কারণ, শিবুদা ও নন্দিতাদির (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়) ছবিতে সবসময়ই একটা সামাজিক বার্তা থাকে। আর 'গোত্র'তেও রয়েছে। 
আমার মনে হয় এধরনের বিষয় থেকে বের হতে হলে কারা বাড়িতে কাজ করতে আসছে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। সব থেকে বড় কথা মানসিকতা বদলানো দরকার। যারা বয়স্ক মানুষদের উপর আক্রমণ করছে, তাদেরকে যদি কোনওভাবে বদলানো যায়। কারণ, সবটাই তো হয় মানুষের মন থেকে, হিংসা থেকে। তাই সবার আগে এই খারাপ মনটাকে বদলানো খুব দরকার।



মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যা, এই যে বিষয়টা ট্রেলারে উঠে এসেছে, এটা তো শুধু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সমস্য়া নয়, সাম্প্রাতিককালে অল্পবয়সীদের মধ্যেও এই আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে, এনিয়ে কী বলবে?


নাইজেল-  আমার মনে প্রতিযোগিতার বেড়ে যাওয়ার ফলেই অল্প বয়স্কদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ছোটদের মধ্যেও মানসিক অবসাদ চলে আসছে। শুধু পড়াশোনাই নয়, চাকরি পাওয়া সমস্যা থেকেও এই অবসাদ আসে। সবাই তো আর বাইরে যেতে পারে না। কাজের জগতে প্রতিষ্ঠিত না হতে পারাও অবসাদ এনে দেয়। এছাড়াও ব্যক্তিগত সমস্যা তো রয়েছেই। 


মানালি-  (কথা কেড়ে নিয়ে) দেখো, সেটা বলতে গেলে তো মানসিক অবসাদ আমাদের পেশার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি দেখা যায়। কাজ নিযে মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। আমার মনে হয় বিষয়টা সকলের এইভাবে ভাবা উচিত যে, আমি যদি ১০০ বছর বাঁচি তার মধ্য়ে ৫০ বছর ভালো যাবে, আর বাকি ৫০ খারাপ। তাই খারাপ সময় মানেই যে আমি হেরে গেলাম, নিজেকে শেষ করে দিলাম এটা ঠিক নয় এক্কেবারেই। আমার মনে হয় মরে যাওয়া মানে পালিয়ে যাওয়া। আর সবথেকে বড় কথা সবার ভাবে উচিত পরিবারের কথা, একটা সমস্যার জন্য অন্যান্য কাছের মানুষদের আমরা ছেড়ে যেতে পারি না। আর এক্ষেত্রে আমাদের চোখের সামনে অন্যতম উদাহরণ নাইজেল দা (নাইজেল আকারা)। নাইজেল দা কে দেখেই বোঝা যায় এভাবেও ফিরে আসা যায়। উনি ভীষণই পজিটিভ একজন মানুষ। এতটা অন্ধকার থেকেও মানুষ আলোয় ফিরে আসতে পারে। জীবনে এর থেকে বড় আর কী হতে পারে।


আচ্ছা, এপ্রসঙ্গে একটা কথা জিজ্ঞেস না করে পারছি না, ব্যক্তিগতভাবে তোমরা কি কখনও মানসিক অবসাদের শিকার হয়েছো? এধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে কীভাবেই বা কাটিয়ে উঠেছো?


নাইজেল- সবার জীবনেই 'আপস অ্যান্ড ডাউনস' থাকে। খারাপ সময়েই বেশি অবসাদ আসে। তবে আমি খরাপটা নিয়ে বেশি ভাবি না। খারাপ সময় নিয়ে বেশি ভেবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে নিজেকে শেষ করার কোনও মানে হয়না আমার কাছে। 'বেচারা' হয়ে বেঁচে থাকার কি সত্যিই কোনও মানে আছে? তুমি বলো? ব্যক্তিগতভাবে আমি এর পক্ষপাতীই নই। এধরনের পরিস্থিতি এলে আমি একটা কথাই ভাবি, এটা থেকে কীভাবে বের হবো। আর এই প্রসঙ্গেই আমার মনে হয় 'গোত্র' সমাজের ছোট ছোট, অথচ গভীর সমস্যাগুলি তুলে ধরবে। একটা অন্য পথ দেখাবে।


মানালি- আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করো তাহলে বলবো, না। এটা ঈশ্বরের অসীম আশীর্বাদ। আমি কখনও অবসাদগ্রস্ত হয়নি। এখনও অবধি, কাল কী হবে অবশ্য জানি না। কারণ আমি এতটাই 'এক্সপ্রেসিভ' যে আমার মনে কখনও অবসাদ আসে না। যদিও বা আসে সেটা বড়জোর ২-৩ দিন। তারপর যার উপর রাগ হয়েছে তাকে আমি বলেই দেব। 


ট্রেলারে জন্মষ্টমীতে মুসলিম যুবকের প্রসাদ বিতরণে আপত্তি তুলেছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, এবিষয়টা সঙ্গে সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া 'জ্যোমাটো'র ঘটনার সঙ্গে কি কোনওভাবে মিলে যাচ্ছে না?


