নিজস্ব প্রতিবেদন: 'তুমি হেরেছ বলে তোমার শহর হাওড়া গর্বিত, আনন্দিত। তোমার শহর হাওড়াও তোমাকে তার সন্তান বলতে ঘৃণা বোধ করে'। রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) বিরুদ্ধে এবার ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট দিলেন নীলাঞ্জনা পাণ্ডে নামে এক মহিলা। দাবি করলেন, 'কয়েক বছর আগে, রুদ্রনীলের কুপ্রস্তাব না মানায় তার প্রোডাকশন হাউস থেকে আমাকে বার করে দেওয়া হয়েছিল।  আমার প্রাপ্য টাকাও দেওয়া হয়নি'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলেজ জীবনে SFI করতেন। রাজ্যে পালাবদলের পর আবার ঢুকে পড়েছিলেন তৃণমূলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘনিষ্ঠ বৃত্তে। একুশের ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি টিকিটে ভোটে লড়লেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। বারবার দলবদল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয়নি তাঁকে। এমনকী, সহ-অভিনেতাদের কেউ কেউ রুদ্রনীলকে সরাসরি সুবিধাবাদী বলেও কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। এবারের অভিযোগটি রীতিমতো গুরুতর।


আরও পড়ুন: =আইসোলেশন থেকে বেরোলেন শুভশ্রী, ইউভানকে দেখে আনন্দে আত্মহারা


রবিবার ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার ফের ক্ষমতা ফিরেছে তৃণমূল। কলকাতার ১১টি আসনেই জিতেছেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীরা। ভবানীপুরে রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে গিয়েছেন রুদ্রনীল। ফেসবুকে নীলাঞ্জন পাণ্ডে লিখেছেন, আমি যদি সত্যি কথা বলি, তাহলে বলব, আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি রুদ্রনীল ঘোষ-এর হারে। আজও বিশ্বাস  করি, ভগবানের মারে আওয়াজ হয় না। তাঁর বিচার খুব সুক্ষ্ম বিচার। সেদিন হয়তো রুদ্রনীল প্রভাব খাটিয়ে আদালতে আমাকে পরাজিত করত। কিন্তু আজ জনগণ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। আজ রুদ্রনীল ঘোষ পরাজিত।  রুদ্রনীলের পতনের সবে শুরু হয়েছে'। অভিনেতাকে তাঁর হুঁশিয়ারি, 'রুদ্রনীল, এই পোস্টের কথা জানার পর তুমি সাইবার ক্রাইম সেলে যাও, আমার বিরুদ্ধে মামলা করো, আমি সেসবের পরোয়া করি না। কিন্তু মনে রেখো, এই তোমার পতনের শুরু'। 


 


আমি যদি সত্যি কথা বলি, তাহলে বলব, আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি রুদ্রনীল ঘোষ-এর হারে। কয়েক বছর আগে, রুদ্রনীলের...

Posted by Nilanjana Pande on Tuesday, 4 May 2021

 


হঠাৎ কেন এমন পোস্ট? সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও রাখঢাক না রেখেই নীলাঞ্জনা জানিয়েছেন, 'কয়েক বছর আগে, রুদ্রনীলের কুপ্রস্তাব না মানায় তার প্রোডাকশন হাউস থেকে আমাকে বার করে দেওয়া হয়েছিল।  আমার প্রাপ্য টাকাও দেওয়া হয়নি। সেদিন ইন্ডাস্ট্রিতে নিউকামার ছিলাম। আজ প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন সেদিন বিচার চাইনি? আসলে তখন ভয় পাইনি, কিন্তু বিচারের জন্য একজন নিউকামারকে কিভাবে এগোতে হবে জানতাম না।  ঘৃণাবশতঃ রুদ্র-র নোংরা মেসেজ মোবাইল থেকে ডিলিট করে দিয়েছিলাম। ফলে প্রমাণ ছিল না'। যদিও এই ঘটনা নিয়ে রুদ্রনীল ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এখনও।