নাইজেল- যেটা ঘটেছে সেটা সত্যিই নিন্দনীয়। এই যুগে দাঁড়িয়ে মানুষ, গোত্র, জাতপাত নিয়ে ভাবছে, বিভেদ তৈরি করছে সেটা এক্কেবারেই ঠিক নয়। এটার কোনও মানেই নেই বলে আমার মনে হয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা যাতে মজবুত হয় সেটা ভেবেই আমদের কাজ করা উচিত।


মানালি- হ্যাঁ দুটি ঘটনাটা মিলে গেছে এটা সত্যি। শিবুদা ও নন্দিতাদির ছবিতে বর্তমান সামাজিক বিষয়টাই সবসময় থাকে এবং এক্ষেত্রেও রযেছে। তবে এই যে মানসিকতা, সেটা বদলানোর জন্যও আমি সকলকে বলবো 'গোত্র' দেখুন, এটা এমন একটা ছবি যে এটা একটু হলেও মানুষকে ভাবাতে শেখাবে।


এ প্রসঙ্গে আমি একটা আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। মাঝে আমার বাডিতে একটা মেয়ে কাজ করতে এসেছিল, নাম মানু। আমি প্রথমদিন ওর কাছে ভোটার কার্ড চাই, তো ও বলে ভুলে গেছি, পরের বার নিয়ে আসবো। আমি বললাম ঠিক আছে। এরই মাঝে আমি একদিন ওর সঙ্গে গল্প করতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম তোর পুরো নাম কী? ও বলে বললাম তো দিদি, আমার নাম মানু। আমি বললাম, দেখ মানু তো পুরো নাম হতে পারে না, পুরো নাম কী? তখন ও কী বললো জানো! বললো আমার নাম আসলে মানোওয়ারা মোল্লা। দিদি, আমি যদি আমার পুরো নাম বলি, অনেক জায়গায়তেই কাজে নেয় না। তখন আমি ওকে বললাম, আমার বাড়িতে এইরকম কোনও ব্যাপারই নেই। সেটাই আর কী, মানুষ অনেক সময় কাজের জন্য পরিচয়ও লুকিয়ে ফেলে।



শ্যুটিং ফ্লোরের কিছু অভিজ্ঞতা তোমরা কি শেয়ার করবে?


নাইজেল- আচ্ছা, এনিয়ে আমি তোমায় অনেকগুলো ঘটনা বলতে পারি। একটা দৃশ্যে মানালি আমার হাতের উপর দাড়িয়ে ফুল পাড়ছে। তো ওটা শ্যুট করতে গিয়ে চিত্রনাট্যে ওকে আমার নামিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি ওকে ফেলেই দি (হাসি)। পরিচালকের মনে হয়েছে এটাই পারফেক্ট। তখন ওই দৃশ্যটাই রাখা হয়। আর ওই দৃশ্যের শটের জন্য মানালিকে অনেকবার পড়তেও হয়েছিল (ফের হাসি)। আবার, আরেকটি দৃশ্যের জন্য ওকে (মানালিকে) বলা হয়েছিল কম কম আবির নাও। কিন্তু ও বেশি করে আবির ছোঁড়ে আর আমার চোখে লাগে।  আমিও পাল্টা ওকে বেশি করে রং লাগিয়ে দিয়েছিলাম। এই মজাগুলো সব সময়ই চলতো।


আর একটা কঠিন জায়গা ছিল, যেখানে অনুসূয়া দিকে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দেওয়ার কথা ছিল। তো ওই দৃশ্যের আগে আমরা যখন লাঞ্চ করছি, অনুসূয়াদি মজা করে বললো, তুমি তো আমায় তুলবে, তো একটু বেশি করে খেও। আমি উল্টে বললাম, আপনি একটা কাজ করুন, আপনি একটু কম খান আজকে। এই রকম সারাক্ষণই কিছু না কিছু চলতেই থাকতো। একটা পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছিলাম আমরা।


মানালি- টালিগঞ্জের মালঞ্চর যে বাড়িতে শ্যুট হয়েছে ওখানে আমরা শ্যুটিংয়ের আগে ওয়ার্কশপের জন্যও যেতাম। যাতে বাড়ির সবকিছুই চিনে যাই, সেটা নিজের বাড়িই মনে হয়। আর শিবুদা ও নন্দিতাদির সঙ্গে কাজ করা মানে অনেক কিছু শেখা, স্কুলের মতো। একটা সময় পরিবারই মনে হতো একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া, শ্যুটিং, পরেরদিন কল টাইমে ফের পৌঁছে যাওয়া। যেমনটা বাড়িতে হয়ে থাকে। ছবিতে যেমন আছে জন্মষ্টমী পুজো, ভোগ দেওয়া সেদিন কিন্তু সত্যি সত্যিই পুজো হয়েছিল, ভোগ খাওয়া, আনন্দ সব হয়েছিল, যেন সবটাই খুব স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।


আচ্ছা, নাইজেল তোমাকে একটা কথা না জিজ্ঞেস করে পারছি না, তুমি 'উইনডোজ'এর সঙ্গে 'মুক্তধারা'তে কাজ করেছো, আর 'গোত্র', এই দুটো ছবিতেই তোমার রিয়েল লাইফের সঙ্গে রিল লাইফের মিল, তুমি এধরনের চরিত্রতেই স্বচ্ছন্দ্য, নাকি তোমার এধরনের চরিত্রই দেওয়া হচ্ছে?


নাইজেল- 'মুক্তধারা'র আগে সবটাই তো জানো, তখন সমাজে নিজের গ্রহণযোগ্যতা তৈরির জন্য লড়াই চলছিল, তবে সেটা সেভাবে করে উঠতে পারছিলাম না।তবে 'মুক্তধারা'র পড়ে আমি অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। 'মুক্তধারা'ই আমায় এই ছবির দুনিয়ায় পরিচিতি দিয়েছে। এরপর আবার 'গোত্র'। মাঝে বেশকিছু কাজ আমি করেছি, তবে তাতে আমার ভিলেনের একটা ইমেজ তৈরি হয়ে যাচ্ছিল। সেটা থেকে বের হওয়ার জন্য এধরনের একটা চরিত্র খুব দরকার ছিল। আর শিবুদা আর নন্দিতাদির কাছে আমি আবারও কাজের প্রস্তাব পেয়েছি। এটাই আমার কাছে আশীর্বাদের মতো ছিল।



শিবুদা নন্দিতাদির সঙ্গে আলাপ কীভাবে হয়েছিল?


নাইজেল- সেসময় জেলে যে ' রিফর্ম' থেরাপি চলছিল সেটা নিয়ে রিসার্চ করছিলেন শিবুদা। সেটা করতে করতেই শিবুদা আমাকে একদিন ডাকেন, কথা বলেন, সেখান থেকেই আলাপ।


আচ্ছা এবার মানালির কাছে আসি, টেলিভিশন নাকি সিনেমা তুমি কোথায় বেশি স্বচ্ছন্দ্য?


মানালি- দেখো, একজন শিল্পীর কাছে সবথেকে বড় বিষয় নিজেকে প্রকাশ করা। আর টেলিভিশন আমায় পরিচিতি দিয়েছে আর সিনেমা আমার স্বপ্নপূরণ করেছে। দুটোই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।


এর পরে তোমাকে কোথায় দেখতে পাবো?


মানালি- আপাতত সিনেমায় 'গোত্র', আর টিভিতে 'নকশিকাঁথা', এইটুকুই (হাসি)।


নাইজেল তুমি এটা বাইরে আর কি কোনও ছবি করছো?


নাইজেল- আমি গত একবছর কোনও কাজ করিনি। আর আমার মনে হয় কোয়াটিটির থেকে কোয়ালিটি কাজ করা উচিত। আর গোত্রর পর থেকে আমি সেটাই করবো। যে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছি, সেটা হারাতে চাই না। আর আমি একটা কোম্পানি চালাই, যাঁরা জেল খেটেছে, তাঁদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ দিয়ে থাকি।


পাশাপাশি, একটা সংস্থা রয়েছে, সেটা সমাজে থেকেও যাঁরা ব্রাত্য তাঁদের নিয়ে কাজ করছে। যাঁরা ব্রাত্য, যাঁরা আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাঁদেরকে থিয়েটার করিয়ে ট্রেনিং দিয়ে স্টেজে অভিনয় করাই। কিছুদিন আগে যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করেছি। এখন যাঁরা মাদক নেয় তাঁদেরকে মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা নিয়ে কাজ করছি। আমিও তো স্টেজ থেকে আলোয় ফিরেছি। তাই নাটকের মাধ্যমেই অন্যান্যদেরও মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।


 মানালি শোনা যাচ্ছে তুমি নাকি এবছরই অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করছো? 


মানালি- তাই শোনা যাচ্ছে! (হাসি) আমি নিজেও জানি না কবে কী করছি। সত্যি বলিছ। হ্য়াঁ, তবে করবো তো বটেই। তবে কবে করবো এখনও নিজেরাই ঠিক করিনি।